বাঘ-বিধবাদের কথা
শংকর কুমার মল্লিক ও দেবপ্রসাদ বিসমিল
– শ্রাবণ প্রকাশনী – ঢাকা – ৫০০ টাকা
ধান যখন আর বিলি হুলো না তখন আমার স্বামী পেটের দায়ে বাধ্য হুলো বনে যাতি। স্বামীডারে বাঘে খালো। স্বজন হারিনের যে কি জ্বালা … (কাঁদতে কাঁদতে) অনেক লোকের কাছে আমরা ঝাঁটা লাথি খাইছি …। ডাইনি, ভাতারখাকি, অপয়া, অলক্ষ্মী বুলে গালাগালি দেছে। স্বামী মরার পরে আমার শাশুড়ি বাড়ির তে বার কুরে দেয়। থাকপো কনে, বাপের বাড়ি আসে তা জাগা নি। ভাইরাও জাগা দেয় না, ভাবিরাও বলে, ‘ভাতার খাওয়াইছাও বাঘ দে, এবার আঙ্গা খাওয়াতি আইছাও।’ দেলো বাড়ির তে বার কুরে। রাস্তারপোরে থাকলাম। সারাদিন রাস্তায় ছোট ছোট বাচা-কাচা নে থাকার পরে আমার দাদা … থাকার জায়গা করে দেয়। সিকেনতে পরের বাড়ি কাজ কুরে, নদীতে জাল টানে, খুব কষ্ট কুরে ছালেগুলো মানুষ করিছ।
(সরবানুর সাক্ষাৎকার, বাঘ-বিধবাদের কথা, পৃ ১৭৮-১৭৯)
শংকর কুমার মল্লিক এবং তাঁরই একদা ছাত্র, পেশায় বর্তমানে শিক্ষক, দেবপ্রসাদ বিসমিল অর্থাৎ শিক্ষক-ছাত্রের যুগলবন্দি গবেষণা বাঘ-বিধবাদের কথা সুন্দরবনচর্চায় একটি নতুন মাত্রা সংযোগ করেছে, এ-কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সুন্দরবনের পটভূমিতে লেখা বিভিন্ন ছোটগল্প, নাটক এবং উপন্যাসে বাঘ-বিধবাদের করুণ পরিণতির কথা জানা যায়। সেসব কাহিনিকারের কজন বাঘ-বিধবাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের বিড়ম্বিত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই নরকতুল্য জীবনের অভিজ্ঞতা জেনে কাহিনি-নির্মাণ করেছেন, সেটা নিশ্চয়ই একটি প্রাসঙ্গিক জিজ্ঞাসা। আলোচ্য গ্রন্থটি কোনো কল্পকাহিনি নয়, ক্ষেত্র সমীক্ষার প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত একটি গবেষণাগ্রন্থ। বাঘ-বিধবাদের নিয়ে অনেক গল্প-শ্রুতি পরম্পরায় শ্রোতারা শুনে থাকেন। সেইসব গল্পের কোনোটি অতিরঞ্জিত, কোনোটি কাল্পনিক, কোনোটি সত্য-আড়াল করা মিথ্যা। অতিরঞ্জন, কল্পনা এবং মিথ্যার আড়াল সরিয়ে বাঘ-বিধবাদের সত্যিকার জীবনচিত্র উদ্ঘাটনের আন্তরিক চেষ্টা করেছেন এই দুই নিষ্ঠাবান গবেষক এবং সমীক্ষক। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ অর্থাৎ খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরার সুন্দরবনসন্নিহিত বিভিন্ন উপজেলার ১০১ জন বাঘ-বিধবার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন তাঁরা। কাজটি মোটেই সহজ এবং সুখকর নয়।
রাত-দিন-শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা একাকার হয়ে গেছে ক্ষেত্রসমীক্ষার তাগিদে। কোনো কোনো বাঘ-বিধবা সহসা মুখ খুলতে চাননি। সাহায্য করার নামে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা তাঁদের ব্যবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে বলে এই দুই নিঃস্বার্থ গবেষককেও তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করতে পারেননি। স্থানীয় পরিচিত কাউকে মাধ্যম করে এইসব নারীর বিশ্বাস অর্জন করতে হয়েছে। সহমর্মী হয়ে তাদের আবেগ-অনুভূতিকে স্পর্শ করে ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে মনের দরজায় পৌঁছানোর পর মিলেছে কাঙ্ক্ষিত তথ্য। অমানুষিক পরিশ্রম স্বীকার করে এই দুই গবেষক পাঠকের কাছে হাজির করেছেন সুন্দরবনের অপেক্ষাকৃত একটি কম আলোচিত অধ্যায়, সুন্দরবনের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসের নতুন
তথ্য-উপাত্ত।
বইটি শুরু হয়েছে যথারীতি লেখকদের কৈফিয়ত রচনা কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের মধ্য দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে প্রকাশিত সুন্দরবনচর্চা নামক পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতিরিন্দ্রনারায়ণ লাহিড়ী এবং কালের কণ্ঠ পত্রিকার খুলনার সাবেক ব্যুরো চিফ গৌরাঙ্গ নন্দী প্রত্যেকে একটি করে ভূমিকা লিখে দিয়ে বইটির গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে পাঠককে একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সুন্দরবনের ভূগোল, ইতিহাস, নামকরণ, দেবদেবী, লোকাচার প্রভৃতির ওপর আলোকপাত করার জন্য ‘সুন্দরবন কথা’ এবং ‘সুন্দরবনের লৌকিক দেবদেবী ও অলৌকিক কাহিনী’ নামে দুটো অধ্যায় রচিত হয়েছে। এছাড়া প্রণীত গ্রন্থের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্যে ক্ষেত্রসমীক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানকে ‘পথে-প্রান্তরে’ অধ্যায় শিরোনামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তারপরই শুরু হয়েছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাঘ-বিধবাদের নাম-পরিচয় সাক্ষাৎকার এবং তাদের জীবনযন্ত্রণার করুণ আখ্যান। গ্রন্থটির শেষে পাঁচটি পরিশিষ্ট সন্নিবেশিত হয়েছে। সেগুলো যথাক্রমে : পরিশিষ্ট-১ : বাঘ-বিধবাদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘লিডার্স’-এর কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা, পরিশিষ্ট-২ : বাঘের আক্রমণে জীবিত এবং মৃত মানুষ উদ্ধারকারী টাইগার বনির সাক্ষাৎকার, পরিশিষ্ট-৩ : দুইবার বাঘের আক্রমণ থেকে বেঁচে আসা রহিমা খাতুনের সাক্ষাৎকার, পরিশিষ্ট-৪ : লিডার্সের জরিপে বিভিন্ন বছরভিত্তিক বাঘ-বিধবাদের তালিকা (অসম্পূর্ণ)। উল্লেখ্য, এই তালিকায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৫০৯ জন বাঘ-বিধবার নাম-পরিচয় রয়েছে। পরিশিষ্ট-৫ : টাইগার বনির কাছ থেকে প্রাপ্ত বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করা কিছু মৃতদেহ এবং আহতের ছবি। পরিশিষ্টগুলো গবেষকদের ক্ষেত্রসমীক্ষা এবং গ্রন্থটির বিষয় বক্তব্যের বিশ্বস্ততা প্রকটিত করে।
‘বাঘ-বিধবা’ শব্দবন্ধটি নিয়ে লেখকদ্বয় আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলেও কেউ কেউ এটি নিয়ে দ্বিমত পোষণও করেছেন। এই বিতর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় না। যাই হোক, বাঘে অধিকসংখ্যক মানুষ হত্যা কিংবা বাঘ-বিধবাদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে গবেষকদ্বয় কতগুলো প্রপঞ্চ আবিষ্কার করেছেন। আদিকাল থেকেই কিছু মানুষ জীবিকার জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। জঙ্গল হাসিলের পরে সন্নিহিত এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠার ফলে এখনকার নিম্নবর্গের নিম্নবিত্তের প্রান্তিক মানুষেরও এই নির্ভরশীলতা গড়ে ওঠে। অর্থাৎ সুন্দরবনগামী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাঘের কবলে পড়া মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ক্ষেত্রসমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে বনজীবীরা অধিক সংখ্যায় বাঘের আক্রমণের শিকার হতে থাকে। এই সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। চিংড়ির রেণুপোনা ধরার জন্যে মানুষ সুন্দরবনের গহিন খালে চলে যেত। মূলত এইসব এলাকায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় বাঘের অভয়ারণ্য ছিল। বাঘের রাজ্যে মানুষের প্রবেশ বাঘের জন্য যেমন উৎপাতের কারণ ছিল, বাঘও তেমনি খাদ্যের সহজ সংস্থান পেয়ে গেল। এছাড়া বহিরাগত প্রভাবশালীরা ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক চাষিদের চাষের জমি লিজ নিয়ে লবণপানি উঠিয়ে চিংড়ির ঘের শুরু করলে কয়েক বছরের ব্যবধানেই কৃষিজমি উষর অনুর্বর ভূমিতে পরিণত হয়। ফলে জমি থেকে পর্যাপ্ত ফসল না পেয়ে কৃষকরা বংশগত পেশা হারিয়ে বনজীবী হয়ে উঠতে থাকে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, অধিকহারে বৃক্ষসংহার, হরিণনিধন প্রভৃতি কারণে খাদ্যসংকটে পড়া বাঘ সুযোগ এবং প্রয়োজনে অধিকহারে মানুষ শিকার করতে থাকে।
বাঘের কবলে পড়ে নিহত স্বামীদের স্ত্রীরা পরিবার এবং সমাজে দারুণভাবে নিগৃহীত। শাশুড়িরা ছেলে নিহত হওয়ার কারণে পুত্রবধূকে দায়ী করে। তাকে অপয়া, অলক্ষ্মী বলে গালি দেয়। স্বামী সুন্দরবনে যাওয়ার পর স্ত্রী যথাযথভাবে লোকাচার পালন করেনি বলে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে – এমন অভিযোগও করা হয়ে থাকে। সরবানু নামে একজন বাঘ-বিধবার সাক্ষ্য মানা যেতে পারে – শাশুড়িরা বলে ‘মহলে গেলি (মধু ভাঙতে গেলে) চুল আচুড়িনে যাবে না, তালি স্বামীর গায়ে আঁচড় লাগবে। দুপুরবেলা ঘরে দরজা দিলি হবে না, তাহলি ওরা বনে গে পথ পাবে না, মা বনবিবি পথ বন্দ কুরে দেবে। গোসল করে কাপড় বাড়ি দিলি হবে না, তালি ওগা চোখি বাড়ি লাগবে। ঝাল পোড়ালি হবে না, তালি ওগা কাশি লাগবে। কারো সঙ্গে হুজুগে (ঝগড়া) বাধিনে যাবে না, বাগে ওগা আক্রমণ করবে। সোকাল বেলা উঠে গোসল কুরে আগে চুলো লেপ্পা, তালি ওরা পথ ঝকঝকে দেখপে। এসব হচ্ছে আমাগা শাশুড়িগা নিয়ম। এরির মধ্যি যদি এট্টা উল্টো-পাল্টা কুরে ফেলি, শাশুড়িরা চুল ধুরে মারবে, বোকাবুকি করবে ইচ্ছে মতোন’ (পৃ ১৭৩)।
স্ত্রী সবরকম আচার যথাযথভাবে পালন করার পরও যদি বাঘের আক্রমণে স্বামীর মৃত্যু হয়, তাহলেও স্ত্রীর রক্ষা থাকে না। নিহত ছেলের বউদের বাড়িছাড়া করে শাশুড়িরা। শেষবারের মতো স্বামীর মুখটিও তাকে দেখতে দেওয়া হয় না। দুর্ঘটনা কিংবা অসুখ-বিসুখে স্বামীর অকালমৃত্যু হলেও তবু সমাজ মোটামুটিভাবে বিধবাদের মেনে নিলেও বাঘ-বিধবাদের শারীরিক এবং মানসিক লাঞ্ছনা বড় ভয়ংকর এবং মর্মান্তিক। গবেষকদ্বয় সমীক্ষায় দেখেছেন এবং দেখিয়েছেন যে, বাঘ-বিধবাদের অধিকাংশই অন্তঃসত্ত্বা থেকে আরম্ভ করে নিতান্তই শিশুসন্তানের জননী। এসব বিধবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শিশুসন্তান থাকলেও অধিকাংশ বাঘ-বিধবার ঠাঁই মেলে না শাশুড়ির সংসারে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পিতা এবং ভাইয়ের সংসারেও। ফলে এসব নারীকে আক্ষরিক অর্থেই পথে নামতে হয়, পথে বসতে হয়। এককথায় সর্বহারা এই নারীদের জনপদ কিংবা বাজারের কোনো ঘুপচি বস্তিতে থেকে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয় নিজের ও সন্তানের বেঁচে থাকার জন্য। তবে সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি মারা গেলে কখনো কখনো স্ত্রীর ঠাঁই মেলে শ্বশুর-শাশুড়ির সংসারে। সেই ক্ষেত্রে বাঘ-বিধবার শ্রমার্জিত উপার্জনেই ওই পরিবারের ভরণপোষণ চলে। এইসব বাঘ-বিধবা মানুষের বাড়িতে এবং চিংড়ি ঘেরে কাজ করে, চিংড়ির পোনা ধরে, মাটি কাটে, ঘুঁটে দেয়, কাঠ কুড়ায়। তবে সবসময় নিয়মিত কাজও মেলে না। বাঘ-বিধবা নারী এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারটি বন বিভাগ থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ বা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকলেও তার বৈধ প্রক্রিয়াকরণ যথেষ্ট কঠিন। তাছাড়া এই অর্থ বরাদ্দ হলে নিহতের স্বজনদের হাত এড়িয়ে ভুক্তভোগীদের কাছে এই টাকা সামান্যই পৌঁছায় কিংবা আদৌ পৌঁছায়ই না। বাঘ-বিধবার সন্তানরাও মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক সংকটের ভেতর দিয়ে বেড়ে ওঠে। তথাকথিত ভদ্রলোক এবং ভদ্রলোকের সন্তানরা এদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ উপহাস করে। এই শিশুরা স্কুলে গিয়েও সহপাঠীদের শ্লেষের শিকার হয়। জ্যোতিরিন্দ্রনারায়ণ লাহিড়ী বইটির ভূমিকায় লিখেছেন : ‘এ শুধু কয়েকজন স্বামী-হারা স্ত্রীর বেদনার ইতিবৃত্ত নয়, এ হল জঙ্গল নির্ভর গ্রামগুলির বর্তমান আর্থসামাজিক পরিবেশের নিখুঁত উপস্থাপন’ (পৃ ১৪)। তিনি আরো লেখেন : ‘এই বাঘ-বিধবারা তাই আমার মতে আমাদের আর্থ সামাজিক অব্যবস্থার শিকার, বাঘ এখানে কেবলই একটি প্রতীক মাত্র’
(পৃ ১৫)।
বাঘ বিধবাদের কথা বইটিতে যে ১০১ জন বাঘ-বিধবার সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়েছে, তাদের অনেকের জীবনের ঘটনাই অভিন্ন, আবার কারো কারো ভিন্ন। যেহেতু একই ভৌগোলিক এবং আর্থসামাজিক পরিমণ্ডলের মানুষ তারা, সে-কারণেই ভিন্নতার চেয়ে অভিন্নতাই বেশি। তবে সামগ্রিক ঘটনা পরিস্থিতি এবং পরিণতির যে-চিত্র গবেষকদ্বয় আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন তা নিতান্ত নিরেট অনুভূতিহীন মানুষ ছাড়া যে কাউকেই বিবেকতাড়িত করবে। সামাজিক এবং অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের একটি ভিন্ন জগতের কথা জানতে সক্ষম হবেন তথাকথিত ভদ্রজনেরা। এমন একটি দুঃসাধ্য কাজ সম্পন্ন করার জন্য লেখক ও গবেষক শংকর কুমার মল্লিক এবং দেবপ্রসাদ বিসমিলকে আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। পরিশেষে বলি, বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়াই গ্রন্থটি পাঠ করে কোনো কথাশিল্পী বাঘ-বিধবাদের নিয়ে বিস্তৃত পটভূমির একটি উপন্যাস লিখতে পারেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.