বিশ্বজিৎ মণ্ডল

  • প্রজাপতির মৃত্যু

    উপত্যকায় দাঁড়িয়ে দেখেছি – প্রজাপতির মৃত্যু ডানা থেকে খসে পড়ে অস্ফুট পৃথিবীর গোপন শব্দ ছাল-বাকল ছাড়ানো পত্র থেকে গড়িয়ে পড়েছে                           চৌষট্টি কলার শৃঙ্গার মুহূর্ত অপরূপ বৃষ্টি ভেজার পর পুরোধা সেজে উঠি, প্রণয়পুরুষ তর্জনীতে জমে ওঠা নীল মেঘে খেলছে –                               হরিণীর অশান্ত রমণ প্রজাপতিটা উড়তে চেয়েছিল, অবুঝ খিলানে ততক্ষণে যোনিকুম্ভে দাউ দাউ জ্বলে উঠেছে…

  • ইচ্ছে কথা

    প্রতিদিন সকালে খুন হয় আমার ইচ্ছেগুলো … বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে আমি বনে যাই                                        সোমত্ত খুনি আমার উদ্দিষ্ট নামে কারা যেন এঁকে দেয় – দীর্ঘ এফআইআর … খুন হতে দেখে পাড়াতুতো সন্ন্যাসিনী গেয়ে ওঠেন সকালের শোকসংগীত অথচ আমার পাপরাঙা হাত থেকে প্রতিদিন আমার বউ লুফে নিচ্ছেন – অদৃশ্য গোলাপ ইচ্ছেগুলো তো অধরা ….…

  • অভিমান

    অভিমানেরও নিজস্ব বারান্দা আছে … অনুভব ক্রুদ্ধ হলে, মাশরুমের মতো মেলে ধরি অবুঝ ডানা ঠিক তখন মানস উপবন বেয়ে একদল দুর্বৃত্ত ছুটিয়ে যায় – হোর্ডিংয়ে আঁকা নীল ঘোড়া তারপর শহরটা নিকটস্থ হলে ডায়েরি থেকে তুলে আনি, ঈশ্বরকে লেখা                যাবতীয় শব্দাবলি

  • দৈব

    মাঝে মাঝে এভাবেই একা হয়ে যাই – মৃত্যুর সবুজ সরণিতে ব্যথাতুর গানে কোনো ভিখারি জানিয়ে যায় – তার শেষ                                               ইচ্ছের কথা প্রপঞ্চ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে দেখেছি, মাতাল অবয়ব ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে যিশু এঁকেছিলেন –                                      ক্ষমাসুন্দর কোনো রুকস্যাক ক্রমশ ভুলে যাচ্ছি – আমাদের মধ্যযুগ, মনসামঙ্গলের রাত কিংবা বেহুলার বিমর্ষ উচ্চারণ … প্রতিদিন উপাচার এঁকে…

  • অন্য এক শমীবৃক্ষ

    ১. আঠারোটা বছর কম নয় অনন্ত শাবকও সারস বনে যায় এভাবেই আপনার সুপটু মসিতে একদিন বেড়ে উঠেছিল, শমীবৃক্ষ কালের ধ্বনিতে বেজে ওঠে সেই কালি ও কলম প্রসন্ন আকাশে উজাগর নক্ষত্রের মতো কাটালেন সত্তরটা বছর … অভাবনীয় পারদর্শিতায় ভাসালেন দু-পার বাংলা ভাষার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে আজ আপনি পুবালি দিগন্ত আপনার সুপটু লেখনীতে একাকার বাংলার উপকূল নির্মাণে গড়ে…