(জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি)

আমার হাতে কিছু রং ছিলো, ছবি আঁকতে পারতাম
মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর সিসটিন চ্যাপেলের মতো নয়,
রাফায়েল কিংবা লিওনার্দো দা ভিঞ্চির
মতো না হোক;
সেই রঙে আমি আজ জাতির পিতার ছবি
আঁকতে চাই, আমার আনাড়ি হাতে।
জলরঙে সে-মুখাবয়ব খুব তেজোদীপ্ত হবে না হয়তো
তেলরঙে অবশ্যই আমি আঁকতে পারবো সেই ছবি;

স্বাধীন ভূখণ্ডের যিনি স্থপতি স্বপ্নের
স্থির দাঁড়িয়ে আছেন আজো স্বাধীনতার সিংহদরোজায়
যিনি আমার নমস্য পিতা, তোমার পিতা, আমাদের পিতা
তিনি আজ সন্তানের রংতুলিতে ফুটে উঠবেন সমুজ্জ্বল,
যেন এক অদেখা রাজর্ষি;
রক্তের কিছু লাল রং আলপনায় বিছিয়ে দেবো
তাঁর পায়ের তলায়, সিঁড়ির গোড়ায়;
কালো রঙে বয়ে যাবে অবিনশ্বর এক দুঃখস্রোত
বাঙালি জাতির আনন্দ-বেদনার দুই যুগপৎ …

দৃশ্যমান তাঁর সেই তর্জনী যেন হাজার বছরের বাঙালি
বাদে-প্রতিবাদে সাতচল্লিশ থেকে মহান একাত্তরে
লাল-সবুজ পতাকার নিচে এক রাজার মুকুট।
সমুদ্রশামুকের মতো আবেগময় তাঁর দুটি চোখের গোলক
সর্বকালের কাজলে মাখা নিশিদিন,
আজো তাঁর মায়া-মমতা আর ভালোবাসা স্রোত
এদেশের মানুষের জন্যে; যাদেরকে তিনি
ভালোবাসতেন প্রতিটি শস্যদানার মতো।

শ্যামল সবুজ বাংলাদেশ নামের সোনালি এই ভূখণ্ডে
শতবর্ষী এক তরুণ যিনি, আজো তিনি পরাক্রান্ত নবীন।
রাজসিক তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে
সকল শিশুর হাতে আমার আঁকা
এই ছবিটি আমি তুলে দিতে চাই।

২০-৭-১৯
আইসবোট টেরেস, টরন্টো