ওবায়েদ আকাশ
গাছের বাকল ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে শৈশব
কিন্তু আজ সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কী করে মায়ের কাছে যাবো?
মা এখনো আগের মতোই স্বজাত রাঁধুনি
আমার হাতের শিকারের পাখির আশায় দিনের পর দিন
উনুনে আগুন জ্বালিয়ে রাখেন
সশব্দ জাহাজ ভেড়ার শব্দ উড়ে এলো
সেখান থেকে হুড়মুড় করে লাফিয়ে পড়ল
প্রসিদ্ধ রান্নার মসলা – যা ভিনদেশি মোড়কে সুদৃশ্য!
ঝাঁপিয়ে পড়ল উঠোনে বাঁধা লাল গাভীটার দুধ, ভাতের সুস্বাদ এবং
নভোম-লের নিগূঢ় রহস্যঘেরা টালমাটাল কৈশোরক দিন!
কে যেন আমাকে অশ্বত্থতলায় জলের নিচে
মায়ের মুখের প্রতিবিম্ব খুঁজতে দেখে
মাথা ঘুরে সর্ষেফুলের হলুদ শরীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল –
বিপরীতে প্রতিবিম্বে পাওয়া মায়ের মুখ নিয়ে
সে-ই যে সাঁতরে চলেছি – এখনও অবধি তার
মুখটার দিকেই সুনিশ্চয় করে তাকিয়ে দেখা হলো না, কিংবা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার দিনগুলো – মায়ের মুখে এখনো উজ্জ্বল নাকি
পরিশ্রান্ত প্রজাপতির মতো নরম পালকে আবর্তিত হচ্ছে
একবার মনেই এলো না
এভাবেই তো সাত সমুদ্র সাঁতরে পেরিয়ে আসা!
আর শতাব্দীর নিমগ্ন অধরে জলের তোড়ে হারিয়ে ফেলা
মায়ের মুখ, মাছের পাখনার মতো তার সোনালি আঁচল
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.