কবিতার ক্লান্তি নেই

ফারুক মাহমুদ

 

সুবিধার রজ্জু ধরে আমাদের আছে শুধু আত্মকেন্দ্রে থাকা

পরিধির ভিন্ন পাশে, বৃত্তের সামান্য শেষে থাকতে পারে কিছু –

এসব তো জ্ঞানধর্মে নেই। উলটো পথে থাকে প্রতাপের সুখ

পুরস্কার লাগবে কিছু! স্থূল, মৌন হোক-না তা গস্নানিগন্ধ মাখা

 

তুমুল সঞ্চয় হবে। বাড়ুক ব্যাংকের স্ফীতি, একাধিক হবে

ডেভিট-ক্রেডিট কার্ড। বিষয়-বাসনা হবে পাহাড়সমান

চারপাশে চাটুভাষা, তল্পির বাহকভৃত্য গড় হয়ে বসে

বিসদৃশ, বিষদৃশ্য – সবকিছু নিতে হবে ‘অতুল গৌরবে’!

 

প্রতিভা চোখের কাঁটা। কারো যদি সামান্য তা তলানিতে থাকে

শুষে নেবে, পেতে রাখো সোনালি-রুপালি রেখা, অশিল্পের জাল

ছায়াকে ‘সন্ত্রাস’ ভাবো। যতটা যাওয়ার কথা – স্থায়ী শামিত্ম চেয়ে

সক্ষম সমর্থ পথে, সেই পথ ঢেকে দাও করুণার পাঁকে

 

কৃতিত্বে কীটের বাসা! আলোর আনন্দ এলে জাপটে ধরে ভয়

অতিক্রমে পিছুটান। ভুলে থাকো – শস্যশামিত্ম চিরায়ত শেস্নাক

পরিখার পাড়ে পাড়ে পুঁতে রাখো দুর্বিষহ জাদুর পেরেক

করজোড়, নতশির, করুণার খুদকুঁড়ো – যদি কিছু হয়!

 

বধির বিদ্যার বোঝা টেনে টেনে অবসন্ন কতদূর যাবে!

তার চেয়ে আকাশের তারাগুলো একে একে খুলে দিতে থাকো

যেদিকে দুচোখ যায় – স্বপ্ন অাঁকো – সনির্বন্ধ – ছোট পরিসরে

অসম্ভব হবে কেন? চলার সাফল্য থেকে কিছু কিন্তু পাবে

 

কবিতার ক্লামিত্ম নেই। যখন বিপন্ন কাল – দাঁড়ানো সে জানে

শিল্পের সুযোগ্য পথে শুভরাত্রি, শুভদিন ঠিক বয়ে আনে