দেহঘড়ি

মেঘের জামা পরে বিষণ্ন রোদ আসে পুবের জানালা খুলে

করুণ ভায়োলিন বাতাসের মৌনতা ভাঙে

শ্রাবণ রোদ্দুরে পথের দুধারে ঝুলে থাকা পাটের মতো

শুভ্র চুলগুলো কাঁপে বাতাসের সংগীতে

শেষ ট্রেনে বাড়ি যাবে জেনে মুহূর্তগুলো কাটে ভয় ও উৎকণ্ঠায়

কেন নিঃশব্দে শূন্যতা বেড়ে ওঠে

অপ্রাপ্তির শেকড় বিস্তৃত হয় সমস্ত সত্তা জুড়ে?

তোমার  উদ্যানে আজ বৃক্ষ শত-শত

ফুল ও পল্লবে ঢাকা বৃক্ষগুলো অপূর্ব শৈলীতে বিন্যস্ত

এখন তোমার আকাশে অসংখ্য জোনাকি জ্বলে

প্রজাপতির ডানায় স্বপ্নেরা হাসে।

দেহঘড়ি বন্ধ হলে কী ক্ষতি তোমার!