ব্যতিক্রমী ধারার কবি পিয়াস মজিদ

আহমদ রফিক

 

আত্মপ্রকাশের মহিমায় কবিতার যাত্রা শুরু মানবসভ্যতার সময়-বিচারী এক পর্যায়ে। এর সঙ্গে ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও জাতিরাষ্ট্রের নিগূঢ় সম্পর্ক রয়েছে। রয়েছে ব্যক্তিক মননশীলতা উদ্ভাসের তাড়না বা তাগিদ, বিষয় যা-ই হোক না কেন। এর আগে গুহাচিত্রে অন্য চরিত্রের আত্মপ্রকাশ – মূল বিষয়টি কিন্তু একই। পার্থক্য ফর্মের।

এরপর কত শতাব্দীর আসা-যাওয়া। সভ্যতার বিকাশ ও পরিবর্তন, বিজ্ঞানপ্রযুক্তির আবির্ভাবে চিন্তাভাবনার নিত্যনতুন স্রোতধারা। সমাজ ও সভ্যতার এই বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিক ও সামূহিক অনুধাবন ও ভাবনারও পরিবর্তন। পরিবর্তন সাহিত্য-সংস্কৃতির, বিশেষভাবে কবিতার এবং তা দুই দিকেই – বিষয়ে ও প্রকরণে, সেইসঙ্গে অন্তর্গূঢ় দর্শনচিন্তায়।

তত্ত্ব, কখনো নান্দনিক ভাববাদ ও বস্ত্তবাদের দ্বন্দ্বে, কখনো নিতান্ত শব্দের চাতুর্যময় দুর্বোধ্য মহিমায় কবিতাকে শাসন করতে চেয়েছে, সেইসঙ্গে শ্রেণিচেতনার প্রভাব সামনে রেখে। চিত্রকলার মতো কবিতায়ও তত্ত্বের নানা প্রভাব। সেসব পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত কবিতা একালে যে-পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সেখানেও প্রশ্ন – কবির জন্য, কবিতার জন্য। এবার কোন পথ ধরবেন কবি তাঁর সৃষ্টি আকর্ষণীয় করে তুলতে?

এ-কাব্যসমস্যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে। ইউরোপীয় বা মার্কিনি কাব্যের দিকে তাকিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন – কবিতার সমৃদ্ধ ফসলের যুগ, তার আদিগন্ত সবুজ আভার কি অবসান বিচ্ছিন্ন মানসিকতায়? সৃষ্টির উর্বরতায় কি টান পড়েছে? আর বাংলাভাষার কাব্যসাহিত্য? চর্যাপদাবলি থেকে বর্তমান ঝকমকে চিত্রচারিত্র্য কমবেশি একই রকম স্রোতধারার পরিণতি বহন করছে আপন বৈশিষ্ট্যে। দশক বিচার না হয়েও কয়েক শতকের সৃষ্টিশীলতার পর বাংলা কবিতা বিশেষ হয়ে উঠেছে বিশ শতকের দশক থেকে দশকের সৃষ্টিকর্মের নিজস্বতায়। যেমন পশ্চিমবঙ্গে, তেমনি একদা পূর্ববঙ্গের বাংলাদেশে।

মূলত সংস্কৃতির চারিত্র্যবদল, আধুনিকতা, আপন প্রভাব ও বৈশ্বিক প্রভাবের অধীন হয়ে বাংলাদেশি কবিতার পথপরিক্রমা, পথবদলের বৈশিষ্ট্য-বৈচিত্র্যে। আবারো সেই পুরনো দ্বন্দ্ব – বিষয় ও প্রকরণ। এর থেকে বুঝি কবিতার মুক্তি নেই। নেই রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব থেকে। তাই দেখা যায়
অতি-আধুনিক একান্ত চিন্তার কবির রচনায়, অনুভবে স্থাপন পায় প্রকট প্রতিবাদী, পরিবর্তনক্ষম ঘটনাবলি। উদাহরণ তরুণ কবি পিয়াস মজিদ, উদাহরণের উল্লেখ কবি শহীদ কাদরীর।

ওই যে বলেছি, আমরা এখনো পূর্ব অভ্যাসমাফিক কবিদের পরিচয় ঘটাই দশকওয়ারি বিচারে। তাই পিয়াস মজিদের কাব্যগ্রন্থ নাচ, মারবেল ও গোধূলির ছোট্ট প্রচ্ছদ-পরিচিতিতে লেখা হয়েছে ‘শূন্য দশকের কবি পিয়াস মজিদের প্রথম তিনটি কবিতাগ্রন্থ নাচপ্রতিমার লাশ, মারবেল ফলের মওসুমগোধূলিগুচ্ছ নিয়ে এই সংকলন’ ইত্যাদি।

পিয়াস মজিদের নানা ফর্মের ও নানা অনুভূতিসঞ্জাত কবিতাগুলো পড়তে গিয়ে আবারো পুরনো কথার পুনরুক্তি – কবিতার ইতিহাস যতটা বিষয়বদলের, তার চেয়ে অধিক ফর্মবদলের ইতিহাস। যুগে যুগে সমাজচরিত্র বদলের প্রভাবে কবিতার নান্দনিক ইতিহাসের সৃষ্টিচারিত্র্য বদল। সে-বদলে যেমন রয়েছে কবির অনুভাবী প্রতিক্রিয়া – সমাজ ও প্রকৃতি নিয়ে, তেমনি রয়েছে প্রকাশভঙ্গির বৈশিষ্ট্য, অন্যভাষ্যে ফর্মের বদল। বাংলাদেশের কবিতায় পঞ্চাশের কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রচিত কবিতার বৈশিষ্ট্য বিচারে এবং কবিদের দৃষ্টিভঙ্গি বিচারে এই চারিত্র্যবদল ধরা পড়বে।

অবশ্যই জাতীয় জীবনের ঘটনাবলি, সামাজিক ও ব্যক্তিক প্রতিক্রিয়ার ধারাবাহিকতা এতে স্পষ্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিণাম কবির ব্যক্তিমানসের যে-চারিত্র্যবদল ঘটিয়েছে সেসব দীর্ঘ প্রসঙ্গে না গিয়ে এটুকু বলা যায় যে, সাম্প্রতিক কবিতার চারিত্র্য সেসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও দ্বন্দ্বের পরিণাম। অন্বিষ্টকে না পাওয়ার হতাশা ও বৈশ্বিক আধুনিকতার নান্দনিক প্রভাব।

তাই পিয়াসের কবিতায়ও অন্য কারো কারো মতো বিচ্ছিন্নতাবোধের প্রকাশ অস্বীকার করা যায় না। জানি না, সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার কারণে পিয়াস তাঁর স্বতন্ত্র কাব্যভুবন রচনার তাগিদ অনুভব করেছেন, নাকি নিছক প্রচলিত ধারা থেকে মুক্তির অন্বেষায় তিনি তাঁর কাব্যস্বাতন্ত্র্য সৃষ্টি করতে চেয়েছেন একাধিক প্রাকরণিক বৈশিষ্ট্যে।

সেগুলো যেমন শব্দব্যবহারের নতুনত্বে, কখনো নতুন শব্দের ব্যবহারে, একইভাবে প্রতীক ও চিত্রকল্পের অভিনবত্বে। অন্যদিকে শব্দের নতুন তাৎপর্য সৃষ্টি, সেই শব্দরূপের বা শব্দগুচ্ছের নতুন বিন্যাস পিয়াস মজিদের কবিতার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এই স্বাতন্ত্র্য সৃষ্টির টানে পিয়াসের কবিতায় একদিকে ফর্মের বৈচিত্র্য, অন্যদিকে ভাবনা-উপলব্ধির বিষয়গত বিচ্ছিন্নতাকে খ-চিত্রে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস লক্ষ করা যায়, যা মূলত কবির উপলব্ধিজাত। আপাত বিচারে যা মনে হতে পারে অসংলগ্নতা।

এতে মনোযোগী পাঠক হয়তো প্রাথমিক পর্বের বিষ্ণু দে-সুলভ দুর্বোধ্যতার প্রকাশ আবিষ্কার করতে পারেন। কিন্তু তাঁর পরিপূর্ণ গদ্যকবিতার জটিল সারগামে জৈবনিক উপলব্ধির যে-প্রকাশ তাতে কিন্তু অত্যাধুনিক জীবনের তৃষ্ণা- বিতৃষ্ণার প্রতীকী প্রতিফলন অবাস্তব কিছু নয়। প্রেমের আহবান ও আপ্যায়নে গদ্যভাষায় ছন্দিত কবিতাগুচ্ছ, ওই যে আগে বলেছি, আধুনিক চেতনার বৈপরীত্যময় উপলব্ধির প্রকাশ।

তাতে সংগোপন প্রকাশ আকাঙক্ষা ও অতৃপ্তির। অতৃপ্তির কারণ গভীর উপভোগ্যতাকে পরিতৃপ্তির সুউচ্চ চূড়ায় পৌঁছে দিতে না পারার ব্যর্থতা। তাই সেখানে প্রচলিত শব্দের ভিন্ন তাৎপর্যময় ব্যবহার, যেগুলো অপরিচিতই মনে হবে। অস্বাভাবিকও মনে হতে পারে কারো কারো কাছে।

যেমন ‘চোরাগোপ্তা ফুল’, ‘নৃত্যরত লাবণ্যপ্রেত’, ‘হাড়ে গলা মোম’, ‘বনভূমি দগ্ধ শৈত্যে’ এরকম অসংখ্য বৈপরীত্যবোধক শব্দের সাম্যে বাক্যগঠন পিয়াস মজিদের। একেবারেই নতুন, একেবারেই অভিনব বাংলাদেশের কাব্যধারায়। এমন চরিত্রের সাঁইত্রিশটি গদ্যভাষ্যে কাব্যপ্রতিমা নিয়ে পিয়াসের হিম বেহালায় শব্দঝংকার।

 

দুই

ভিন্ন চিত্ররূপে হলেও কবি পিয়াস মজিদের কবিতায়, অর্থাৎ আধুনিক চারিত্র্যের ছন্দোবদ্ধ কবিতায় দ্বৈতবোধের প্রকাশ কমবেশি অধিকাংশ কবিতায়। সেগুলোতেও পূর্বোক্ত শাব্দিক ও প্রাকরণিক তাৎপর্যের প্রকাশ। পিয়াসের ঝোঁক পূর্বাপর শব্দের নতুন অভিধা সৃষ্টির দিকে, স্বাতন্ত্র্যের অভিনবত্ব চিত্রণে। স্বল্পদৈর্ঘ্য রচনার দিকে তাঁর ঝোঁক এবং স্বল্পায়তনে বহুকথনের মর্মার্থ সৃষ্টির দিকেও।

ইতিপূর্বে লিপিবদ্ধ হাইকু চারিত্র্যের অণুকবিতাগুলোতে বরং গভীরতার ভাবব্যঞ্জনা আমার কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। যদিও জাপানি হাইকুর চিত্ররূপগত বা ব্যঞ্জনাগর্ভ সারল্যের পরিবর্তে বা বিপরীতে এগুলোতে পরিস্ফুট পিয়াস মূলত ভাবব্যঞ্জনা। সমুদ্র তাঁর উপলব্ধিতে ‘এক বিন্দু নৃত্যবিক্ষেপ’।

এখানেও বৈপরীত্যের দ্বান্দ্বিক অর্থবোধক ব্যঞ্জনা। ইতি ও নেতির কাব্যপ্রতীকে নতুন বাকভাষ্য প্রকাশ পায় এক-দুই পঙ্ক্তির বিপরীত মাত্রায় : ‘অগ্নি গলে, জ্বলে ওঠে বরফ’ ইত্যাদি পঙ্ক্তি।

রাবীন্দ্রিক অণু-পরমাণুর নৃত্যপরায়ণতার বিজ্ঞানচেতনার পরিবর্তে পিয়াসের কাব্যোপলব্ধিতে ‘নাচ’ যেন : ‘রাত্রির মঞ্জরিত ব্যথা।’

তাঁর নৃত্যকাব্যের পরিভাষা ও পরমার্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন, হয়তো অত্যাধুনিক যুগধর্ম ও বোধের আকর্ষণে। অনেকটা সারল্যে জটিলতার প্রকাশের মতন। কাব্যনৃত্যের চিত্ররূপে বিশ্বাস-বিধুর বৈপরীত্য সৃষ্টি করেছেন পিয়াস শব্দের নেতিবাদী ব্যঞ্জনায় ও বিন্যাসে।

 

 

তিন

পূর্বোক্ত স্বপ্নপূরণের কবিতা প্রসঙ্গে পিয়াসের যে-কাব্যচারিত্র্য বৈশিষ্ট্যের কথা আগেই উল্লেখ করেছি, এ-পর্বেও তার প্রকাশ কম নয়। তবে এখানে মাঝেমধ্যে আটপৌরে শব্দের সারল্যে, গভীর ভাবব্যঞ্জনার আকর্ষণীয় প্রকাশ ঘটে। আষাঢ়ের প্রাকৃত প্রেক্ষাপটে তাই কবির বিপ্রতীপ উপলব্ধি :

তোমার

পায়ের পথে

একজন;

রোদে পুড়ে

খাক হওয়া

করুণ মল্লার

শেষ তিনটি দ্বিমাত্রিক পঙ্ক্তি কাব্যামোদীদের স্পর্শ করবে। স্বল্পাকার, স্বল্পমাত্রিক কবিতাই প্রধানত পিয়াস মজিদের অন্বিষ্ট, পুনরুক্তি সত্ত্বেও বলি – তাতে তাৎপর্যের গভীরতা, সঙ্গে কিছুটা মর্মগত জটিলতা। তার অধিকাংশ কবিতাই অনুরূপ চারিত্র্যের। আলাদা করে আলোচনার ঊর্ধ্বে।

‘প্রেমের কবিতা’ শীর্ষক পঙ্ক্তিগুলোতেও দেখি অত্যাধুনিক সভ্যতার তাড়িত মানুষের প্রেমবিষয়ক অবাঞ্ছিত উপলব্ধির প্রকাশ :

আমি গত জনমের সুলতান

এই জনমে সেই কণ্টকভূষার

গর্বিত ক্রীতদাস।

পাঠক লক্ষ করতে পারেন ‘গর্বিত ক্রীতদাস’ শব্দ দুটোর মর্মার্থ।

দু-একটি কবিতায় কখনো জীবনানন্দের ব্যতিক্রমী চরিত্র উঁকি দেয় (‘দৃশ্য’) :

একটা নদী আমাকে দ্বিধাবিভক্ত করে

তিনটা শেয়াল সেটা দেখে

এবং ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা।

তবে তাঁর কাব্যচারিত্র্যের মূল প্রবণতা অতিসংক্ষিপ্ত মাত্রায় দৃষ্টি – এক বা দুই শব্দমাত্রায় গভীর কিছু প্রকাশের চিত্ররূপ তৈরির দিকে। অণুমাত্রিক খ-চিত্র রচনার প্রতি তাঁর আকর্ষণ অধিকতর – ‘আদিগন্ত’, ‘সুরভি’, ‘একালের গম্ভীরা’র মতো কবিতাগুলো তেমন কথাই বলে।

একাকিত্ব আধুনিকতার ধারাবাহিকতায় অত্যাধুনিকতার সন্তান। সঙ্গী নিঃসঙ্গতা। বিতর্কিত ভাষ্যে সূচনাটি রবীন্দ্রনাথে দৃশ্যমান। বিচ্ছিন্নতার সুতোয় ঝুলে একাকিত্ব নিঃসঙ্গতার আধার, যেমন ব্যক্তিচৈতন্যে, তেমনি তার প্রকাশ প্রধানত কবিতায়, সেইসঙ্গে কথাসাহিত্যের মর্মার্থে। মার্কেজ বা কামু এবং অনুরূপ দেশি-বিদেশি রচনায় এর করুণ দীপ্তি।

মনে হয় অত্যাধুনিক চেতনার কবি পিয়াস মজিদকেও এই বোধ স্পর্শ করেছে, তাঁর চেতনাকে বিদ্ধ করেছে। হয়তো তাই  গোধূলিগুচ্ছের সূচনাপত্রে তাঁকে দেখা যায় ‘একলা একা, গোধূলিকরোজ্জ্বল’ এক সত্তারূপে। এখানে স্বভাবতই মৃত্যুচেতনারও প্রকাশ যেন এক অবধারিত সত্যরূপে। এখানে কোথাও কোথাও হাইকু চরিত্রের কাব্যিক প্রকাশ এক মাত্রা এক মাত্রা শব্দের চিত্ররূপে।

মৃত্যু প্রসঙ্গে দুটো চমকপ্রদ পরিপূরক পঙ্ক্তি কবিতা-পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে :

জীবন ও মৃত্যু  পরস্পরের স্বাস্থ্য পান করে। সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থটিতে একাকিত্ববোধের প্রকাশ যতটা, তুলনায় সেই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুচেতনার নানামাত্রিক নান্দনিক প্রকাশ অনেক বেশি। তারুণ্যে মৃত্যুচেতনা – এও আরেক বৈপরীত্য।

শেষ কাব্যগ্রন্থের শেষ কবিতাটি (‘সমাধিবিতান’) আপাত বিচারে দীর্ঘ, ‘অ-পিয়াসী’ মনে হলেও তা পিয়াসের চেতনাগত মূলধারার অন্তর্গত। তাই প্রক্ষিপ্ত নয়। এখানেও জীবনমৃত্যু-সমাধি আলেখ্য তৈরি করেছে তাৎপর্যপূর্ণ শব্দের বয়ান।

সবশেষের কথা হলো, পিয়াস মজিদের কবিতার সংকলন নাচ, মারবেল গোধূলি দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে। ব্যক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁর কবিতাগুলো সম্পর্কে আমার উপলব্ধি সূত্রাকারে প্রকাশ করেছি, আলোচনা যথেষ্ট দীর্ঘ না হলেও তাঁর কবিতার মূলসুর এবং বিষয় ও প্রাকরণিক বৈশিষ্ট্য এতে ধরা পড়বে বলে আমার বিশ্বাস।

তরুণ কবির যাত্রাপথ কুসুমাসত্মীর্ণ হোক, ‘কণ্টকভূষা’ তাঁর জন্য নয়, অন্তত কবিতা রচনার ক্ষেত্রে। কারণ ব্যতিক্রমই তাঁর স্বাভাবিকতা।