বিদায়ী কঙ্কাল

শামীম হোসেন

হৃদপুরের মাস্টারমশাই খুলেছেন এক বিদ্যালয়। কেঁচোকে লিখতে দিয়েছেন ঘাসের রচনা। গাছগুলো চকখড়ি, আকাশকে সেস্নট করে এঁকে বোঝান বিন্দুধারণা। 

অন্ধশেয়াল হয়ে শেখান অংকের দ্যোতনা। ছাত্ররা সব জি জি করে। সমস্বরে হু-হু করে। 

এক কাঠবিড়ালি হঠাৎ করে বলে : স্যার, মহিষ কেন খেলো ওলের পাতা? ওই ছোড়াটা ভাঙলো ব্যাঙের ছাতা। বাঘের মতো কুকুরগুলো সব, সুই-সুতাতে গাঁথলো কলরব। পিঁপড়াগুলো লাইন ধরে আসে, ক্লাসের ভেতর খিলখিলিয়ে হাসে। গাছে চড়ে গিটার বাজায় ছাগল, মাথা দোলায় বিদ্যালয়ের পাগল। একটা খড়িশ ফণা তুলে পড়ে, একা একা থাকে নিজের ঘরে। ঘর পালানো হাতিটাকে আজ, কান মলে দেয় মসত্ম বড় বাজ।

মাস্টারমশাই একেবারে চুপ

ছাত্ররা সব দেখে তাহার রূপ। একদা বিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিল এক কালো হরিণ। মোহিনীবিদ্যার ঝিলিক ছিল তার চোখের ভেতর। ছন্দ-শাসিত আলোকপর্বের গুহায় হারিয়ে গেছে সেই কর্ণেজপ। এখন
কোথাও কোনো আলো নেই। জলের গ্রহে বিদ্যালয় নেই। দূর কোনো বনের মধ্যে শুকনো পাতার ওপর পড়ে আছে অজগরের বিদায়ী কংকাল।  

Published :


Comments

Leave a Reply