অলিখিত নির্দেশ

দিন এনে দিন খায় যারা –

উঁচুদের উঁচুনিচু দেখার পরেও তারা 

থাকবে বোবা, বধির-জন্মান্ধ। 

সোনামুখী বীচির সমান উষ্মা প্রকাশও সম্পূর্ণ বারণ।  

চোখে-মুখে জ্বালা ধরা কিংবা দৈনন্দিন চাপে

মেরুদণ্ড ‘দ’ রূপ হলেও

নাসিকা কুঁচকানো, চোখ ঠার, ভেংচি কাটা,

আড়ুল তোলা বা মুখ ফুটে কথা বলা 

সেই ঘোড়া রোগ, আধা মণ অপরাধ। 

বরং যা চাপিয়ে দেবে তা নেবে স-আদবে পিঠে; 

ঘাড় না ফিরিয়ে কোনোরূপ শব্দ খরচ ছাড়াই 

ওপরের কৃপাদৃষ্টি ভেবে ফিরবে ঘরে। 

ঘড়ি ধরে কাজে ঢুকবে, খেটে খেটে হবে অমানুষ,

ছুড়বে না বারুদ কোনো শব্দ; ফুটবে না তিতার রেশ চেহারায়।   

ঠিক দুপুরেও যদি বলে, মেঘের দৌড়ানি খেয়ে ভাস্করটা  

গুটিয়েছে লেজ – সায় দেবে, চাক্ষুস সাক্ষী তো এই দুটি চোখ।

সত্যি, এসবের ফল নাকি হাতে হাতে; 

কিন্তু ‘ া ’ স্বরূপ ব্যক্তি পরিচয় কবে?

Published :


Comments

Leave a Reply