মঈন শেখ

  • গুজবের গ্যাঁড়া

    গুজবের গ্যাঁড়া

    ও তমিরের বাপ, শুনিজেন, কী সব্বনাশে কদাগো। তুমি না হয় যাইও না। ছাতার মাথায় বাঁধা বোচকাটা রমজান ফকির কাঁধে তুলেছে মাত্র। এমন সময় পেছন থেকে বাধা পড়ল। তাকে আর থামায় কে। মুখ তো মুখ নয়, দুধারী করাত। রাগলে তার মুখে ভালো কথা কেউ শোনেনি কোনোদিন। নাম রমজান হলে কী হবে, তাকে রোজা করতে কেউ দেখেছে…

  • বাংলাদেশের মানস-কবি জসীমউদ্দীন

    বাংলাদেশের মানস-কবি জসীমউদ্দীন

    জসীমউদ্দীন আসলে বাংলাদেশের মানুষের মন ও মননের কথা পড়তে পেরেছিলেন।

  • শহীদ কাদরী : নিজকীয় বৈশিষ্ট্যের এক অনন্য কবি

    মঈন শেখ শহীদ কাদরী (১৯৪২-২০১৬) লিখেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু লিখেছেন খুবই অল্প। তাঁর কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা চার। এই চারটি গ্রন্থে কবিতা রয়েছে ১৫০টির মতো। আবার গ্রন্থ চারটির প্রকাশকাল দেখেও আমরা বিস্মিত হই। প্রথমটি অর্থাৎ উত্তরাধিকার প্রকাশিত হয় কবির ২৫ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়…

  • গঙ্গা : জাল-জল ও জেলে-জীবনের গৃহস্থালি

    মঈন শেখ বাংলা সাহিত্যের জমিন সরস করেছে নদী। গানে, গল্পে, কবিতা, উপন্যাসে, সবখানে নদীর আধিপত্য সবার আগে। নদীর উপস্থিতি যতটা মনে ততটা মননে। উপমা, উপমান কিংবা সরাসরি নদী আর বাংলা একাকার। তাছাড়া বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে নদী যতটা জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, অন্য কোথাও তা হয়তো নেই। আর এ কারণে বাঙালির প্রতিটি ক্ষেত্র অর্থাৎ, শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য,…

  • দেহমন্দিরে যোগ্য পুরোহিত

    মঈন শেখ বাংলা সাহিত্যের কাব্যধারার প্রধান উপাদান প্রেম। প্রেমের বিচিত্র রূপ এসেছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। আর সে-সূত্রেই আমরা পেয়েছি কবির এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য। তবে এ-প্রেমের মাত্রা সর্বোচ্চতা পেয়েছে মানবপ্রেমে। আর মানবপ্রেমর যে-দিকটা প্রাধান্য পেয়েছে, তা নর-নারীর প্রেম, যার লক্ষ্য থাকে মিলনে। এই মিলন প্রেমিক যুগলকে দেয় তাদের প্রেমের সার্থকতা, পূর্ণতা দেয়…