ডাকুকে আমি ক্ষ্যাপা বলেই জানতাম। বছর-পঁয়ত্রিশের ডাকু পাশের পাড়ার ছেলে হলেও সে আমাদের পাড়াতেই দিনমান কাটায়। আমাদের পাড়াতে যেসব দোকান আছে, ডাকু সেইসব দোকানদারদের ফাইফরমায়েশ খাটে। ফাইফরমায়েশ বলতে কাউকে চা এনে খাওয়ায়। কাউকে বিড়ি-সিগারেট এনে দেয়। আমার কাউকে বিকেলবেলা চপমুড়ি এনে খাওয়ায়। সঙ্গে নিজেও খায়।

আমাদের পাড়ায় হরেকরকমের দোকান আছে। মুদিখানা, ফার্মেসি, জুতোর দোকান, মিষ্টির দোকান, মনিহারির দোকান, আড়ত, ফার্নিচারের দোকান, ফাস্টফুডের দোকান। এতো কিছুর দোকান আছে, অথচ কাছাকাছি কোনো চায়ের দোকান নেই। চা আনতে বেশ খানিকটা দূরে যেতে হয়। সেই পিডারলুডি অফিসের মোড়ে চামেলী বউদির দোকানে। সবার চায়ের নেশা থাকলেও নিজের নিজের দোকান ছেড়ে সেখানে গিয়ে চা খাওয়া সম্ভব নয় কারো পক্ষে, তাছাড়া সেখানে সবসময় খুব ভিড়ও থাকে। অগত্যা ডাকু সেটা সম্ভব করে দেয়। সবাইকে চা এনে খাওয়ায়। একবার-দুবার-তিনবার। বিনিময়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে সে দু-চার টাকা করে বখশিশ পায়। ডাকু তাতেই বেজায় খুশি। তার রোজকার বিড়ি-দেশলাই হয়। তা বাদেও রাতে এক-দু গেলাস কান্ট্রি।

আমি রোজ বিকেলবেলা গিয়ে বসি নাইমুলমামুর ‘স্বপ্না ফার্মেসি’তে। নামেই ফার্সেসি। ওষুধপত্র তেমন পাওয়া যায় না। খরিদ্দার এলে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হয় পাশের ‘বেঙ্গল ফার্মেসি’ কিংবা ‘সরকার ফার্মেসি’ থেকে ওষুধ এনে নিয়ে নাইমুলমামু কমিশন খায়। যদিও সে নিয়ম মেনে রোজ সকাল সকাল ফার্মেসি খুলে ঝাড়ুঝাঁটা লাগিয়ে জল ছিটিয়ে বসে। ডাকু তার মধ্যেই চলে আসে। জিজ্ঞেস করে, কে জী ডাক্তারভাই – আজ তে দেরি ক্যানে? নাইমুল বলে, কই বে দেরি? ঠিক সুমায়েই তো এস্যাছি। যা, চা লিয়ে আয়। বলে নিজের প্যান্টের পকেট থেকে পয়সা বের করে দেয়। চা-আনা গেলাসটা ওষুধের আলমারির কোথায় থাকে, ডাকু জানে। সেটা নিয়ে তৎক্ষণাৎ সে ছুট লাগায় চামেলী বউদির চায়ের দোকানের দিকে।

তারপর এক এক করে মোড়ের আর সব দোকানদারও আসে, আড়তদার ঝাটুচাচা, ‘নাইস ফার্নিচারে’র মইদুল ‘পিংকি স্টোর্সে’র উজ্জ্বল, ‘এলাহি মুদি ভাণ্ডারে’র কবিরুল, ‘স্টাইলে’র টেলারমাস্টার কেবলদা। এদের প্রত্যেকের দরকার হয় ডাকুকে। ডাকু এদের প্রত্যেককে সকাল-বিকেল চা এনে খাওয়ায়। কখনো কখনো অন্য ফাইফরমায়েশও খাটে। যেমন ঝাঁটুচাচার আড়তে কুলি না এলে বস্তা ওঠানো-নামানো ছাড়াও ওজন করা। কবিরুলের মুদিখানার মালপত্র এলে নামিয়ে দেওয়া। এইসব। এর জন্য ডাকু একজন কুলির প্রাপ্য হিসেবে কিছু নগদ টাকা-পয়সাও পায়। সেই টাকা-পয়সা পরিমাণে বেশি হলে বািড়তে যে বিধবা দিদি আছে নিয়ে গিয়ে তার হাতে তুলে দেয়।

এতসব আমার জানার কথা নয়, তবু ডাকু কতটা ক্ষ্যাপা – সেটা জানার জন্য তাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে এইসব জেনেছি। যদিও লোকে অন্য কথা বলে। ডাকু নাকি ‘জাতে মাতাল তালে ঠিক’ গোছের ছেলে। আমার কিন্তু কখনোই তা মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছে ডাকু একটি সহজ-সরল ছেলে। দিদির আশ্রয়ে থাকে। নেশাভাং এক-আধটু করে ঠিকই, তা বলে সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে ডরাই না। তাই কেউ তার পেছনে লাগলে ডাকুকে বাঁচাতে আমি পাঁচিল হয়ে দাঁড়াই। ডাকুর পেছনে সহজে কাউকে লাগতে দিই না।

কিন্তু আমাদের পাড়া হলেও আমি আর পাড়ায় কতক্ষণ থাকি! ওই বিকেলবেলাটুকু। সারাদিন আমার নিজের কাজকর্ম থাকে। সকালে বাজারহাট করা। তারপর স্নান-খাওয়া-দাওয়া করে স্কুলে যাওয়া। বিকেলে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে বাইরে বের হই। গিয়ে বসি ‘স্বপ্না ফার্মেসি’তে। এই যেমন আজকেও এসে বসেছি। আমাকে দেখে ডাকু কোথায় যে ছিল, ছুটে এসে বলল, কাকা চা খাবা না?

ডাকুর এ-কথা বলার কারণ আমি জানি, তার মানে এখনো কেউ তাকে চা আনতে বলেনি। আর তারও চা খাওয়া হয়নি। তবু জিজ্ঞেস করলাম, সবাই তো দোকান খুলে বসে আছে। এখনো কেউ চা খায়নি! কী ব্যাপার রে? ডাকু বলল, সব শালার সুগার কাকা। বাঁচবে বুলে শালারা সব চা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

উজ্জ্বল তার মনিহারির দোকান খুলে ঝাড়ুঝাঁটা লাগিয়ে, জল ছিটিয়ে এসে দাঁড়িয়েছিল আমাদের পাশে। সব শুনে বলল, কাকা, ডাকুকে জিজ্ঞেস করো তো চামেলী বউদির চা খেয়ে আমাদের কী লাভ? লাভ তো শালা ওই ডাকুর! উজ্জ্বলের এমন কথায় আমি হকচকিয়ে গেলাম। পয়সা দিয়ে ডাকুকে যে চা আনতে পাঠাব, তাও ভুলে গেলাম। তার মধ্যেই উজ্জ্বল ডাকুকে জিজ্ঞেস করে বলল, হ্যাঁ বে ডাকু, চামেলী বউদির সঙ্গে তোর কী সম্পর্ক?

আর যাই কোথা, সদ্য তার হাতে ধরা চা-আনার গেলাসটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে রাস্তা থেকে ইট কুড়িয়ে ডাকু একেবারে রুদ্রমূর্তি। ইটের ঘায়ে উজ্জ্বলকে সে যেন খুন করে ফেলবে! ভাগ্যিস তখন সেখানে আরো অনেকেই ছিল, ডাকুকে ধরে নিল। না হলে কী ঘটত বলা খুব মুশকিল।

যাই হোক, ব্যাপারটা নিয়ে পরে ডাকুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ডাকুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী ব্যাপার রে ডাকু, তুই হঠাৎ উজ্জ্বলকে মারতে উঠেছিলি কেন?

ততক্ষণে ডাকু ভুলে গেছে যে আমিও সেখানে ছিলাম। তাই একটু চুপ থেকে বলল, কে বুল্লে তোমাকে কাকা?

আমি বললাম, কে বলবে আবার! সবাই বলছে। তাছাড়া আমিও তো তখন সেখানে ছিলাম।

সবাই বুলছে আর তুমিও যখুন দেখ্যাছো কাকা তাহলে শুনো – চামেলী বউদি হামার দোস্ত পল্টুদার বউ। হামার দোস্ত পল্টুদা ছিল শালা একটা ক্যালাচোদা। কুন দুঃখে যে শালা গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরতে গেল ভগবানই জানে! এদিকে চামেলী বউদিকে লিয়ে হামি পড়্যাছি ঝঞ্ঝাটে!

– তোর আবার ঝঞ্ঝাটে পড়ার কী আছে? চামেলী তো দিব্যি চায়ের দোকান চালিয়ে রোজগার করছে।

– তা করছে। তবে আর বেশিদিন করতে পারবে না।

– কেন?

– দোকানঘরটা যে পল্টুদার ছিল না কাকা।

– কার ছিল তবে?

– পাশের দোকানদার তুলাওয়ালা জেন্টু শেখের। জেন্টু সেখের তুলার কারবার বাড়ছে। লেপ-তোশক-বালিশ তৈরির কারখানা একেবারে। তার আরো জায়গা লাগবে নাকি! তাই চামেলী বউদিকে ঘর ছাড়তে বুল্যাছে। চামেলী বউদি এখুন কী করবে ভেবে পেছে না।

ডাকুকে আমি ক্ষ্যাপা বলেই জানতাম। কিন্তু ক্ষ্যাপারাও এভাবে ভাবতে পারে জেনে আমি যেন হোঁচট খেলাম। এরপর কী জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারলাম না। অগত্যা চুপ করে রইলাম।

হঠাৎ ডাকু বলে উঠল, জানো কাকা – এই পাড়ায় কে কেমুন হামি সব জানি।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী রকম?

ডাকু বলল, ওই শালা উজ্জ্বলের রেশন আসে অর শ্বশুরবাড়ি থেক্যা।

জিজ্ঞেস করলাম, কী রকম?

– উজ্জ্বলের শাশুড়ি নিয়ম কর‌্যা হপ্তায় চালডাল-নুনত্যাল পাঠায়।

– কী করে জানলি তুই?

– কী কর‌্যা জানব আবার! এই মোড়ে যাকে শুধাবা সে-ই বুলবে। ক্যাবলকাকাকে শুধাও। না হয় দেখ্যা এসো ক্যাবলকাকার দোকানে আইজ উজ্জ্বলের শ্বশুরের দ্যাশের একটা লোক এক বস্তা কী রেখে গেইছে!

– কেবলদার দোকান কেন?

– উজ্জ্বল যে আইজ ও-বেলায় ছিল না কাকা। অর দোকান বন্ধ ছিল যে!

– কী রেখে গেছে বললি?

– ওই যে বুলনু, একটা বস্তা – তাতে চালডাল-নুনত্যাল।

ডাকুর কথা উজ্জ্বল বোধহয় শুনতে পায়। সে ধমক লাগায়, আবে ডাকু, মজা দেখবি?

ডাকু বলে, নতুন কর‌্যা কী মজা দেখাবা তুমি? হামি তো সবসুমায় তুমারই মজা দেখি।

উজ্জ্বল আমাকে সাক্ষী করে বলে, দেখছো কাকা, শালার কীর্তি! কে বলে শালা ক্ষ্যাপা?

রোজকার মতো সেদিন ঝাটুকাকার আড়তের সামনে আমি বসে আছি। খবরের কাগজের শব্দছক পূরণ করছি। পাশে বসে আছে ডাকু। হঠাৎ দেখি ডাকু কাকে লক্ষ্য করে যেন বলে উঠল, বউদি- রোজ রোজ তোমার ভাতারের দোকানে আসার কী থাকে?

আমি তাকিয়ে দেখি কনকের বউকে। আমাদের পাড়ায় একটা দোকান আছে, কাচ-প্লাইউড-থার্মোকল এসব বিক্রি হয়। যার মালিক এই কনক। আমি যতদূর জানি, কনক খুব ভালো ছেলে। বাইরে থেকে এসে ব্যবসা করছে। একমাত্র মেয়ে আর বউকে নিয়ে বাজারে ভাড়াবাড়িতে থাকে। তার বউ প্রতিদিন বিকেলবেলা একবার করে তার দোকানে আসে। প্রায় রোজ দেখি। বউটা এমনিতে শান্তশিষ্ট,  কিন্তু এখন যাকে দেখছি পারলে যেন সে নিজের চোখের আগুন দিয়ে ডাকুকে পুড়িয়ে মারবে। যদিও সেটা বাস্তবে সম্ভব নয় জেনে সে চিৎকার করে বলে ওঠে, হামার ভাতারের দোকানে হামি একশ বার আসব, তোর তাতে কী রে বারোচোদা?

ডাকুর কোনো বিকার নেই। সে হাসছে। কনকের বউ তাকে গাল পাড়তে পাড়তে চলে যায়। সেই গাল শুনতে শুনতে আমি ডাকুকে দেখি। না, কোনো ভাবান্তর নেই ডাকুর। অগত্যা জিজ্ঞেস করি, তুই কনকের বউকে ওসব বলতে গেলি কেন?

ডাকু যেভাবে কথা বলে সেভাবেই বলল, ক্যানে জানো কাকা, শালা কনকের স্বভাব-চরিত্র ভালো লয় খো। অর বউ অকে খুব সন্দেহ করে। তাই রোজ এই বিকালবেলা বউটা দোকানে গার্ড নিতে আসে।

আমি শুধু চমকাই না, অবাক হয়ে ডাকুকে দেখি আর ভাবি। শেষমেশ উজ্জ্বলের মতো আমিও বলি – তবে মনে মনে, কে বলে ডাকু ক্ষ্যাপা?

এটা জানতেই বোধহয় আমি তখনই ডাকুকে জিজ্ঞেস করে বসলাম, আচ্ছা ডাকু বলতো – নাইমুলের সংসার চলে কী করে? আর এতোদিন ধরে এই ভাড়ার ঘরে বসে আছেই বা কী করে? ওষুধপত্র নেই, বিক্রিবাটা নেই …

ডাকু প্রতিবাদ করে উঠল, তোমাকে কে বুল্লে বিক্রিবাটা নাই? সাঁঝের পরে আসিয়ো, দেখবা বিক্রিবাটা হয় কি না! না, ডাকুকে আর কিছু জিজ্ঞেস করি না আমি। সটান সেখান থেকে উঠে বাড়ি চলে এসেছিলাম। কেননা, আমি জনি নাইমুলের দোকানে সন্ধ্যার পর বিক্রিবাটা হয়। তার নির্দিষ্ট কিছু খরিদ্দার আছে। রাতের অন্ধকারে তারা আসে। কিনে নিয়ে যায় যৌন-উত্তেজনাবর্ধক ওষুধপত্র। প্রথম প্রথম কয়েকদিন সন্ধ্যার পরেও আমি নাইমুলমামুর ‘স্বপ্না ফার্মেসি’তে বসতে শুরু করায় নাইমুলমামু নিজেই আমাকে বলেছিল, একটা কথা বুলছি মামু – কিছু মুনে করিও না!

জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী কথা?

নাইমুল বলেছিল, মামু জানোই তো – এই দোকানটাই হামার ভাতভিক্ষা। পুঁজি নাই যে বেশি বেশি ওষুধপত্র লাগিয়ে ভালো করা ব্যবসা করব। অগত্যা কিছু বেআইনি ওষুধপত্র বিক্রি করি। তা তুমি বসে থাকো বুল্যা হামার দোকানে খরিদ্দার আসে না খো।

নাইমুলকে আর কিছু বলার সুযোগ দিইনি। তারপর থেকে ইচ্ছে থাকলেও সন্ধ্যার পর সেখানে আর বসি না। গিয়ে বসি ঝাটুচাচার আড়তের সামনে।

মধ্যে পুজোর ছুটিতে কিছুদিন বাড়ি ছিলাম না। বেড়াতে গিয়েছিলাম দক্ষিণের দেশে। আজ সকালেই ফিরেছি। তারপর স্নান-খাওয়াদাওয়া করে ঘুম। কখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে টের পাইনি। প্রচণ্ড ঢাকের শব্দে ঘুম ভেঙে টের পেলাম। মনে পড়ল আজ বিজয়া দশমী। আজ মা দুর্গার বিসর্জন। পাশে নাক ডেকে বউ দিব্যি ঘুমোচ্ছেন। ঘুমোনোরই কথা। কদিন ঘুরতে গিয়ে শরীরের ওপর দিয়ে তো কম ধকল যায়নি! তিনি ঘুমোচ্ছেন, ঘুমোন। তাঁর ঘুম ভাঙাই না আমি। নিজে বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মোড়ের দিকে যাই। আর দেখি আমাদের পাড়ার মোড়টা একেবারে আলোয় আলোময়। অথচ দোকানপাট সব বন্ধ। তাহলে

কোথায় বসি? না, বসার কোনো জায়গা নেই

কোথাও। মোড়ে এতো মানুষ গিজগিজ করছে যে, তিল ধারণের জায়গা নেই। মা দুর্গার বিসর্জনের মিছিল দেখার ভিড়। একটার পর একটা প্রতিমা যাচ্ছে। ঢাক বাজছে। তাসা বাজছে। সঙ্গে ডিজে তো আছেই। তাতে চটুল গান। সঙ্গে উদোম নাচ। তাও আবার মেয়েদের। ছুঁড়ি থেকে বুড়ি, কেউ বাদ নেই।

উৎসব বলে কথা – রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ভালোই লাগছিল দেখতে। হঠাৎ চোখ গিয়ে পড়ল ডাকুর ওপর। ডাকুর পাশে তার চামেলী বউদি। বড় রাস্তার একপাশ ধরে একটা ভ্যানরিকশার পেছন পেছন তারা খুব ধীরগতিতে এগিয়ে আসছে। সেই ভ্যানরিকশায় মা দুর্গা কিংবা মা দুর্গার পরিবারের কোনো সদস্য নেই। আছে থান-হারানো চামেলী বউদির এখন থান-হারানো মা-দুর্গার রূপ। তার পাশে অসুর ডাকু। দুজনে সদ্য উচ্ছেদ হওয়া

চা-দোকানের যাবতীয় সরঞ্জাম ভ্যানরিকশায় উঠিয়ে মা-দুর্গার বিসর্জনের মিছিলের বিপরীতে হেঁটে আসছে। জয়ধ্বনি উঠছে, দুর্গা মা কি জয়! আমি শুনছি, ডাকুর চামেলী বউদির পরাজয় …  কে জানে, আসলে ডাকু ক্ষ্যাপা না আমি নিজেই ক্ষ্যাপা!