ক্ষণজন্মা

(কবি মাহমুদ আল জামানকে নিবেদিত)

ক্ষণজন্মা ভোরে সহজ আলোর ভেতর দিয়ে যে যায় সে দীর্ঘ

যায়। ধুধু মরুভূমি নিশ্চিত জেনেও উদাসীন দিন ও রাত্রির

মর্মতলে স্মৃতিজাগানিয়া দৃশ্যসীমার ভেতরে শেষ ট্রেন ধরবে

বলে যারা বনভূমি উজাড় করে মৃত্যু ডেকে আনে তারা কি

শেষ পৃথিবীর যাত্রী? যারা পাথরে মুখ গুঁজে মৌন হয়ে আছে

লাবণ্যহীন বিষণ্ন তারা হিংস্রতা বোঝে না, জীবন অনিশ্চিত

জেনেও দীর্ঘ প্রাপ্যতা থেকে জিজ্ঞাসা চিহ্নের কাছে থিতু হয়ে

আছে! একদা সোজা পথ ভেবে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে গিয়ে

দেখি ক্লান্তির বলিরেখা উপেক্ষা ও অপেক্ষার ছায়ার নিচে

নিস্তব্ধ হয়ে আছে। মানুষের বিচ্ছিন্নতার স্বাধীনতাও কম

গ্লানির কম অস্থিরতার নয়। এই যে আমরা যারা বেঁচে আছি

এই থাকাটাকে কি থাকা বলে? সেই কবে সুখ ও শান্তির

হাওয়াকল স্তব্ধ ও বিবর্ণ হয়ে আছে। কোথাও আর বটবৃক্ষের

ছায়া নেই। কীভাবে প্রতিদিন আমরা মৃত টেবিলে বসে জীবন

দেখি তাচ্ছিল্য দেখি লোভের সারমর্ম দেখি তা ব্যাখ্যা করবার

মতো আজ আর কোনো মন ও নির্জনতা দেখি না! চারদিকে

মূর্খের কোলাহল, অসহিষ্ণু লবণাক্ত জল আর অব্যর্থ হনন