অনেকে জিজ্ঞেস করে ঠিকানা

প্রকৃতপক্ষে আমার কোনো ঠিকানা নেই

থাকলে জিজ্ঞাসার ভেতরেই 

যেখানে আমি দৃশ্যমান সেটাই ঠিকানা

বহুদিন আগে ছিলাম কাকতাড়ুয়া   

লোকে গোঁফ টেনে পরীক্ষা করতো আসল নকল 

থাকতাম অবিচল রাতের প্রহরী

দৌড়ে সবুজ সূর্যটাকে 

জাপটে ধরতাম

এর চেয়ে ভালো ঠিকানা নেই 

পথে কোনো সাঁকো ছিল না

তবু একটা স্বপ্নের সাঁকো পার

হতে গিয়ে হেডিসের পাতালরাজ্যে

অনুশোচনায় ভুগলাম অনেকদিন

তাকেও ঠিকানা বললে

ভুল হবে না

ভাগ্যান্বেষণে শহরে এসে বারবার

পথ হারিয়েছি 

এক হৃদয়বতী আশ্রয় দিয়েছিল

খেতে দিয়েছিল সমুদ্র

সেই বদান্যতা এখনো মনে আছে

ওই স্মৃতিঘর গোপন ঠিকানা

একবার জ্বলন্ত বাঘ দেখতে জঙ্গলে

ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত – ঘুমিয়ে পড়েছিলাম 

জেগে দেখি একটা বাঘ

হাস্যোজ্জ্বল চোখে তাকিয়ে আছে

ঠিকানাটা স্থায়ী হলো না

বহুদিন পরে বুঝেছিলাম  

ওটা ছিল বাঘিনী 

স্থায়ী ঠিকানা কিছু নেই

নদীর স্রোতে দাঁড়িয়ে হেরাক্লিটাস

এই উপলব্ধি দিলো

কখনো মনে হয় অনেকদূর থেকে কেউ ডাকছে

কণ্ঠস্বর খুব চেনা

হয়তো ওটাই আশ্চর্য  ঠিকানা