ওবায়েদ আকাশ
-
প্রতিবিম্বে পাওয়া মায়ের মুখ
ওবায়েদ আকাশ গাছের বাকল ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে শৈশব কিন্তু আজ সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কী করে মায়ের কাছে যাবো? মা এখনো আগের মতোই স্বজাত রাঁধুনি আমার হাতের শিকারের পাখির আশায় দিনের পর দিন উনুনে আগুন জ্বালিয়ে রাখেন সশব্দ জাহাজ ভেড়ার শব্দ উড়ে এলো সেখান থেকে হুড়মুড় করে লাফিয়ে পড়ল প্রসিদ্ধ রান্নার মসলা…
-
মায়াটান
ওবায়েদ আকাশ মায়াটান একাই বেড়াতে আসে, হাসে – তোমার কি বড়সড় ঘর, চোখমুখ, গ্রীবাকাঁধ সঙ্গে নিয়েই ভ্রমণবিলাসী হওয়া যাবে? দীর্ঘায়ু মুঠো করে আলোয় উড়িয়ে দেওয়া মনোবল এখনো কি বোতলে নিবদ্ধ জারক, মেঘের রুপালি জলে অবিকল ফিরে পাওয়া যাবে? এক হাতে বাঁশি আর তৃষ্ণা দুধে ভাতে বলো তো পরিচ্ছন্ন ঘুমে স্বপ্নেরা খেয়েপরে ঘুম…
-
আছি
ওবায়েদ আকাশ আছি, আদতে এই বলে চিলের পাখনার নিচে উড়িয়ে দিচ্ছি পতাকার মতো গর্বিত জীবন আজন্ম ঘুম-সন্তরণ এখনো জলের ওপারে উজ্জ্বল প্রান্ত ধরে টান দিতেই ঝুরঝুর করে বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে আছি যে এর বেশি সত্যতা থাকে সমুদ্রের সোনালি প্রহর মেঘ-নীল বসন্তের রেখায় অবারিত মিথ্যে জীবনে একবার ঘুমিয়ে গেলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে পাহাড়ে-চূড়ায়…
-
চিত্রকল্পের ঘুম
ওবায়েদ আকাশ ক. ভিক্ষাবৃত্তি খয়েরি আলোর ঠোঁটে নির্বিঘ্নে জ্বলছে তোমার বুক শখ করে কিনে আনা মাটির হাঁড়িতে লেগে ছিল খয়েরি চাঁদমুখ ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে গেছে কুমোরের প্রাজ্ঞ দুটি হাত সেই থেকে গোলাপি চাঁদের দিকে চেয়ে আছে বাড়ি আজ আবার দড়ি টানো, বাঁধ ভেঙে জল টেনে আনো সাগরে জলের প্রযত্ন থেকে কেড়ে…
-
অযান্ত্রিক ছেলেবেলা
ওবায়েদ আকাশ অযান্ত্রিক ছেলেবেলাগুলো ছায়াবাতাসের গ্রীবায় মুহূর্তে উড়ে যায় তার এক পালক তোমার আর অবশিষ্টগুলো আমাদের নস্টালজিয়া-সমগ্র ১, ২, ৩… আমরা যেদিন থেকে নস্টালজিক হতে শিখেছি পুকুরের মাছ ধরে এনে পরিপালন করছি কবুতরের খাঁচায় ইচ্ছে হলে ভোরবেলার দরজা খুলে সারামাঠ ঘুরিয়ে এনে ঠিক আবার পৌঁছে দিচ্ছি বনবেড়াল, বুনোখরগোশের জন্য সুনির্দিষ্ট খোঁয়াড়ের ভেতর …