আপ্নে কইছিলেন, ‘রক্ত আরো দেব …।’
কথা রাখ্ছেন আপ্নে, রক্তে ভাইসাই র্কছেন শেষযাত্রা।
কিন্তু কেমন যেন তালগোল পাকায়
মাথার ভিতর, মনের কোণে – এইটা কি ঠিক হইলো?
এমন কথা কি ছিল শেখ সাব? জবাব দ্যান।
চইলা যাইবেন, কিন্তু কইয়া যাইবেন না কিছু?
কত কথাই তো বলার বাকি আছিল,
তার আগেই হুট্ কইরা এমন বিদায়! মানা কষ্ট।
বড় বেরহম আপ্নে, শেখ সাব।
আবার বোকাও কওন যায় আপ্নেরে।
বুঝলেন না, এই বাঙালির রক্তে মীর জাফর থাকে।
নিঃশব্দে বিশ্বাসের ঘর কাটে নষ্টামির পোকা।
আপ্নে কইতেন, ‘ভাইয়েরা আমার …।’
বিশ্বাস করতেন, এরা আপনেরে বুকে আগলাইয়া রাখব।
এত সরল মানুষ হয় ক্যাম্নে? বুঝে আসে না।
পলাশীর ইতিহাস কি আপ্নে পড়েন নাই!
কতজনে কইলো, ‘সাবধান হন! ঘরে সাপ!’
আপনার কাছে পাত্তা পায় নাই সেই সব কথা।
ভাবছিলেন, জাগো লাইগা জীবন দিতে প্রস্তুত আছিলেন
তারা ক্যাম্নে ছোবল দ্যায়? কিন্তু দিলো তো!
স্বপ্ন দেখ্ছিলেন – ‘এই বাংলা, সোনার বাংলা’ হইব।
কিন্তু সেই পথে আপনারে আগাইতে দিলো কই?
বান্দরেরা রুটিভাগের হিসাব করল আন্ধার রাইতে,
আপনি তো চশমা ছাড়া দ্যাখেন না, তাই দ্যাখলেনও না।
নিজে তো চইলা গেলেন চুপেচাপে, কিন্তু আপনার বাঙালি?
হেগো কথা কি ভাবছিলেন, শেখ সাব?
হেরা যে দিশা পাইবো না, আবারও জিঞ্জির উঠব পায়ে,
হেই কথাডা কি ভাবা উচিত আছিল না?
আপনে নাই, তাই নিজের মনেই এইসব কথা কই;
একা একা কই, আবার চিল্লাইয়াও কই।
কেউ বুঝে, কেউ বুঝে না। হাসে দাঁত বাইর কইরা।
আমি তহন কই, ‘কী হারাইলি বুঝলি না রে বাঙালি!’