অটোফ্যাজি

(ইয়োশিনোরি ওশামির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে)

ধানের মরশুম ছিল উঞ্ছবৃত্তিকাল

আমাদের শরীরস্বভাবে বরাবর

কোষেদের স্বভোজন ছিল – ইঁদুরগর্তে চোখ

পরিত্যক্ত ধান্যক্ষেতের উচ্ছিষ্ট হাতে ঘরে-ফেরা –

স্পষ্ট সেইসব ছবি, স্পষ্টতর

আমাকে দেখায় আজো অভুক্ত পথের সুষমা

লোভের পসরা-সাজানো রাস্তার দু-ধার

কখনো ডাকেনি; আমি কাফকার ক্ষুধাশিল্পী

না-পাবার অন্যতর বেদনার কাছে নতজানু

ঘিয়ের গন্ধভরা পাতে নিঃশব্দে জল ঢেলে দিয়ে

দাঁড়িয়েছি হিম রোদে – নিদাঘের হরিৎ মিছিলে …

ডেকে চলে নিশীথপুষ্পের ঘ্রাণ

‘তেয়াগিলে (যা) আসে হাতে।’

পুষ্পল উদ্ভিদের ঘরে জমা করব বলে

অপরাহ্ণের শূন্যপ্রায় ক্ষেতে ফের একবার

সযত্নে কুড়িয়ে নিচ্ছি শস্যদানার অবশেষ

অর্ধাহারের নিশান-বরদার

ক্ষুধাস্মৃতির খাজাঞ্চি

আমার ভেতরে অসংখ্য বিষের কোষ

ক্রমিক দহনে পোড়ে আর আমি প্রতিদিন

তমসাহরণ প্রজ্বলন্ত সূর্যের গৌরবে

তোমাদের পৃথিবীকে উঁকি দিয়ে দেখি ॥