নাসরীন জাহান
-
রূপকথা
নাসরীন জাহান উড়ছিলাম। খাঁ-খাঁ দুপুরে এক বিশাল আসমান জুড়ে। একাকী। ডানার রোমগুলো রিমঝিম রোদ্দুরে ঝলসে উজ্জ্বল করে তুলছিল আমার অবয়ব। বন্ধুরা কি দুপুরঘুম দিচ্ছে? অদ্ভুত এক বিষণ্ণতা আচমকা গ্রাস করে আমাকে। মহা অতলে একাকী এক রাজপুত্র দিঘিতে সাঁতার কাটছিল। ছেলেটির রূপের ছটায় রৌদ্রও তার প্রেমে পড়ে নিজ আলোর মধ্য ছড়িয়ে দিচ্ছিল সাতনরি…
-
অন্যতমা অন্যদিকে যায়
নাসরীন জাহান আমি বিমূঢ়, সত্মব্ধ বিস্মিত, ধেয়ে আসছে নদীটি… যার স্রোতের নির্মল ঢেউয়ে প্রচ্ছন্ন ছায়া ফেলছিল অরেঞ্জ রং… ভাঁজে-ভাঁজে যেন আকাশের মেঘ… তুলো-তুলো কখনো, কখনো হরিণ… হাতি… কিন্তু আমি জলের মধ্যেও শুধু হাজারো ঢেউ ভেঙে একটা মুখকে স্থিত হতে দেখেছি। যার চোখ কেবল আমাকে দেখলেই ভাষা বদলায় দেখি। সেই নদী… বন্যার উদ্দামতা নিয়ে… কোমল নখর-মিশ্রণ…
-
শহর অথবা একটি গতানুগতিক গল্প
নাসরীন জাহান দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছরের জীবনে যাকে কোনোদিন মনে রাখার মতো একবিন্দু অসুস্থতা স্পর্শ করেনি, সে একদিন সন্ধ্যায় বাইরে থেকে ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়ল। তার স্ত্রী উঠোনটাকে ধোঁয়ার আখড়া বানিয়ে খড় দিয়ে ভাত জ্বাল দিচ্ছিল। চুলোর তিনটে ইটের একটা ঈষৎ নিচ হওয়াতে কাত হয়ে ছিল ডেকচি। সেটা সোজা করে বসানোর প্রচেষ্টা করতে করতেই চোখ গেল…
-
তারপর? প্রেম তারপর? যৌতুক : তারপর? অনন্ত আঁধার অথবা…
নাসরীন জাহান আমাদের দুজনের মধ্যে গভীর প্রেম… কবে থেকে? বিয়ের পর থেকে… ধীরে ধীরে দুজন অনুভব করেছি। বিয়ের আগে? হ্যাঁ! তখন তো আমাদের পরিচয়ই ছিল না, মা-বাবাকে কনভিন্স করে যৌতুকহীন বিয়ে করেছি, বুঝতে শেখার আগ পর্যন্ত যৌতুককে আমার ঘৃণা… তারপর? ফুরুৎ… রক্তাক্ত দেহটা পুরনো টিউবের সবুজ শ্যাওলায় ঘোলানো হলুদাভ আলোতে দুর্ধর্ষ-রঙিন পেইন্টিংয়ের মতো লাগছে। জানালার…