সেলিনা হোসেন
-
জমি দিয়ে মানুষ কেনা
সেলিনা হোসেন ঝর্ণার বয়স বাড়ে, কিন্তু শরীর বাড়ে না। শেষ পর্যন্ত ও একটি বামন মেয়ে হয়ে থাকে। বুঝতে শেখার পর থেকে এ-নিয়ে ওর দুঃখের শেষ নেই। একজন মেয়ে এভাবে বড় হলে ওর নিজের কিছু করার থাকে না, কিন্তু বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী যখন নানা কথা বলে তখন ওর সামনে দুনিয়া ভেঙে আঁধার নামে। ও কেঁদেকেটে…
-
একা দাঁড়িয়ে থাকা
সেলিনা হোসেন তিন বছর বয়সে রূপশ্রী বাবাকে হারিয়েছে। ও এখন একুশ বছর বয়সের তরুণী। লেখাপড়া শেষ করে চাকরিতে ঢোকার প্রস্ত্ততি নিচ্ছে। বাবার কোনো স্মৃতি ওর নেই। মা বলেছে, ওর নামটি বাবা রেখেছে। ওর জন্য এটুকু একটি সম্বল। নিজেকে ফিরে দেখার সময় এই সম্বল সহযোগিতা করে। বিশেষ করে সম্পর্কের ভালো-মন্দের হিসেবে। রূপশ্রীর বেড়ে ওঠা এই সূত্র…
-
মধ্যরাতে মৃত্যুভাবনার জটিলতা
সেলিনা হোসেন প্রচ- আতঙ্কে গভীর রাতে ঘুম ভাঙে শাওমত্মীর। যে-স্বপ্নটা দেখে ওর ঘুম ভাঙে সে-স্বপ্নটা অত ভয়াবহ ছিল না, তবু ভয় পায়। স্বপ্নে ওর মা ওকে ডেকেছে। বলেছে, চলো আমরা অন্য কোথাও যাই। ও জিজ্ঞেস করেছে, কোথায়? মা উত্তর দেয়নি। মৃদু হেসে ওর হাত ধরেছিল। ও বলেছে, আমি তোমার সঙ্গে যাব না মা। তুমি তো…
-
যে-সকালে রোদ ওঠেনি
সেলিনা হোসেন আকস্মিকভাবে এসআই মকবুলের পোষা কুকুরটি মরে গেল। ভীষণ মন খারাপ তার। বিষাদের আচ্ছন্নতা কাটিয়ে উঠতে পারে না। দুঃখ আরো এজন্য যে, কী হয়েছিল তা বুঝেই উঠতে পারল না, ডাক্তারের কাছে নেওয়াও হলো না, এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন। হোক তা পোষা প্রাণী তাতে কিছু আসে-যায় না, সে যদি একজন মানুষের প্রিয় প্রাণী হয়…