ওবায়েদ আকাশ
মায়াটান একাই বেড়াতে আসে, হাসে –
তোমার কি বড়সড় ঘর, চোখমুখ, গ্রীবাকাঁধ সঙ্গে নিয়েই
ভ্রমণবিলাসী হওয়া যাবে?
দীর্ঘায়ু মুঠো করে আলোয় উড়িয়ে দেওয়া মনোবল
এখনো কি বোতলে নিবদ্ধ জারক, মেঘের রুপালি জলে
অবিকল ফিরে পাওয়া যাবে?
এক হাতে বাঁশি আর তৃষ্ণা দুধে ভাতে
বলো তো পরিচ্ছন্ন ঘুমে স্বপ্নেরা খেয়েপরে
ঘুম ভেঙে বৈকালিক ভ্রমণে আসে কুমার নদের তীরে?
আমগাছ দীঘিতে ঝাঁপিয়ে পড়ায়, পাকুড়পাতা-নাও আর
ডিঙি নায়ে মাছ ধরে ঘরে ফিরে জ্বরের প্রকোপে পড়া –
এসব পুরনো খেলায় মায়াটান উদাস পোশাক পরে
শুয়ে আছে; ঘুমের কঙ্কাল খুঁড়ে
বৃষ্টি তো কাপালিক নয়, বললাম
আর আমাদের কপাল ভিজিয়ে দিয়ে নদের কিনারে জিরিয়ে নেবে বেলা
তোমারও কত খেলা
দেখে দেখে এই মায়া এই অভ্যাসবশতা যা গলগ্রহ ছাড়া অন্য কিছু নয়
অন্তত তোমার কাছে
যখন এসেই পড়েছে, মায়াটান
ও জাদুবাস্তবতা তোমার চোখের ওপর আঙুল বুলিয়ে যাক
আর ওপরে তাকাও, দেখো কী কী ছুঁতে চায় মন
আর পড়ে যেতে যেতে তোমার দেহের কী হাল হলো…
তার চে’ বরং এই বেলা আবার মায়ায় জড়ানো যাক
কথা রাখো
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.