যদি চাও স্নিগ্ধতার স্পর্শ, পাপড়ি মেলা দৈনন্দিন
এবং সাক্ষাৎ পেতে চাতক বৃষ্টির,
মেয়াদ উত্তীর্ণ ভোজ্যতেল, পণ্য ভেবে
ছুড়ে ফেলে দাও ফিনকি দিয়ে ওঠা মানসিক চাপ;
দূর করো পিছে লাগা বা লেলিয়ে দেওয়া চর্চা,
প্রতিবেশী বা পরকে ডুবিয়ে মারার ছলাকলা।
নিশ্বাস-বিশ্বাস থেকে হাওয়ায় ওড়াও
কবুতর উড়াল পুড়িয়ে দেওয়ার বদ্ধমূল জেদ।
কালি-তেল লাগা ভেতরটা ধুয়ে ফেলো
অনুশোচনার গুঁড়ো সাবানে ভিজিয়ে সামুদ্রিক ঢেউয়ে ঢেউয়ে।
হাড় হিম রাতে কাঁথা-কম্বলে বা গ্রীষ্মে হালকা কাপড়-চোপড়ে
যেমন আরাম পায় দেহ
তেমন অভ্যস্ত হওয়া চাই আচরণে যাতে সুখ পায় অন্যে।
দুর্গন্ধের সঙ্গী হয়ে পড়ে থাকতে দেখে মানবতা
দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগলে হাত
মনটা পাঠিয়ে অকৃপণভাবে জোগাও সাহস, পানি মেরে
একযোগে জাগাও ঘুমে-মরা অধিবাসী।
কূল পেয়ে, ঊর্ধ্ব থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নামা স্বস্তির সংগীত শুনে
বদলে যাবে ভুক্তভোগী, বিপন্ন বসতি।
রংধনুর রঙে দেখবে মানবজীবন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.