এখন সুখময় দিন

বিষন্ন সংসারে ভেসে যায় হলুদ ত্রিভুজ ডোবাগুলো পচাপ্রেমে
ডুবে নদী হতে চায় সামনে জলের পাহাড় কালো অরণ্যে ফোটে
ধূসর গোলাপ শিমুলের লাল জবা ফুলের সেই একশ নব্বই হাত
কাপড়ে কজন কুমারীর আব্রু আবৃত হবে কার্পাসের তুলো
সুতোহীন সাদা ঘুড়ি হয়ে ওড়ে নিষিদ্ধ পল্লি নিয়মানুগ
হয়ে ওঠে চাহিদানুযায়ী বেগুনি ছিল মাত্র দুদিন দুর্দিন
একদিন খুব ভোরে নীল আরেক দিন দুপুরে বর্ণিল অদৃশ্য
রাত ছিল মাটির ভেতরে অতি নির্জনে সূর্য ডুবলেই বিষাক্ত সাপ
আর হুতোম প্যাঁচার চোখের দুটি দায়িত্ব-দর্শন আর ক্রন্দন
কেউ কেউ চোখ দিয়ে নয় শুধু – সমস্ত দেহ নিয়ে অবাক হয়ে
দেখে আর হুহু কাঁদে তবু অশ্রু ঝরায় না কেউ কেউ মরণেও
কোনো মৃত্যুযন্ত্রণা পায় না বরং সুস্বপ্নে ভরে ওঠে পার্থিব জীবন
পরিজনেরা প্রজাপতি হয়ে ওড়ে আকাশের পাশ দিয়ে উড্ডীন
বিমানের পাখা ধরে ঝুলন্ত মানুষেরা গ্রহণ জনারণ্যে বাঘের
সমাজে গিয়ে ওঠে সেখানে খাঁচায় ভর্তি সব মানুষ আর মানুষ
প্রগতির পরীক্ষাগারে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত – এইমাত্র যাত্রা করবে
সাগর-ভাসা জাহাজ – যে-জাহাজ মানুষের জন্য নয় সুখ ও শান্তি
জীব ও উদ্ভিদ যারা অমানুষ মনুষ্যত্বের পশুপাখি মৎস্য ও বৃক্ষকুল
শুধু তাদের জন্যই বরাদ্দের এই সুব্যবস্থা একদল মানুষ খুব
বিগলিত ভাবনাহীন দুশ্চিন্তামুক্ত যেহেতু তারা অজান্তেই
মনুষ্যপদহীন বিবেচিত ও প্রমাণিত – তাদের এখন সুখময় দিন