শচীন দাশ

  • কাঁটাতার

    শচীন দাশ হাতের মুঠোয় আগুনটা রেখে বিড়ি একটা ধরাবার চেষ্টা করেছিল নাজিবুল। এই সময়েই কে ওকে ডাকল। আড়চোখে তাকাতেই নাজিবুলের চোখে পড়ল রহিমুদ্দি। নাজিবুল বিরক্ত হয়। আজ হাওয়া মারছে খুব। তার ওপর বর্ষার বিড়ি। ভেতরের মাল-মশলায় কখন যে হাওয়া ঢুকে গিয়েছে ধরালেও তাই ধরে না। তিন-চারটে কাঠি নষ্ট হওয়ার পর আবারও যখন ধরাতে যাবে ওই…

  • বর্ণপরিচয়ের গোপাল

    শচীন দাশ এই একটা জায়গা, ওদের ভারি পছন্দের। দুদিকে দুটো দেয়াল আছে। দেয়ালের ওপরে টিনের চালা। চালাটা পুরনো। পুরনো ও ভাঙা। ওই ভাঙা চালারই নিচে একফালি জায়গা। ভ্যাপসা ও অন্ধকার। গাদাগাদি করে ওই অন্ধকারেই তখন দুই ভাই। গোপাল ও ভূপাল। গপু ও ভেপু। তাদের মা বড়ো আদর করে ডাকত। একদিন কী যে হলো! মা পালাল…

  • বন্ধুল

    শচীন দাশ থমকে দাঁড়াল এসে ইরাবান। এইমাত্রকালে, প্রভাত হয়েছে সবে নগরীর বুকে; কিন্তু নবীন সূর্যের আলো এখনো প্রসারিত হয়নি সেভাবে। বৃক্ষে বৃক্ষে এখনো কলরবরত নানা প্রকারের পক্ষী। রাজপথেও একজন-দুজন করে পথচারী। ভিস্তিওয়ালারা শূন্য ভিস্তি-কাঁধে চলেছে এক্ষণে নদীর দিকে। নদী থেকে জল এনে তারপর রাজপথ ধোয়াবে তারা। জনজীবনে জোয়ার লাগবে তারপরেই। হাঁটতে হাঁটতে দ্যূমণির কুটিরের কাছে…