যাপনের সকাল দুপুর আর সন্ধে ভোরবেলা
বেদনার মেঘ বুকে নিয়ে পা ফেলেছো
দূর দিগন্তের প্রান্তে,
কখনো খোঁজনি তুমি বৃষ্টির আকাশ,
স্বরচিত আলো জ্বেলে হেঁটে গেছো তুমি
বড়ো একা-ক্লান্তিহীন;
একদিন এই বাড়িগুলি, ঘরগুলি বকুলতলার ছায়া
আমাদের আপন ছিল না,
স্বপ্নভাঙা বুকভরা দীর্ঘশ^াস ছিল জীবনের
তোমার কণ্ঠে ধ্বনিত হলো উজ্জ্বল উচ্চারণ
– ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’
বধ্যভূমি, শহিদ মিনার –
জ্যোতির্ময় পতাকা খুঁজে পেল লাল ভোর
বসন্ত বাতাস আর সব ফুল আমাদের হলো,
কিন্তু একি হলো – হঠাৎ কেঁদে উঠলো বাংলাদেশ
সর্বনাশ! চারদিকে বিষাদের নিভৃত আগুন
ঘাতক আঁধার কেড়ে নিয়েছে বাংলার প্রিয়প্রাণ
মুখ ঢাকলো ভোরের সূর্য
অবাক নির্বাক হলো বিশ্ব
এতো রক্ত, এতো অশ্রু কীভাবে ধারণ করে আছে
বাংলার মানুষ – শস্য-শ্যামল প্রান্তর – শুধু ধু-ধু
বিষাদের দহন – গুঞ্জন আর দীর্ঘ – দীর্ঘশ্বাস!
বঙ্গবন্ধু উজ্জ্বল দাঁড়িয়ে আছেন পতাকার শব্দে
প্রাণে প্রাণে সবখানে
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর স্বাক্ষর করেনি বাংলাদেশ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.