(সম্পাদক আবুল হাসনাত ও কবি মাহমুদ আল জামান। একই বৃন্তে যুগল কুসুম)
ধ্যানেজ্ঞানে কায়মনে আজীবন ছিলে তুমি নিঃসঙ্গ উদ্ভিদ
ব্রতী ছিলে সম্পাদনে, একেলা নির্জন কবি তপস্যামগন,
নিভৃতিপ্রিয়তা ছিল চিরসঙ্গী যেন শান্ত নিঃশব্দ ঘুঙুর
হয়তো কোনো বহতা নদীর নাম, মর্মরিত দোলায়িত
হাওয়ার বেহালাছড়ে বেজে উঠছে তোমার না-থাকা,
আকস্মিক মৃত্যুর ছোবল এত ভয়াবহ কেন হয়
কেন এই জন্ম তবে, কেন এত নিঃশব্দিত অভিমান
প্রশ্ন শুধু জেগে থাকে একাকিত্বে চরাচর না দেয় উত্তর …
গুণীর সংস্পর্শ বড়ো ভালোবাসতে, আরাধনা ছিল তা-ই
যেরকম বৃষ্টি ও আকাশ লগ্ন জড়াজড়ি করে থাকে অভিন্ন সত্তায়
প্রথানুগ পরিবার-ঐতিহ্য আগল ভেঙে চুপেচাপে প্রতিবাদ
ভিন্ন স্রোতে অপর বলয়ে তীব্র কক্ষপথে ঘূর্ণনের দুর্মর তিয়াসা
ঢেউ তুলেছিল রক্তে, জাগর ডাগর ছিল অঙ্কুরিত শিল্পীমন
হঠাৎই মৃত্যুর থাবা সবকিছু প্রবল আক্রোশে কেন দুমড়েমুচড়ে
অর্বাচীন আস্ফালনে যতি টেনে দেয়, কেন এই আর্ত নিমজ্জন
স্বজন হারানো কষ্ট দগ্ধনীল ব্যথায় লতিয়ে ওঠে,
মর্ত্যজুড়ে শুনতে পাই নিঝুম গোঙানি
এই গ্রহে সৌরপথে আলোতে ছায়ায়
প্রাণময় মানুষটি নৈঃসঙ্গ্যের ছন্দসিঁড়ি বেয়ে বেয়ে
নেমে গেল অতলান্তে অচিন মোকামে
আমরা সেই অতীন্দ্রিয় রূপরস বর্ণগন্ধ কিছুমাত্র অনুভব করতে পারি না …
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.