সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম

  • বেহুলার ভাঁটফুল

    বেহুলার ভাঁটফুল

    জয়গুনকে পাওয়া গেল সন্ধ্যার মুখে। চকের ভেতর পরিত্যক্ত বাড়িটার পুকুরঘাটেই ছিল সে। পুরনো আমলের বড় বড় ইটে করা ঘাটের সিঁড়ি। কোনোকালে ভূমিকম্পে ফেটে দেবে গিয়েছে মাঝখানে। সেই ফোকর থেকে উঠে এসেছে লতানো গাছ, উঁকি দিচ্ছে বটের চারা। ওর ভেতর দিয়ে সরসর করে চলে যায় ইঁদুর আর শব্দহীনভাবে মাটি ঘষে ঘষে তার পিছু নেয় হলুদ-কালোর ডোরাকাটা…

  • অনিঃশেষ যাত্রার বিভূতি

    অনিঃশেষ যাত্রার বিভূতি

    সেদিন বিকেলে বেড়াতে গিয়েছেন ধারাগিরি পাহাড়ে, ফুলডুংরির মতো এই জায়গাটাও বিভূতিভূষণের খুব প্রিয়। সঙ্গে লরিবাংলোর ভক্তদা আর কানুমামা। দুদিন আগেই ছিল কোজাগরী পূর্ণিমা, বনচূড়ায় তখন দ্বিতীয়ার চাঁদ। আমলকী গাছের ফাঁক বেয়ে ঝুরঝুর করে জ্যোৎস্না ঝরছে। পাশের ঝোপ থেকে বাতাসে ছড়াচ্ছে বুনো গন্ধ। একটা পাথরখ–র ওপর অনেকক্ষণ বসে ছিলেন বিভূতি। সাথিরা ফিরে যেতে চাইলেও তিনি কেন…

  • অবিশ্বাসের পিনিস

    সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম বৃষ্টিতে গোছানোর কাজ আগাতে চায় না। পায়ের তলায় প্যাচপেচে কাদায় গোড়ালি বসে, মাটির চুলার নিচ থেকে পানি উঠে। গত কদিনে প্রায় মাইল দশ ভেঙে একেবারে ধানক্ষেতের শেষে বসতভিটের শুরুতে এসেছে নদী, থেকে-থেকেই নামছে নয়নশ্রীর জমি। বর্ষার শুরুতে এবার নাই হয়ে গেল পাশের আলাদী গ্রামটা। আর একটা বানে নামবে এখানকার ভিটেমাটি, ঠিক এমন…