রধোরেনড্রোনের পাপড়িতে পাহাড়ি পরাগ মেখে
মিটিমিটি অভিবাদনে ফুটে আছে আদুরে বালিকা।
পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বীণা হাতে সরস্বতী
বিদ্যার ফুলে আলো জ্বেলে হাসিতে মুখরিত
লুম্বিনী বৃক্ষের তল থেকে বুদ্ধ দেব
হাঁটি হাঁটি পা পা করে পাহাড়ের কুঁচি ধুলোয়
পাথরের গম্ভীর নীরবতায়
সুউচ্চ চুড়োয় শান্তির সুবাতাসে ধ্যানস্থ।
শান্ত ভ্যালির কচি ঘাস থেকে শুরু করে
দীর্ঘ বৃক্ষের শাখে শাখে পাখিহীন নীরবতায়
ঝর্নার কুলকুল ধ্বনিতে বিমুগ্ধতা
বনময় বেজে চলা সামারার তান।
লাল, নীল, হলুদ কত রঙের থোকা থোকা
পাহাড়ের ফুল, গাঢ় সবুজ, হালকা সবুজ,
মিহি সবুজ, ছোট, বড়, সুউচ্চ কত বৃক্ষ
পিনপতন নীরবতায় গাইছে শান্তির গান।
পাহাড়ের কার্নিশে কত ঘর, হোটেল, মোটেল,
ঝুলে আছে নির্বিঘ্নে।
কত দেশ, কত মানুষ কান্নার একই সুর,
একই হাসি, খুনসুটির কলরোল।
ভিন্ন ভাষায় অবুঝ প্রাণের মতো কলহাস্য!
আহা! আমি দেখি আর ভাবি –
ঝঞ্ঝাময় তাবৎ পৃথিবীতে
কে এমন নিঝ্ঝুম নীরবতায়
শান্তির পায়রা ওড়ায় ধবল!

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.