আমি মাতাহারি

আমার চোখ বাঁধা থাকবে না

ফায়ারিং স্কোয়াডের অন্ধকার ভেদ করে

জ্বলে উঠলো তার কণ্ঠ

নিজের সাথে স্বগতোক্তি – আমি মাতাহারি

আমি নিরপরাধ

জানি অভিযোগগুলো সাজানো

আইনগুলো বানানো

হিংসারা হিংস্র

গুপ্তচর আর যৌনতার অভিযোগ প্রহসন  

ভাবি, কত নিরপরাধী হয়েছে ডাইনি

আর পুড়িয়ে মেরেছে বীরপুরুষেরা

কারাকক্ষে স্মৃতি ছিল একমাত্র সহায়

কৈশোরের রুটির গন্ধ নাকে এসে

লাগলে বুঁদ হয়ে থাকতাম

এই পুরুষপীড়িত সমাজে

অপরাধ মেনে নেওয়া মুক্তির উপায়

বড় লজ্জার কথা গণতান্ত্রিক ইউরোপ 

মুক্তকণ্ঠ আর নারী স্বাধীনতার

ঈর্ষায় খাক হয়ে যাওয়া ইউরোপ

খুঁজে পেয়েছে অপরাধ 

সৌন্দর্য আর প্রতিবাদে

আমার দেহের ভাঁজে দৌড়ে বেড়ায়

যাদের লোলুপ আকাক্সক্ষা

সকাল-সন্ধ্যা তীব্র হয় অভিযোগ 

না পাওয়ার বেদনায় বাড়ে লেলিহান

আর পোষা ইথারে রটিয়ে দেয়

মাতাহারি দেশের মাথা কেটে 

উপঢৌকন দেবে জার্মানদের

সৌন্দর্য আর দেশপ্রেমের অপরাধে

অভিযুক্ত ক্লিওপেট্রার কথা খুব মনে পড়ছে

হা হতোস্মি

আমি মাতাহারি এক নাইটিংগেল

বুকের রক্তে ফুটিয়েছি নীল গোলাপ

জ্বলছি জন্ম থেকে

তবু পরাজিত হইনি কখনো

এমনকি এই পাতানো মৃত্যুমঞ্চেও না    

বরং বিচারের পরাকাষ্ঠায় দাঁড়িয়ে

হেসে উঠছি হা হা 

পৃথিবী দেখুক 

নগ্ন আদিম স্তনের অন্ধকারে

উদ্ধত নিরপরাধ এক নারী

মাতাহারি