আবুবকর সিদ্দিক
কামে ও প্রেমে ক্ষারকাচা হতে হতে সেই
কবিমানুষটা দেখো
ফৌত হয়ে এসেছে শেষটা।
জহুরিরা চিরকাল নির্বিকার তার
জীবনভর আত্মব্রতী লেখালেখি নিয়ে।
পাঠকেরা ভুলো উদাসীন।
পথে তার বিছিয়ে দেয়নি কেউ
গোলাপপাপড়ি।
প্রিয় নারী ক্লীবের অধিক তাকে পোছেনি কখনো।
এমনকি পড়শিরা কেউ
তাকে নিয়ে ঘামায়নি মাথা।
পৃথিবী ঘুমের ঘোরে সংজ্ঞালুপ্ত হলে
জেগে উঠত গোক্ষুরফণা।
আগ্নেয় গরলপিন্ড মোক্ষণ করে
মোক্ষম হরফগুলো ঢেলে দিত কবি।
কার উপর ছিল তার ঝাঁজালো রিরংসা এত?
আমৃত্যু পাঁজরকূপে অভিমান পুষে
বুঁদ হয়ে পড়ে থাকত গোটা দিনমান।
গভীর গভীরতর রাত্তিরে সমুদ্রতলে নেমে
হাতড়াত গর্ভিনী ঝিনুক।
শুধু খোঁড়াখুঁড়ি শুধু রক্তারক্তি সার।
কিবা মৃত্যু! কিবা অমরত্ব!
কবিভাগ্যে নিষিদ্ধ শান্তিউপত্যকা।
সৃষ্টি-স্থিতি-লয় নিয়ে কবিতাকোটরে
তিলে তিলে নিয়েছিল গড়ে
আপনদর্শন।
কাকপক্ষীর চোখের আড়ালে
এ পৃথিবীর ক্ষয় ও শুদ্ধিপর্বে
জেহাদি শহীদ হয়ে গেছে
সে এক নিঃশব্দ শব্দকারিগর।
১০.১২.২০১১
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.