চন্দ্রালোক

বলছি না যে এটুকুই শস্যভূমি,কিষানির আলতা পা

যেখানে অরণ্য নাবিকেরা সব প্রচ্ছন্ন মৌন প্রশ্রয়ে

নোঙর ফেলেছিল বাউল বিবাগে।

বলছি না যে এটুকুই চন্দ্রালোক, এটুকুই তৃষ্ণা ও জলাধার

মুছে যাবে সমস্ত ছায়ানীল কষ্ট তিলক।

যে-কথাটি শিল্পস্বর হতে হতেও খাবি খাচ্ছে সারমেয়র

পশমি করতলে –

বলতে কি পারি যে সে কথাটিও কবিতার কিন্নরি পঙ্ক্তি হবে?

হলে হোক গন্ধম থেকে হৃদ্পদ্ম, গেলে যাক সুশীল শয্যায়

যে কোনো সুগন্ধি নারী।

তবুও কি বলা যাবে যে এ শহরের বর্জ্য আর বকুলেরে

একই ঠোঁটে তুলে নেবে অভিমানী কাকেরা সব?