কাকটি দুপুরবেলা রোদে ভিজে-ভিজে উড়ছিল

স্নানশেষে ডানা ঝেড়ে ফেলে যায় ছায়ার ফসিল               

দেখল না শস্যহীন মাঠের কৃষক

সে কেবল আগাছাই ফেলে গেল রোদের ধাঁধায়

এভাবেই দিনে-দিনে বড় হয় ছায়াবৃক্ষ নিজের ভেতরে

মধ্যমাঠে টেকের পরিধি বাড়ে – জমির জ্যামিতি

ডালপালা ঘেরা এই মায়াময় বৃত্তে বাসা বেঁধে

নিয়ত যাপন করি পুরাণের পাখির জীবন

উড়ে-উড়ে সারাদিন শুঁকি কড়া রোদ

কাদায় ডুবিয়ে ঠোঁট

থিতু হয়ে বসে থাকি – ধ্যানমগ্ন অনন্তের বিলে

খুঁটে খাই মাছের আঁশের গন্ধ, চকচকে চোখের চাহনি

কালের বৃষ্টিতে পুড়ে প্রতিদিন দগদগে আমি

সন্ধ্যাবেলা ডালের কঙ্কালে গলা ঘষি

আর চোখ বুজে

ডানার ফোস্কা দেখি, ক্ষতস্থান দেখি