শ্যামলকান্তি দাশ
ঘুমের মধ্যে আমি শেষবারের মতো
নগ্ন হয়ে গেলাম।
ভাবলাম এবার আমি সম্পূর্ণ চোখে
আকাশ দেখব, আকাশে টানা লম্বা
শরৎলেখা দেখব। কিন্তু তার আগে
রাত্রি বারোটা চলিস্নশ মিনিটে
ঘুমের পোশাকে নগ্নতার ছিটে লেগে গেল।
খানিকটা আগুন আর কিছুটা অঙ্গার।
চারপাশে রাস্তা।
রাস্তার চারপাশে কিলবিল করছে
মানুষের দীর্ঘ ঘুম।
যাই কোথায় এবার!
পাগলের মতো মুক্তির উপায় খুঁজে বেড়াতে লাগলাম।
এত নগ্নতা নিয়ে সত্যিই বেশিদূর
এগোনো যায় না।
মাঝখানে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য একটা বাধার প্রাচীর।
ভয় করে। গায়ে কাঁটা দেয়!
দুঃসময়ের এই সুসময়ে
রবিউল হুসাইন
দুঃসময়ের এই সুসময়ে ছিল নিগূঢ়তা
শূন্যতার দৃশ্যমান অদৃশ্য পরিচয়ই আকাশ
রাতে ফিরে আসে অপূর্ণ সম্পূর্ণতা
বিসত্মৃত আঁধারের অসিত্মত্বহীন অসিত্মত্ব নিয়েই বাতাস
ক্ষয়ে যায় নিয়মিত অনিয়মের প্রাচুর্য
দৃশ্যময় নয় অথচ দেখা যায় স্পষ্ট
কিছুই শোনা যায় না অথচ শোনা যায় কী মাধুর্য
দূরে যায় কাছে আসে মিলে যায় অমলিন অদৃষ্ট
নিঃশূন্য পরিপূর্ণতার একটি প্রিয় রূপ অপ্রিয়দর্শিনী
জনাকীর্ণ মাঠে একাকী নির্জনে ওড়ে অন্ধ এক নীলমীলিক
ধীরে আলোকিত তবুও ঢেকে যায় আঁধারে দিগন্ততটিনী
সহস্র বঙ্কিমচন্দ্রের নীলাভায় অনীলাবিম্বিত দিগ্বিদিক
কেউ এসে চলে যায় অকারণে অবেলায়
কেউ না এসে রয়ে যায় বিস্মরণে নিরালায়
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.