হাবীবুল্লাহ সিরাজী

হাবিবুল্লাহ সিরাজীশিরীষের পেটে পোকা ডাকে হল্লা যা হবার তা দেরাজ গলিয়ে করিডোরে পৌঁছুতেই মনে করিয়ে দেয় গতসন্ধ্যার শ্রী যেখানে একটি রাজপথ তার তো জনপথ হবার কথা ছিলো এখন সকালদ ভেংচি কাটলে যতো মাকাল রাজনীতি কি গণনীতি? এই দুপুরে কাদা যখন পা থেকে হাতে নাক তার গন্ধ পায় চোখ যদিও অসীম পাহারায় করিডোরে হোঁচট খেতে-খেতে পোকা…

হাবীবুল্লাহ সিরাজী   ক্ষোভ ও খ্যাতির খতিয়ানে সরলতা নানান প্রকার – ধার কিংবা ভার হ’তে পারে স্থায়ী অস্ত্র তার!   কর্ষিত মাটির আলিঙ্গনে ইতস্তত তৈরি হওয়া স্বর সারল্যের দ্বার হ’তে পারে নত অস্ত্র তার!   অবিচ্ছেদ্য সহযাত্রা যদি উৎসমূলভ’রে দেয় মিলে সরলতা সার হ’তে পারে পূর্ণ অস্ত্র তার!   সরলতা যতো, ওহে সত্য মিথ্যা তার…

হাবীবুল্লাহ সিরাজী   গল্পটির একটি চিন্তা ধার ক’রতে চেয়েছিলাম – ফোঁটা থেকে কাল, তারপর স্পর্শ করার জাল কিন্তু মানচিত্রে অবস্থান খুঁজতেই উন্মুক্ত হ’লো অবাস্তব প্রণালি নেত্রপথে ফিরে এলো ঝুঁকিপূর্ণ অবতরণদৃশ্য…   ইতিহাসের গলার দিকে গল্পটিকে ঠেলে দিলে – হইহই ক’রে উঠলো ভূগোলের খোঁড়া পা যেন ক্ষতিপূরণ হারাচ্ছে ছায়াচল যেন বৃষ্টিহীন হ’চ্ছে স্বাস্থ্যবল যেন দণ্ডের শীর্ষে…

হাবীবুল্লাহ সিরাজী   হাওয়া ও বুদ্বুদের মধ্যে ঘুরেফিরে ঘণ্টা দুই সাঁতরানো মানে সিনেমা হ’তে পারত ঘন নিঃশ্বাস পাশে ব’সিয়ে শ্যাওলার ভেতর খোঁজা যেত চুম্বনের মিহি দাগ আগলিয়ে নেয়া ঝিনুকের ঠোঁটে তখন হয়তো গরম হবে জল, হাওয়ায় হাইফেন   সিনেমা মানে যদি আলোর আহ্ললাদে পর্দাজুড়ে চুয়িংগাম সামলানো ছায়া চল হয় তবে, বন্দুকের মাছিতে বসা মৌমাছি নিয়ে…

হাবীবুল্লাহ সিরাজী   টিকে থাকাটাই বড়ো কথা   নদী বইতে-বইতে একসময় বালি হ’য়ে যায় অরণ্য পরিণত হয় জ্বালানিতে পাহাড় কেটে চ’লতে থাকে বসতির প্রক্রিয়া চাকা প্রস্ত্তত হ’লে সভ্যতা ঘোরে ঘুরতে-ঘুরতে সৌরম-ল অতিক্রম করে সময় প্রাণ বদল হ’তে-হ’তে মানুষে রূপান্তর ঘটলে টিকে থাকাটাই বড়ো কথা   জন্ম সে তো টিকে থাকার মহোৎসব আনন্দের অভ্যন্তরে প্রান্তর গুঁজে…

হাবীবুল্লাহ সিরাজী     কে শুয়ে আছে পদ্মপাতায়? কে ভাসে কচ্ছপের নাকে? কে নেয় ঘুমন্ত ডিমের মধ্যে আশ্বিনের চাঁদের হিসেব? বড়ো ভয় ছিল যদি মেঘ খোঁজ পায় ব্যাঙের ছাতার মতো সন্ধ্যাতারাটি তবে তাকে পুঁতে দেবে অন্ধ গোশালায়।   ম’রে গেলে বোঝা যাবে তাকে।   জল স’রে গেলে ধরা দায় এইখানে জলাশয় ছিল, আগুন নিভে গেলে…