বিশ্বজিৎ মণ্ডল

  • অভিমান

    অভিমানেরও নিজস্ব বারান্দা আছে … অনুভব ক্রুদ্ধ হলে, মাশরুমের মতো মেলে ধরি অবুঝ ডানা ঠিক তখন মানস উপবন বেয়ে একদল দুর্বৃত্ত ছুটিয়ে যায় – হোর্ডিংয়ে আঁকা নীল ঘোড়া তারপর শহরটা নিকটস্থ হলে ডায়েরি থেকে তুলে আনি, ঈশ্বরকে লেখা                যাবতীয় শব্দাবলি

  • অন্য এক শমীবৃক্ষ

    ১. আঠারোটা বছর কম নয় অনন্ত শাবকও সারস বনে যায় এভাবেই আপনার সুপটু মসিতে একদিন বেড়ে উঠেছিল, শমীবৃক্ষ কালের ধ্বনিতে বেজে ওঠে সেই কালি ও কলম প্রসন্ন আকাশে উজাগর নক্ষত্রের মতো কাটালেন সত্তরটা বছর … অভাবনীয় পারদর্শিতায় ভাসালেন দু-পার বাংলা ভাষার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে আজ আপনি পুবালি দিগন্ত আপনার সুপটু লেখনীতে একাকার বাংলার উপকূল নির্মাণে গড়ে…

  • নবাবিপনা

    বিশ্বজিৎ মণ্ডল   এক যাও, আজ থেকে আমি অবাধ্য সিরাজ –   অসংযত পর্যটনে নেমে আমি আসন্তাবলে থইথই শহরজুড়ে উড়ছে, কামানদাগার আর্তনাদ ভুলে গেছি – নপুংসক, অন্ধ তীরন্দাজের দল অস্ফুটে সাজিয়ে রেখেছি, রুগ্ণ খাতা, অতিথি ওয়ারড্রব   মীরমদন বাস টার্মিনালে জ্বলে ওঠে, তপ্ত দুপুর … সিরাজপনা ছেড়ে সরে দাঁড়াই বিপ্রতীপে চন্দ্রাহত হয়ে খুঁজতে থাকি, বাইজিমহল…

  • পরাগ আঁকা ফুল

    বিশ্বজিৎ মণ্ডল সেভাবেই তাঁকে দেখেছি, উত্তাল পদ্মা ভেঙে ছুটে আসছে নিরন্তর শব্দের ধ্বনি… পাড়ায় পাড়ায় হর্ষধ্বনিতে জেগে ওঠে তাঁর অলৌকিক কলম কতবার মাঝরাতে বিছানা ছেড়ে উঠে গেছি তাঁর আঁকা অলীক জ্যোৎস্নায় ভিজবো বলে কতবার উদাত্ত ডাকে খুঁজেছি, তোমার শব্দের ওম দেখেছি প্রলুব্ধ হাতছানিতে কেউ যেন সাজিয়ে দিয়েছেন, বাংলার এইসব অর্যমা উপবন নিষেধ না মেনে গেয়েছি…

  • বকলম

    বিশ্বজিৎ মণ্ডল   ঘরকন্না ছেড়ে সোমত্ত বেরিয়ে পড়লে আমার সঙ্গে…   নির্বিকল্প জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে – বৈষ্ণবীর ধাম আধ-হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে কখনো কৃষ্ণনাম ভুলে উচ্চারণ করেছো – পরিযায়ী প্রণয়ীর   যেভাবেই ভেবেছো পরিত্যক্ত সংসার… বিষাক্ত গ্রহ থেকে ঝিরিজল বেয়ে ধুয়ে গ্যাছে তোমার প্রাক্তন জীবন   ঘর আর ছাড়লাম কোথায়? তুলসীতলায় প্রবঞ্চনা খুলে রেখে, শুরু করি…