নদী যেথায় অথই ধারায় বাহিত স্রোতস্বিনী ছিল
ওখান থেকে একটু সামান্য দূরে
অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা পথরেথা, সোনাঝরা গ্রাম
ঝোপঝাড়, গাছপালা
কাশবন
শিউলি-বকুলের গন্ধ
আর শান্ত শীতের সকাল
পলাতক বালকের মতো দিগন্তে হারিয়ে গেছে।
আর, এ-গাঁয়ের নক্ষত্রসোহাগী রাত
অমরাবতীর গল্প শুনে
সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে চেয়েছিল …
সেও, দ্যাখো, ওই দূর শহরের
আইসিসিইউ’র কাচঘরে
এথন বন্দিনী।
একটি জারুল গাছ
প্রতিদিন
এইসব দেখে দেখে
শেষমেশ ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
দূরে চাঁদ
গলে গলে মিশে যাচ্ছে প্রাচীন ডোবায়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.