সৈয়দ জাহাঙ্গীর

  • বন্ধু কাইয়ুম চৌধুরী

    সৈয়দ জাহাঙ্গীর সেদিন ছিলো রোববার, ৩০ নভেম্বর। কাইয়ুম যাচ্ছিলো পাশ দিয়ে। হাত ইশারা করে ডাকলাম। আমার বাঁপাশের চেয়ারটায় এসে বসলো কাইয়ুম। আমি বসে ছিলাম  বেঙ্গল ফাউন্ডেশন-আয়োজিত ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের দর্শক-শ্রোতা অঙ্গনের অষ্টম সারিতে। বললাম, ‘কেমন আছো?’ বললো, ‘এই তো…।’ ‘কেমন লাগছে অনুষ্ঠান?’ ‘খুউব ভালো। তুমি জাদুঘরের মিটিংয়ে যাওনি?’ জানতে চাইলো কাইয়ুম। আমি বললাম, ‘কিসের মিটিং?’…

  • আমেরিকা পর্ব

    সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৫৫ সালে ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে সবে বেরিয়েছি। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর জিওফ্রে হেডলি এবং ইউএসআইএস লাইব্রেরির ডিরেক্টর গেইলর্ড হফ্টাইজার – এ দুজন আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছিলেন সে-সময়। জিওফ্রে হেডলি ছিলেন আমার ছবির বিশেষ ভক্ত। আমার ছবি তিনি কিনেছিলেন এবং অন্যদের কাছে আমার ছবি বিক্রি করাতেও তিনি সচেষ্ট থাকতেন। ওই সময় তিনি…

  • ঢাকা আগমন ও আর্ট কলেজে ভর্তি

    সৈয়দ জাহাঙ্গীর ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই কলকাতায় জাফর ভাইয়ের পার্ল রোডের বাসায় একবার বেড়াতে গেলাম। জাফর ভাই আমাকে একটা নতুন জুতো কিনে দিয়েছিলেন। ওই জুতোর বাক্সের ভেতর সুন্দর কিছু ড্রইং করেছিলাম। জাফর ভাইয়ের চোখে পড়েছিল সেসব। তিনি সেটা মনে রেখেছিলেন। জাফর ভাই ঢাকা চলে আসেন সাতচল্লিশের দেশ বিভাগের পরপরই। কলকাতায় একজন পরিচিত তরুণ মুসলমান লেখক…

  • আত্মপ্রতিকৃতি : স্মৃতির মানচিত্র

    সৈয়দ জাহাঙ্গীর শৈশব-কৈশোর মায়ের কাছে শুনেছি আমরা ছিলাম চার ভাই আর এক বোন। বোনটা মারা যায় মাত্র ১২ বছর বয়সে। ওর মুখে একটা ফোঁড়া হয়েছিল। কুলগাছের একটা কাঁটা লেগে ফোঁড়াটা ছিঁড়ে গেলে টিটেনাস হয়ে সে মারা যায়। সে-সময় টিটেনাসের লাগসই চিকিৎসা ছিল না। এক ভাই মারা যায় দু-তিন বছর বয়সের সময়। আমরা তিন ভাইয়ের মধ্যে…