এপার ওপার

Apar-Opar

অরূপ তালুকদার

রাস্তার পাশের ছোট চায়ের দোকানটা পেরিয়ে যাচ্ছিল মনিরম্নল। হঠাৎ কী ভেবে থমকে দাঁড়ায়। ঘুরে পেছনে চলে আসে কয়েক পা। চায়ের দোকানটার সামনে রাখা নড়বড়ে বেঞ্চটায় তিন-চারজন বসে আছে। বেঞ্চের পাশে একটা খালি কেরোসিনের কাঠের বাক্স। তার ওপর দুজন বসে। দু-তিনজনের হাতে চায়ের কাপ। একজনের হাতে একটা রম্নটি।

মনিরম্নল তাকায় কাঠের বাক্সটার ওপর বসে থাকা কৈলাশ হালদারের দিকে। সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, তা কালকেই যাচ্ছো তো কৈলাশ খুড়ো? শেষ পর্যন্ত যাওয়াটাই ঠিক হলো?

বৃদ্ধ কৈলাশ হালদার মস্নান মুখে তাকিয়ে ছিলেন মাটির দিকে। মনিরম্নলের কথায় মুখ তোলেন। বলেন, যাতি যখন হবে, তখন আর কী করা। আসলে যাতি তো ইচ্ছে হয় না। তবু যাতি হবে, উপায় কী? বলতে-বলতে বড় করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বুকের ভেতরের চাপটা কমে। চোখের কোনায় জল আসে। তা কি সবাই যাচ্ছো? কেদার যাচ্ছে না। মনিরম্নল জানতে চায়।

আমরা পাঁচ-ছজনই যাব। ভাগ্নে সুবল আর তার বউ থাকবে। যদি ইচ্ছে হয় পরে যাবে। কেদারও যাচ্ছে।

জায়গাজমির সব হিলেস্ন হলো? মনিরম্নল তাকায় কৈলাশ খুড়োর দিকে। এসব তো ঝামেলার ব্যাপার, নয়?

তুমি ঠিকই বলিছ মনির, তবে ভাগ্নেটা থাকবে, ও-ই দেখাশুনা যা করবার করবে। বেশির ভাগের তো ব্যবস্থা হয়েই গেছে। যা
থাকল, তা নিয়ে আর চিমত্মা করি না। যাক মনির এদিকে এসে বইসো, চা খাও।

না খুড়ো, এখন না, তাড়া আছে, মনিরম্নল বলে, বিকালে যাবোনে তোমাদের বাড়িতে। কেদার থাকবে তো। ওর সঙ্গে দু-তিনদিন দেখা হয়নি।

মনির, ডাক দেন কৈলাশ।

বলেন, খুড়ো –

তোমরাও তো যাচ্ছো?

বড় ভাইয়া বর্ধমান থেকে ফিরেছে, এখন এইসব নিয়া কথা হতিছে, সবাই বসছে।

সে কি যাইতে চায়? কৈলাশ তাকান মনিরম্নলের দিকে?

সে চায়, মনিরম্নল বলে, কেউ-কেউ দোনামোনা করে। জানি না, কী হইবো –

মনিরম্নল আর দাঁড়ায় না। চলে যায়।

মনিরম্নল চলে গেলে কৈলাশ মুখ তুলে সূর্যের দিকে তাকান। এখন আর সকাল নেই। সূর্যটা বেশ ওপরে উঠে গেছে। রোদের তাপ বাড়ছে। দোকানদারের দিকে খালি কাপটা বাড়িয়ে দেন, এটা ধরো হে –

তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বাড়ির পথ ধরেন। মনটা ভারি হয়ে আছে। এদিক-ওদিক তাকান একবার। চারদিক যেন শূন্যতায় ভরে আছে। সুদীর্ঘ জীবনের কত সুখ-দুঃখের স্মৃতি জড়িয়ে আছে এসব গাছপালা, পথঘাট আর আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে। বুক জুড়ে কেমন একটা হাহাকার-ভরা দীর্ঘশ্বাসের আবহ চেপে হাঁটতে থাকেন রাস্তার পাশ ঘেঁষে। পেছন থেকে কে একজন কী যেন বলে ওঠে। কৈলাশ ঠিক শুনতে পান না। তবু একটু থমকালেন অভ্যাসবশত। তারপর আবার চলতে শুরম্ন করলেন। পাশের বাগানে একটা পাখি ডাকছে। পাখা ঝাপটানোর শব্দ উঠছে।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আগামীকাল সকালের দিকেই চলে যাবে সবাই। লালমনিরহাটের ছিটমহলের এই গ্রামটি থেকে কৈলাশ হালদার আরো অনেকের সঙ্গে পরিবার নিয়ে চলে যাবেন কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে চিরদিনের জন্য। অথচ এই ঠিকানায় ওরা জীবন কাটিয়েছেন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। এখানেই জন্ম হয়েছিল ওদের সবার, তাই এটাই ওদের জন্মভূমি। কিন্তু সেই জন্মভূমির মায়াকেই আজ পেছনে ফেলে চলে যেতে হবে। কিন্তু মাটির মায়া যে ছাড়তে চায় না।

হাঁটতে-হাঁটতে নিজের অজামেত্মই চোখের জল মোছেন কৈলাশ। এবারে ঠাঁই হবে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে। নিজেদের ঘরবাড়ি পরে কী হবে, কী হবে না, তার ঠিক নেই। অনেকটা যেন উদ্বাস্ত্তর জীবন। অথচ এখানে ছিল নিজেদের হাতে গড়া আধাপাকা ঘরের ভিতের ওপর টিনের চাল। সামনে উঠান। চারদিকে দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠা আম কাঁঠাল সুপারির বাগান। ক্ষেতখামার, কয়েক বিঘা আবাদি জমি। আর দু-তিনদিন পরে এসব স্বপ্ন হয়ে যাবে। খানখান হয়ে যাবে সাজানো সংসার।

বাড়িতে ঢোকার মুখেই ছোট একটা শাকসবজির ক্ষেত। গাঢ় সবুজে ছেয়ে আছে। কালো হলদেটে লাল রঙের কুমড়া গড়াচ্ছে উঁচু করা মাটির আলের ফাঁকে-ফাঁকে, দেখতে-দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায়। গাঢ় মায়া-মমতায় চোখ সিক্ত হয়ে ওঠে।

উঠানে আসতেই কৈলাশ দেখেন বড় ঘরের লাগোয়া ঘরটা খুলে ফেলা হয়েছে। পুরোপুরি। মাটির ভিটিটা ফাঁকা পড়ে আছে। বুকের ভেতর যেন একটা ধাক্কা এসে লাগল।

ঘরের পেছন দিকটায় ঘন গাছপালা। তার ফাঁকে-ফাঁকে সূর্যের আলো ঢুকছে তীরের ফলার মতো অন্ধকার ভেদ করে। হালকা সবুজ রঙে স্বপ্নিল পরিবেশ তৈরি করছে চারপাশে। কোথাও-কোথাও কুয়াশার হালকা-পাতলা চাদর ছিন্নভিন্ন হয়ে ঝুলছে ছোট-ছোট ডালপালার সঙ্গে। সব যেন ছবির মতো ভাসতে থাকে কৈলাশ হালদারের চোখের সামনে। সব পেছনে ফেলে চলে যেতে হবে।

বড় ঘরের পাশের ঘরটা ভেঙে ফেলার পরে তার চালের টিন, জানালা, দরজা, কড়িবরগা গুছিয়ে রাখা হয়েছে উঠানের এক পাশে। এসব নিয়ে যেতে হবে নতুন ঘর বানানোর জন্য। ঘরটা তোলা হয়েছিল কাছারি ঘর হিসেবে বিশ-পঁচিশ বছর আগে। এখন ভেঙে ফেলার জন্য এই পাশটা যেন ফাঁকা-ফাঁকা লাগছে। শীতের হাওয়াও বেশি লাগছে।

কৈলাশ বড় ঘরের ভেতরে ঢুকতেই চার বছরের নাতিটা দৌড়ে চলে এলো। গায়ে একটা আধময়লা জামা। ধূলিধূসরিত। নাক দিয়ে সর্দি গড়াচ্ছে। আলগা শীতে সর্দি  জমেছে। কৈলাশ নিচু হয়ে কোলে তুলে নিলেন নাতিকে। পরম যত্নে কাঁধের গামছা দিয়ে নাকমুখ মুছিয়ে দিলেন। একি অবস্থা দাদু, বউমা-বউমা…

ডাক শুনে ছেলের বউ কমলা পাশের রান্নাঘর থেকে দ্রম্নত চলে আসে।

কৈলাশ তাড়া দেন, ওর অবস্থাটা দ্যাখো একবার, আবার জ্বরটর না বাধায়ে ফ্যালে –

কী করব বলুন। কমলা ছেলেটাকে টেনে নেয়, একেবারে কথা শোনে না, সারাদিন দুষ্টামি, ভোর হতেই দৌড়াদৌড়ি শুরম্ন করে দেয় –

স্নেহের হাসি দিয়ে কৈলাশ বলেন, এই বয়সে সব ছেলেমেয়েই দুষ্টামি করে। ওর মুখটুক ধুইয়ে, গা মুছিয়ে দাও। আচ্ছা, সুবল কি এলো?

এখনো আসে নাই। কমলা ছেলেটাকে নিয়ে চলে যায়।

দেরি করছে কেন, কত কাজ পড়ে আছে, কৈলাশ বলে।

কাজ তো সবই গুছাচ্ছি, হয়ে যাবে এখন। এর মধ্যে ঘরে ঢোকে ছোটভাই কেদার। কিন্তু এত যে জিনিসপত্র, এত সব নেব কী করে?

ট্রাকে নিবে, কৈলাশ বলেন, সেভাবেই তো সবাইকে বলা হয়েছে।

তাইলে তো ঠিক আছে, যদ্দূর নিয়ে যাওয়া যায়, ওখানে কী পাব কে জানে, কথা বলতে-বলতে তাড়াহুড়ো করে হাতুড়ি আর বাটালিটা তুলে নিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় কেদার। একটু থামে, কৈলাশের দিকে তাকিয়ে বলে, সালাম মনিরম্নলরা নাকি যাবে আমাদের সঙ্গে, শুনছেন কিছু? কৈলাশ বলেন, মনিরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, সালাম যেতে চায়, অন্যদের কেউ-কেউ দোনামোনা করছে। তবে যাবে বোধহয়।

কেদার মনিরম্নলের সমবয়সী বলে একসঙ্গে চলাফেরা আছে। দুজনেই দুজনার ব্যক্তিগত কথাও কিছু-কিছু জানে।

কৈলাশ তাকান কেদারের দিকে। চোখে শূন্যতার ছায়া। অস্ফুটে বলেন, পাশের বাড়ির পরেশরা সবাই যাবে। ঘরদোর সব ভেঙে ফেলেছে, শূন্যভিটা হাহাকার করছে, দেখা যায় না। নিজের অজামেত্মই হাতড়ে-হাতড়ে চৌকির কোনাটা ধরে বসে পড়েন কৈলাশ।

ব্যসত্ম কেদার চলে যায় উঠানের দিকে। সেখানে আরো দু-তিনজন কাজ করছে। কৈলাশ হালদারের আত্মীয় বিনোদ মানিকরাও চলে যাচ্ছে ওপারে। মানিক বিয়ে করেছে বাংলাদেশের মেয়ে মালতীকে। মালতীও তার বাবা-মা-আত্মীয়স্বজন ছেড়ে চলে যাবে স্বামীর সঙ্গে। এই নিয়ে দুপরিবারের কষ্টের শেষ নেই। কান্নাকাটিও কম হয়নি।

এমন ঘটনা আরো আছে। কুড়িগ্রামের আকলিমা বেগম কদিন আগেই পরিবারসহ চলে গেছেন ভারতে। কিন্তু মেয়ে খাদিজা যায়নি। সে স্বামীর সঙ্গে থেকে গেছে বাংলাদেশে। যাওয়ার সময় মা-মেয়ের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ। আত্মীয়স্বজনও ভেসেছে চোখের জলে।

এদিকে সময় গড়ায়। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর শেষে বিকেল হয়। আশপাশের বাড়িগুলি থেকে ধীরে-ধীরে ঘরদোর ভেঙে গুছিয়ে নেওয়ার নানাধরনের শব্দ কমে আসে। সব কান পেতে শোনেন কৈলাশ। প্রতিটি মানুষের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ যেন কানে এসে বাজতে থাকে।

একসময় সূর্য ডুবে যায়। সন্ধ্যা হয়। আসেত্ম-আসেত্ম রাত নামে। কাজকর্ম গোছানোর পর কেদারের হঠাৎ মনিরম্নলের কথা মনে পড়ে। ওরা কি আসলে যাবে? নাকি ও থেকে যাবে। অন্যরা যাবে। কিন্তু সবাই চলে গেলে ও কি একা থাকতে পারবে এখানে? সালাম চাকরি করে বর্ধমানে। তার তো ওদিকে গেলেই সুবিধা। মনিরম্নলের জন্যও কী কাজটাজ ঠিক করে রেখেছে। তেমনই বলেছিল মনিরম্নল। ওদের ওখানে এক বড় ব্যবসায়ী আত্মীয় আছে। সে-ই সবকিছু করছে।

মনিরম্নলের ব্যাপারটা জানে কেদার। রোকেয়ার সঙ্গে তার অন্তরঙ্গতার ঘটনাটা অনেকদিন থেকেই চলে আসছে। দুপরিবারের কেউ-কেউ এটা জানেও। তবে ঘনিষ্ঠতা কতখানি সেটা হয়তো জানে না। তাই এ ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি কেউ। এদিকে সালাম কিছুটা জানলেও পারিবারিকভাবে ওদের বিয়ের ব্যাপারটায়  তার মত নেই। মূলত বাধাটা সেখানেই সম্ভবত।

তবু বেশ কিছুদিন আগেই কেদার মনিরম্নলকে এ-ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলার কথা বলেছিল। কিন্তু মনিরম্নল সময় নিচ্ছিল ভাইয়ের বলা কাজটা শুরম্ন করা পর্যন্ত। এখন কী হবে, কে জানে। তবে যতদূর মনে হয় সালাম চলে গেলে মনিরম্নলকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাবে। ওখানে নিয়ে গিয়ে কাজে ভেজিয়ে দেবে। এখানে থাকলে হবে না। তাছাড়া ওদের জমিজমাও তেমন কিছু নেই। যা আছে চাদের কাছে দিয়ে যেতে পারবে। এদিকে ঘরে আছে শুধু মা, সালামের বউ আর দুটো বাচ্চা। সালাম নিশ্চয়ই ওপারের সুবিধা ছেড়ে এপারে থাকতে চাইবে না।

ঘটনাটা বোধহয় তেমনই ঘটল শেষ পর্যন্ত। কৈলাশের কাছে বিকেলে আসার কথা বলেও শেষ পর্যন্ত আর এলো না মনিরম্নল। দুপুরের কিছু আগে সে তাড়াহুড়ো করে রোকেয়াদের বাড়িতেই গিয়েছিল। কিন্তু গিয়েও তেমনভাবে সুযোগ পায়নি কথাবার্তা বলার। ফেরার সময় বলে এসেছিল রাতে আসবে। ব্যাপারটি জানে শুধু রোকেয়ার ভাবি।

রাতে যখন সবাই খেতে বসেছে সেই সুযোগে বাড়ির বাইরে চলে এসেছে রোকেয়া। সেই থেকে দুজন একসঙ্গে আছে। রোকেয়াদের বাড়ির পাশে বেশ বড় বাগান। বাগানের পরেই বিশাল ধানক্ষেত। তারপরে আরেক গ্রামের শুরম্ন। ধানক্ষেতের মাঝামাঝি বিশাল দুটো তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে। দুজনে নির্বাক তাকিয়েছিল ওদিকেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন সব কথা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও যে অনেক কথা থেকে যায়, দুজনার মনের মধ্যেই তা সমুদ্রের ঢেউ তোলে। প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পায় না। একসময় দুজন দুজনার দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে। শুক্লপক্ষের চাঁদের আলোয় ভেসে-যাওয়া অপার্থিব মায়াবী পরিবেশে। চোখের জলে ভেসে যায় রোকেয়ার চোখ-মুখ। মনিরম্নলের চোখও জলে ভেজা। মাঝে-মাঝে হাত দিয়ে মুছে নিচ্ছে।

আকাশে কোথাও মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। গোল থালার মতো চাঁদ অকৃপণভাবে মায়াময় আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে চরাচর জুড়ে। তাতে ভেসে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট-প্রান্তর, দূরে-দূরে মাটির ঢিবির ওপরে গাছের পর গাছের সারি। তার ওপরে জ্যোৎস্নার লুকোচুরি খেলা চলছে। কিন্তু এসব কোনোকিছুই যেন ওদের চোখে পড়ছে না। বুকের ভেতরে কষ্টের দমক ওদের দুজনকেই যেন সত্মব্ধ করে দিয়েছে।

দুজনেরই বাড়ি ফেরার তাড়া আছে। মনিরম্নলের তাড়া আরো বেশি। তারা চলে যাবে সবাই ওপারে, তার জন্য বাঁধাছাঁদা আছে। কাজের যেন শেষ নেই। মনিরম্নলকে ওখানেও দরকার। সকালের দিকেই তো চলে যেতে হবে।

আবার কবে আসবা?

একসময় রোকেয়ার কান্নাজড়ানো অস্ফুট স্বরের প্রশ্নটা প্রথম শুনতেই পেল না মনিরম্নল। সে তাকিয়েছিল মাটির দিকে। পরের বার শুনল। মুখ তুলে তাকাল রোকেয়ার দিকে।

কিন্তু এই কঠিন প্রশ্নটির এই মুহূর্তে কী জবাব দেবে মনিরম্নল! আবার কবে এখানে আসবে, কীভাবে আসবে, তা কি আসলে সে জানে?