মাহবুব বারী

মাহবুব বারী   সংসারে আর একটি সংসার কেন পেতেছ এ কি তবে শুধু খেলা? সংসারে আর সংসারে এ-খেলাতে কোন বেলাতে কখন কোথায় থাকো যে মানুষ তুমি কেমন করে পার হও তুমি আবার আসো ফিরে দিনে-রাতে আসা-যাওয়ার পথে, কত শত মতে সঙ্গী পাবে কাকে, বন্ধু হবে কারা, গুরু হবে কে যে মানুষ তুমি পথের মতো যেতে…

মাহবুব বারী   শান-বাঁধানো ঘাটে বসে আছে একজন। দৃষ্টি নিবদ্ধ পুকুরের জলে।   আমরা চারজন দূর থেকে দেখছি – জল কেমন করে জলের সাথে মিশে আছে! মানুষ কেন পারে না? – এই কথাই ভেবে যাচ্ছে শুধু – একজন বলে উঠল। অন্যজন বলল, এমন হতে পারে ব্যর্থ প্রেমিক কোনো, হৃদয়ের ক্ষত যদি দূর হয় এইখানে বসে…

মাহবুব বারী   বীথি, কনের মতোই সেজেছিলে, অন্যের সমস্ত অলঙ্কার পরে, বিকেল গেছে সজ্জায়, সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে কোনো মন নেই, বইয়ের ওপর যখন হাত, তখন আরেকজনের হাতে হাত পড়ে, কেঁপে উঠেছিলে, বাইরে তখন উথাল-পাতাল বাতাস –   বাতি নিভে গেছে, অন্ধকারে এমন সময় কার না বুক কাঁপে, শিহরণে এক শীতল উত্তাপ বুকের উপর থেকে নিচের…

মাহবুব বারী   নির্জনতা খুব ভালোবাসত, অনন্ত; তাই সে নির্জনতায় ঢুকে নির্জনতা না দেখে চিৎকার করে ওঠে। তার স্ত্রী তখন কোলাহলে ব্যস্ত। চিৎকার শুনে হন্তদন্ত হয়ে নির্জনতা পৌঁছে দিলো। নির্জনতার ঘ্রাণ নিল সে, প্রাণভরে। তারপর দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ নির্জনতার মধ্যে ডুবে থাকল – কী সুন্দর নির্জনতা! ঘুমেভরা আচ্ছন্ন মায়াবী! এরকমই আকাঙ্ক্ষা ছিল, চেয়েছিল এরকমই…

মাহবুব বারী   আমি সব সময়ই ভাবি চশমাটা কেমন! তুমি যখন চশমায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠো তোমার স্বভাবের মতো, তখন তুমি অন্তরঙ্গ হয়ে মিশে যাও চশমার ফ্রেমে কিন্তু তুমি কি জানো তুমি কতটা দূরে দেখতে পাও?   আমি আরো ভাবি চশমা আবিষ্কারের আগের কথা – তখন কী হতো? প্রত্যেকেই দেখত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভালো কিংবা মন্দ…

মাহবুব বারী   এক বালিকাবন্ধু আমার, তোমাকে দেবো কল্পনার উড়ন্ত ডানা সমুদ্রের স্বপ্ন দেবো গান দেবো আকাশের প্রেম দেবো নানা রঙের, আর দেবো তারা-ভরা রাতের আলো জোছনার চাঁদ; আমাকে শুধু সঙ্গে নিয়ো আর কিছু তো নাই যে আমার সাধ।   দুই স্বপ্ন নেই কোনো তবু স্বপ্ন দেখি বালিকার মুখখানি দেখে, কোথায় গন্তব্য তোমার, কোথায় রেখেছ…