আসাদ মান্নান
আমার মাথার মধ্যে এত যে গোবর হলো চাষ
কোথাও হদিস তার আজকাল খুঁজেও পাচ্ছি না;
চারিপাশে গোবরের এত উঁচু পিরামিড! তবু
আমি কেন গোবর গোবর বলে চিৎকার করি না?
পাছে যদি প্রতিবেশী ক্ষেপে যান, আমার বদনাম
হবে – এই ভয়ে! বরং নতুন স্বপ্নে উলুবনে
মুক্তোদানা ছড়াতে ছড়াতে অঢেল গোবরভর্তি
একটা নতুন মাথা যদি পেয়ে যাই তাহলে যে
আমাকে পেছনে ফিরে মনে হয় তাকাতে হবে না –
মাথাভরা গোবরের বস্তা কাঁধে স্বর্গে উঠে যাবো :
হয়তো উন্মাদ ভেবে কেউ আর আমলে নেবে না ।
গোবরে যে পদ্ম ফোটে তার কোনো রং-গন্ধ নেই;
তবু তো ফুটেছে কিছু দুগ্ধবতী গাভীর গোবরে;
এত যে ফুটানি মারো হে মানুষ! তোমার মলেই
কত যে দুর্গন্ধ আছে তা কি তুমি ভুলে গেছো? দ্যাখো
পাথরের যোনিপথে রক্ত ঝরে বুনো সভ্যতার,
ওটাকে জড়িয়ে গায়ে ওই হাঁটে শিয়ালবাহিনী।
শিয়ালের আস্তানায় যারা থাকে তারাই চতুর;
আমি তো সরল মানু – শিয়ালের কাছেও থাকি না,
অনুর্বর শস্যক্ষেতে ছড়িয়েছি গোবরের মতো
স্বপ্নগুলো গুঁড়ো করে একদিন ফসল আসবেই :
সোনাতে ফলে না সোনা গোবরেই সোনার খামার।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.