তোফায়েল তফাজ্জল
-
উঠতিরাও অনুরূপ
পোড়া লোহা লাল থাকতে পিটিয়ে নিজের মতো করে গড়তে হয়। সামান্য হেলায় কর্কশ গলায় বলে ওঠে ‘যেই-সেই’। এটাকে কব্জায় আনা আর গিরিশৃঙ্গে ওঠা সমপর্যায়ের। উঠতিরাও অনুরূপ, বুঝিয়েসুজিয়ে অনুকূলে রাখতে পারলে দেখানো দিকেই হাঁটে, যথাযত্নে মেনে চলে আদেশ-নিষেধ। তা না হলে পা বাড়ায় উল্টো পথে, বন্ধুরের দিকে, টান খায় নিষিদ্ধ চুম্বকে, কিলিয়ে কাঁঠাল পাকায় দুপুরে; পঙ্গপাল…
-
কাঁটা
অষ্টাদশী পদ্ম নয়, বরং সুঁচালো কাঁটা হয়ে আছে সংসারের। তার চক্ষু তুলে তাকানোটা মৌমাছি বা ভিমরুলের হুল; কারো কাছে নীরব দংশন। ধরা-ছোঁয়া জিনিসের মাঝে ওদের বাঁকানো চোখ দেখে লেগে আছে সর্দি, বর্জ্যের বিশাখা থেকে নির্গমন হওয়া নাকের দুশমন-জল। একটু নড়াচড়া বা ডাব শীতল বাতাস খাওয়াকে মনে করা হয় পায়ের তলায় বা রানের পাশে হয়েছে বিষফোঁড়া। …
-
অলিখিত নির্দেশ
দিন এনে দিন খায় যারা – উঁচুদের উঁচুনিচু দেখার পরেও তারা থাকবে বোবা, বধির-জন্মান্ধ। সোনামুখী বীচির সমান উষ্মা প্রকাশও সম্পূর্ণ বারণ। চোখে-মুখে জ্বালা ধরা কিংবা দৈনন্দিন চাপে মেরুদণ্ড ‘দ’ রূপ হলেও নাসিকা কুঁচকানো, চোখ ঠার, ভেংচি কাটা, আড়ুল তোলা বা মুখ ফুটে কথা বলা সেই ঘোড়া রোগ, আধা মণ অপরাধ। বরং যা চাপিয়ে দেবে তা নেবে…
-
চাতক-বৃষ্টি
যদি চাও স্নিগ্ধতার স্পর্শ, পাপড়ি মেলা দৈনন্দিন এবং সাক্ষাৎ পেতে চাতক বৃষ্টির, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভোজ্যতেল, পণ্য ভেবে ছুড়ে ফেলে দাও ফিনকি দিয়ে ওঠা মানসিক চাপ; দূর করো পিছে লাগা বা লেলিয়ে দেওয়া চর্চা, প্রতিবেশী বা পরকে ডুবিয়ে মারার ছলাকলা। নিশ্বাস-বিশ্বাস থেকে হাওয়ায় ওড়াও কবুতর উড়াল পুড়িয়ে দেওয়ার বদ্ধমূল জেদ। কালি-তেল লাগা ভেতরটা ধুয়ে ফেলো অনুশোচনার…