জলে ভেজা ডায়েরি

 

আরম্ভেই বলে রাখি, এই গল্প পুরোটা আমার লেখা নয়। যেহেতু গল্পের মানুষটাকে আমি খবরের কাগজ থেকেই পেয়েছিলাম, আর খবরের ছাঁদেই লেখা তার জীবনের গল্প আমি পড়ি, তাই একজন সংবাদণ্ডনির্মাতাও এই লেখার অংশীদার। ‘সংবাদণ্ডনির্মাতা’ লিখে ফেললাম, সাংবাদিক লিখতে গিয়ে। ঠিকই লিখেছি। কারণ কিছুই তো আর হুবহু নকল নয় – জীবনকে দেখে রিপোর্টই লিখি অথবা কবিতা, নিজের মনের মাধুরী তার অক্ষরের নকশায় পড়ে আর ছবি তৈরি হয়। ওই একইভাবে আমিও গল্প বানাই – জীবনকে দেখতে দেখতে, এক পা গণ্ডির ভেতর, অন্য পা গ–র বাইরে অসীম অতলে রেখে – তবে ভোরের কাগজে সেসব ছাপা হয়ে বাড়ি-বাড়ি পৌঁছয় না বলে আমার মনের গহিন ব্যাপার-স্যাপার কেউ বুঝতে পারে না।

আজ তিন-চারদিন হলো তার কাছে আমি আসছি। দুপুর দুপুর ভাতটাত খেয়ে বেরিয়ে পড়ি আর বাস ধরে চলে যাই সেই রাস্তায়, যাকে ডায়েরি বানিয়ে একজন লিখে চলেছে নানা চিঠি, লেখা, স্মৃতি থেকে তুলে আনা গদ্য আর কবিতা…

মুশকিল হচ্ছে কখন সে কোন রাস্তাটা বাছবে, তার কোনো ঠিক নেই।

প্রথম দিন যখন পৌঁছলাম, তখন বাবু রাম খেলাওন লেনের ডায়েরিতে চলেছে তার লেখালেখি। ওটা একটা বস্নাইন্ড লেন। মুখের দিকটা ঠেলা, ভ্যান আর অচল ট্রাকে ঠাসাঠাসি। ভেতরের দিকে ঝুরঝুরে সব আদ্যিকালের বাড়ি, যাদের বারান্দায় জাফরির শীতল কাজ আর লোহার তারে শান্তিপুরী শাড়ি কেচে মেলা হয়েছে, ভাতের ফ্যানের সর লেগে আছে শাড়ির ভাঁজে…

ফুটপাতে একটা পোঁটলা। তার ভেতরে স্টিলের একটা ছোট থালা, একখানা গেলাস দেখা যাচ্ছে।

টুকু লিখছেন। এটা কি কবিতা?

‘আবার বেড়াতে যাবো।

জ্যোৎস্নায় বনের ভাঁজে

প্রাচীন মন্দির

বাতিল কাঁথার মত স্তব্ধ পড়ে আছে…

চাঁদ ধোওয়া হিম পড়ে ঘাসে – ’

একটা ভাঙা ইটের টুকরো দিয়ে পিচের ওপর লেখা। রাস্তা সর্বত্র সমান নয়। ফলে এক-একটা অক্ষর পড়া যাচ্ছে না। লিখতে কষ্ট হচ্ছে অবশ্যই। কাগজে-কলমে লেখা এর চেয়ে অনেক সহজ, বিশেষ করে কলম যদি ভালোমানের হয়। শাড়ির অাঁচল দিয়ে মাঝে মাঝে মুখ মুছে নিচ্ছেন, মাঝে-মাঝে থামছেনও, হঠাৎ আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে উঠলেন,

– অ্যাই ছায়া করছ কেন? দেখছ না লিখছি।

– বিকেল পড়েনি, ছায়া কই?

আমি না হয় একা ছায়া করতে পারি, তাতে লেখার কতটুকু ঢাকবে?

আর ওই যে ছোটরা ক্রিকেট-ব্যাট হাতে, উইকেটের স্টাম্প নিয়ে ক্রমশ ঘিরে আসছে – তার বেলা? এই গলিতে ওরা শীতের সময় সারাদিন আর গরমের বিকেলে ক্রিকেট খেলে।

– ও পিসি, অ দিদা উঠুন, ওঠো না গো, আমরা খেলব। তাকানো দেখে মনে হয়েছিল চোখে ইঞ্জিনের জ্বলন্ত কয়লা। কিন্তু হঠাৎ ইটের টুকরোটা অাঁচলে মুড়ে বলে উঠলেন :

– যদি একটাও অক্ষর মুছে যায়, তোরা সবক’টা মার খাবি!

– না না মুছবে না, কিছু হবে না, তুমি দেখো…

– এটা কি কবিতা?

টুকুর লেখা দেখতে দেখতে আমি যে-কথাটা বলেছিলাম, সেটা মনে মনে ছিল না, আসলে জোরেই বলেছিলাম। ইটের টুকরোটা পোঁটলায় রাখতে রাখতে টুকু রাগত স্বরে বললেন, বোঝ কোনটা কবিতা আর কোনটা নয়? বললেন ফুটপাতের দিকে তাকিয়ে, কিন্তু কথাটা যে আমাকে বলা তা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।

– বুঝি। আমিও তো কবিতা লিখি।

পোঁটলার পেট থেকে এবার বার হয়ে এলো কয়েকটা ধাতব টাকা – এক টাকার মুদ্রা সব।

যেন গৃহস্থালিতে মগ্ন কোনো গৃহিণী কর্তাকে বাজারে পাঠাচ্ছেন, এই ভঙ্গিতে টুকু আমাকে বললেন,

– খাবার-দাবার নিয়ে এসো। যাও।

ওই টাকায় কিছু হয় না। নিজের পকেট থেকে কিছু জুড়ে আমি নিয়ে এলাম দুটো সন্দেশ, গজা, শিঙাড়া। দোকানে দাঁড়িয়ে আমিও কিছু খেয়ে নিয়েছি।

বাড়ি ফিরতে ফিরতে টুকুর কথা ভাবি।

চলিস্নশ হয়তো ছাড়িয়েছে, ছোট করে ছাঁটা নুন মরিচ চুল। ঘন। পরনের বস্নাউজ আর শাড়ি দুটোই বহু ব্যবহারে জীর্ণ কিন্তু ময়লা-দুর্গন্ধ নয়। পোঁটলাটা ছোট। টুকু রাস্তায় থাকেন না রাতে, বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু উনি লিখতে নামেন রাস্তায়। ভাঙা ইটের টুকরো দিয়ে। কোনদিন কোন রাস্তা বাছবেন কেউ জানে না। রাস্তাকে লেখার পটভূমি হিসেবে আমরা কেউ ভাবিনি এতদিন – মানে, আমরা যারা লিখি। কাগজে লেখা হয়, কম্পিউটার স্ক্রিনেও। ছোটবেলায় দেখেছি পয়সা পাওয়ার জন্য মূক-বধির শিল্পীরা ফুটপাতে ঠাকুর-দেবতার ছবি অাঁকেন – কালী, সরস্বতী, মা দুর্গা – চকখড়ির অাঁকার মধ্যে রঙিন গুঁড়ো দিয়ে ভরা, অভ্রের বালি দিয়ে সাজানো।

পাছে পাপ লাগে তাই ওইসব ছবি অাঁকা ফুটপাত এড়িয়ে আমরা রাস্তার ধার দিয়ে হাঁটতাম। কিন্তু এই যে সারাদেশে পাকা রাস্তা আছে চার লাখ ছিয়ানববই হাজার কিলোমিটার তাতে ইটের ভাঙা দিক দিয়ে কত বিরাট মহাকাব্য-মহাউপন্যাস লেখা হতে পারত, নানা ভাষায়। গান্ধীনগরের পথে গুজরাতি কাব্যনাটক, তেলেঙ্গানার রাস্তায় তেলুগু উপন্যাস লেখা আছে আমরা দেখতে পেতাম। কাঁচা মাটির পথের ওপর লেখাটা বুদ্ধির কাজ নয়। সে লেখা পড়াই যাবে না।

পরের দিন যখন গেলাম তখন উনি আবার বড় রাস্তায় চলে এসেছেন। সকালের দিকে বেশ খানিকটা গদ্য লিখে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সকালে ট্রাফিক কম থাকে।

বেলা বাড়তেই সমস্যা শুরু হয়েছে। যারা গাড়ির অপেক্ষায় সিগন্যালে দাঁড়িয়েও অস্থির নিশ্বাস ফেলে, ঘনঘন কেঁপে ওঠে নাকের পাটা, চিবুকের তিল, ছাড়া পেয়ে তারা তো দৌড়াবেই ত্রিভুবন মাড়িয়ে – সেখানে যদি তার ভাঙা ইট নিয়ে দীর্ঘ চিঠি লিখতে বসেন মা-কে, তবে তাদের থমকে দাঁড়াতে হয় বিচ্ছিরি ব্রেক কষে। তখনো তো গাড়িদের এমন রমরমা হয়নি শহরে যে, কোনো ভিখিরিকে পথে বসে থাকতে দেখলেই পিষে দেবে। তাদের গলনালি দিয়ে চুইয়ে পড়া ব্রেকঅয়েল চিঠির বেশকিছু অক্ষর মুছে কালো করে দিয়ে যায়। আজকাল তো আবার সিভিক পুলিশের থেকে ভালো পুলিশ নেই। লাঠিপেটা না করে পাঁজাকোলা করে তুলে তারা টুকুকে রাস্তার ধারে বসিয়ে দিয়ে যায় – আর তিনি চেঁচাতে থাকেন, আমার ডায়েরি কেড়ে নিচ্ছিস, লজ্জা করে না তোদের?

ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খেতে খেতে লুপ্ত অক্ষরের শূন্যস্থানগুলো অনুমান করে নিতে-নিতে আমি পড়তে থাকি টুকুর লেখা সেই চিঠি, যা শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়ের একটু পর থেকে আরম্ভ হয়ে টবিন মোড় পর্যন্ত নিশ্চিন্তে এলিয়ে আছে…

সূক্ষ্ম ঈর্ষা জাগে বুকের মধ্যে, আমার মা-কে কোনোদিন এত দীর্ঘ চিঠি লিখেছি কি আমি? কেন লিখিনি?

টুকুর চিঠি-

‘শ্রীজ্ঞানেষু মা গো

মনে পড়ে সেই চন্দ্রম-ল লেনের বাড়ি? তুমি আমাকে একটা বাতাসার ঠোঙা হাতে দিয়ে বললে পরীদের দিয়ে আয় ঠাকুরের প্রসাদ, আর আমি হারিয়ে গেলাম! পরীদের বাড়ি তো আমি চিনতাম – কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে কী যেন হল – মনে হল দুদিক থেকে সব বাড়ি আমাকে ঝুঁকে ঝুঁকে দেখছে – চেনা রাস্তাটার নকশা বদলে গেল – আমি ভয় পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়োচ্ছি – আর হাত থেকে বাতাসা পড়ে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে, ঠোঙাটা উড়ে গেল বাতাসে… আমি নিজের বাড়ি চিনতে না পেরে আরো আরো দূরে চলে যাচ্ছি – (ঝাপসা) – কিন্তু তুমি ঠিক আমাকে খুঁজে বার করেছিলে সেবার। অন্তুদাকে পাঠিয়ে, বাবাকে ফোন করে অফিস থেকে আনিয়ে সবাই পথে নেমে বাতাসার গুঁড়ো খুঁজতে খুঁজতে এগোচ্ছিল – বিকেলবেলা ওরা আমাকে পেল ঠিকই – আমি একটা থানার সামনে দড়ির খাটিয়ায় বসে পা দোলাচ্ছিলাম আর লজেন্স খাচ্ছিলাম – সেই রকম লজেন্স, যা দেখলেই তুমি হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ফেলে দিতে – কারণ তালুতে লাল-হলুদ চ্যাটচেটে রং লেগে যেত।’

যতিচিহ্ন প্রায় নেই, অনেক ড্যাস আছে, লম্বা-লম্বা বাক্যে লেখা চিঠি। অনেক কিছু লিখেছে, টুকু। একজন ফলের দোকানদার বলল, কাল গভীর রাত থেকে লিখতে লেগেছেন। গাড়িঘোড়া কম থাকে। সবাই যারা ওঁকে চেনেন, দোকানি, পুলিশ, সিভিক পুলিশ, সাফাই কর্মী, সবাই চিন্তিত। গাড়ি চালানোর তো কোনো বাপ-মা নেই, কেউ একজন অসাবধানে ধাক্কা দিলেই তো মহিলা উড়ে বেরিয়ে যাবেন। এরপর চিঠিতে মালদা বেড়াতে যাওয়ার কথা আছে, পুরী কোনার্ক ভ্রমণবৃত্তান্ত। পুরীতে মা নাকি ইচ্ছে করে যাননি, পিসিমা-পিসেমশাইয়ের সঙ্গে টুকুকে পাঠানো হয়েছিল। লেখার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ আছেন। প্রায় কোনো প্রসঙ্গ ছাড়াই, অনেকটা। কবিতা, কবিতাংশ। সাংবাদিকটি লিখেছেন টুকু বাংলায় স্নাতকোত্তর। ভাষার ওপর অনিবার্য দখল। এছাড়া তাঁর বিষয়ে আর কিছু জানা নেই।

চিঠিতে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির প্রসঙ্গ এসেছে। পড়াতে যাওয়ার সময় নানা অসুবিধে। রোজই কিছু না কিছু অঘটন ঘটছে আর টুকু জড়িয়ে যাচ্ছেন তাতে। দুধ উথলে পড়ে গ্যাস নিভে যাচ্ছে। দুয়ার গোড়ায় রাখা আবর্জনা তোলেনি কেউ। বাজারে কুচো মাছ এসেছে। সেগুলো ছাই মাখিয়ে কুটতে বসেছেন টুকু। স্বামীর বিশেষ উল্লেখ নেই। ভদ্রলোক কি স্ত্রীকে পড়াতে যেতে কোনোভাবে উৎসাহিত করেন অথবা বাড়ির কাজে হাত বাড়ান কখনো? জানা যাচ্ছে না। টুকু লিখছেন, এসব তোমাকে এতদিন জানাইনি তুমি চিন্তা করবে বলে। আজ জানালে কোনো ক্ষতি নেই, তাই লিখছি!

টবিন রোডে পুরনো ইটের একটা মস্ত উঁচু ত্রিকোণ চিরুনির মতো দেখতে থাম আছে, সেটা জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সার্ভের কাজে লাগত এককালে। তার পায়ের কাছে পড়ে আছে শেষ না হওয়া চিঠির শেষ লাইন-

মা, তোমার সঙ্গে আমার দূরত্ব বেড়েই চলেছে… আমি এত লিখেও যেন কোনো ফাঁকা ভরাতে পারি না-

ক্লান্ত, হতাশায় টুকু ফিরে যাচ্ছেন তাঁর ডেরায়। খালপাড়ে কাগজ কুড়িয়েদের কলোনিতে ওকে একটু থাকার জায়গা দিয়েছে ওরা। তবে বড্ড দুর্গন্ধ, জৈব আবর্জনার গন্ধ মিশে থাকে শুষ্ক বর্জ্যে, যেহেতু গোড়াতেই তাদের আলাদা করার তত্ত্বে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না। আমি গিয়ে দেখে এসেছি টুকুর থাকার জায়গা। কতদিন ধরে তিনি ওখানে আছেন? কেউ জানে না।

তৃতীয় দিন পথে নেমে টুকুকে খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হলো। সিভিক পুলিশ আর মারমুখী গাড়িঘোড়ার ওপর রাগ করে তিনি আজ বসে আছেন ডানলপের মোড়ের একটু আগে, একটা মিষ্টির দোকানের সামনের ফুটপাতে। এখান দিয়ে ভারী যানবাহন চলে বেশি, তবে তাদের স্রোত মন্দা।

আজ দেখলাম লিখে রেখেছেন-

‘শুধায়ো না কবে কোন্ গান

কাহারে করিয়াছিনু দান

পথের ধুলার পরে পড়ে আছে তারই তরে,

যে তাহারে দিতে পারে মান

তুমি কি শুনেছ মোর বাণী

হৃদয়ে নিয়েছ তারে টানি

জানি না তোমার নাম, তোমারেই সঁপিলাম

আমার ধ্যানের ধনখানি’

 

উদ্ধৃতিসূচক চিহ্ন দেননি টুকু। কেন?

– কেন দেব? এসব কি আমারও লেখা নয়?

– মা আমাকে বলেছে আপনাকে বাড়ি নিয়ে আসতে।

– কোন মা? আমার কেউ নেই এ-দুনিয়ায়।

– আমার মা। আপনার লেখা চিঠির কথা বলছিলাম।

– কেবল বাজে বকা।

 

আজ যেন দিনটা কেমন-রোদ নিভে নিভে যাচ্ছে মেঘে। ঝড় উঠবে কি বিকেলে? এত গরম সহ্য করাও তো মুশকিল। দেখতে দেখতে ধুলোর ঘূর্ণি উঠল ডানলপের মোড়ে, বাতাস এলো পাখা ছড়িয়ে, বৃষ্টিকে দেখলাম দৌড়ে আসছে বড় বড় ফোঁটায়-

টুকুকে হাত ধরে টেনে দোকানের শেডের নিচে দাঁড়ালাম। ওঁর হাতে ইট। পোঁটলাটা অসহায়ভাবে ভিজছে।

রাস্তা ধুয়ে গেল দেখতে দেখতে। সবকিছু মুছে দেয় বৃষ্টি, অবশ্য ক্ষত সারাতে পারে না।

টুকুর দিকে তাকালাম। ওঁর দুচোখে টলটল করছে জল।

বললেন, আমার চিঠি মুছে গেল, কবিতা ধুয়ে গেল, আমি ভিজে ডায়েরি কী করে শুকোব এখন?

আমার কাছে কোনো উত্তর ছিল না।

তুমুল বৃষ্টিতে ফগ লাইট জ্বালিয়ে দূরপাল্লার ট্রাকেরা চলেছে। গম গম করে সমস্ত রাজপথ চাকায় মাড়াবে তারা। বৃষ্টিও ট্রাকেদের আর গাড়িদের মতন অক্ষর মোছার খেলায় মেতেছে।

টুকুদির হাত ধরে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছি।