পোড়া লোহা লাল থাকতে পিটিয়ে নিজের মতো করে গড়তে হয়।
সামান্য হেলায় কর্কশ গলায় বলে ওঠে ‘যেই-সেই’।
এটাকে কব্জায় আনা আর গিরিশৃঙ্গে ওঠা সমপর্যায়ের।
উঠতিরাও অনুরূপ, বুঝিয়েসুজিয়ে অনুকূলে রাখতে পারলে
দেখানো দিকেই হাঁটে, যথাযত্নে মেনে চলে আদেশ-নিষেধ।
তা না হলে পা বাড়ায় উল্টো পথে, বন্ধুরের দিকে,
টান খায় নিষিদ্ধ চুম্বকে, কিলিয়ে কাঁঠাল পাকায় দুপুরে;
পঙ্গপাল হয়ে নেমে পড়ে মা-বাবার ইচ্ছা-আকাক্সক্ষা বিনষ্টে।
সামান্য কারণে মাথা চক্কর দিলেই
শিকারে ঝাঁপিয়ে পড়া চিতার চরিত্রে থাবা দেয় বিশ্বাসের গ্রীবাদেশে।
বেশি ঢিল দিলে ঘুণ হয়ে খেয়ে ফেলে কাঁচা বয়সের হিতাহিত জ্ঞান।
যে কারণে এরা প্রায়ই গাছের যে ডালে বসা সেটাকেই কাটে;
হাসপাতালের বিছানায় পড়ে সহসা টনক নড়ে,
আজ জীবন কোথায় দাঁড়িয়েছে ভুলে!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.