পর্দার অন্তরালের মানুষ হাসনাতভাই

হাসনাতভাইয়ের সঙ্গে কবে প্রথম আলাপ হয়েছিল এখন আর মনে করতে পারছি না। তবে লেখালেখি নিয়েই যে সে-আলাপটি হয়েছিল তা অনুমান করতে পারি।

সে- সময়টায় আমি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে দৈনিক সংবাদের সম্পাদকীয় পাতায় প্রায়ই লিখতাম। তিনিই বললেন তাঁর সাহিত্য সাময়িকীতেও লিখতে। সেভাবেই শুরু। এরপর তাঁর পাতায় বাংলাদেশের বাজেট, কৃষি, দারিদ্র্য, রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেনসহ কত বিষয়েই না লিখেছি। তাঁর লেখা চাইবার এক আশ্চর্য সক্ষমতা ছিল। যেমন ব্যক্তিত্ব, তেমনি নরম করে বলার ধরন। দারুণ সজ্জন এই সাহিত্য সম্পাদকের আন্তরিক আহ্বান উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারোরই ছিল না। তিনি আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিতেন। মনে হতো কী যেন এক ম্যাগনেট রয়েছে তাঁর কথায়। অর্থনীতিকেও যে সাহিত্যে রূপান্তর করা যায় তা হাসনাতভাইয়ের উৎসাহ না পেলে হয়তো জানতামই না। এরপর তিনি কালি ও কলমের দায়িত্ব নিয়েও একইভাবে আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যায় লেখার পরপরই ফের লেখা চাইলেন শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান স্যারের ওপর। কোভিড ঝড়ের প্রথম দিকেই স্যার আক্রান্ত হলেন এবং চলে গেলেন। কালি ও কলমে তিনি ছিলেন প্রধান স্তম্ভ। লেখাটি পাঠালাম। 

এর বাইরে সাংস্কৃতিক নানা উদ্যোগের সঙ্গে হাসনাতভাই ছিলেন শক্তিশালী, তবে অন্তরালের কর্মী। সেই সুবাদেই এই সজ্জন সক্রিয় মানুষটির সঙ্গে আমার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সংযোগ ঘটে। তিরিশ বছরেরও আগে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে। রবীন্দ্রনাথের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেছিলাম। তখন ওয়াহিদভাই খুবই সক্রিয়। দেখলাম নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন হাসনাতভাই। সেই যে শুরু এখনো আছি এই জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সঙ্গে। মাত্র মাসখানেক আগেই এই পরিষদের সভা করছিলাম। নির্বাহী সভাপতি হিসেবে কাজের দায়িত্ব চাপিয়েছেন সনজীদা আপা। তাই না করার উপায় নেই। সভায় দেখি হাসনাতভাই নেই। জানলাম তিনি হাসপাতালে। বুলবুল জানাল, তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন আমাদের সবারই সেরকম আশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবন চলার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিয়েই টুপ করে ডুব দিলেন আমাদের চোখের অন্তরালেই। শেষ মিলেছিলাম সামনাসামনি এ-বছরের মার্চের প্রথমদিকে সিরাজগঞ্জে। নাটক নিয়ে কথা। রামেন্দুদা মূল প্রবন্ধ পড়েছিলেন। হাসনাতভাই চমৎকার আলোচনা করেছিলেন। করবারই কথা। আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তিনি যে অন্যতম প্রধান নেতা। গোড়া থেকেই হাসনাতভাই ছাত্র ইউনিয়নের হয়ে সংস্কৃতি ও প্রকাশনার দিকগুলো দেখতেন। ‘সংস্কৃতি সংসদ’ পরিচালনায় যে-দক্ষতা দেখিয়েছেন তার সুফল আমরা ছায়ানট, নালন্দা ও রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ পরিচালনার সময় পেয়েছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছায়ানটের সৃজনশীল শিক্ষা-উদ্যোগ নালন্দার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। স্বল্পভাষী এই মানুষটি অন্যরকম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনার আদর্শে যেমনভাবে পরিচালনা করেছেন তা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্যই অনুকরণীয় হতে পারে। একইভাবে তিনি ছায়ানট ও রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ পরিচালনার সময়ও বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ দিয়ে প্রতিষ্ঠানদুটোকে অসামান্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। 

ষাটের দশকের শেষভাগেই পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে রাজনীতি এক উথাল-পাথাল সময়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। রাজনৈতিক সেই জাগরণের মূল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ছয়-দফার মূল বাণী আত্মস্থ করে সংস্কৃতিজনেরাও বাঙালির উদারনৈতিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণহিতৈষী মানসলোক তৈরির কাজে নেমে পড়েছিলেন। বেশিরভাগ বামপন্থী হলেও এঁরা সহজেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাংস্কৃতিক পাটাতন তৈরিতে মূলধারার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালির স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনে যে-লড়াই একাত্তরে শুরু হয় তার প্রস্তুতিপর্বে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা মিলেমিশে এক মোহনায় এসে সমবেত হয়েছিলেন। বিশেষ করে অসহযোগের দিনগুলোতে বাঙালির গণমুখী সংস্কৃতির যে-প্রাণের জোয়ার এসেছিল তাতে প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মীদের অসামান্য ভূমিকার কথা না বললেই নয়। এই কর্মীদের অন্যতম নেতা ছিলেন আমাদের হাসনাতভাই। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সীমান্ত পাড়ি দেন। কলকাতায় গিয়ে তিনি বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিজনকে মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনার প্রসারে সক্রিয়ভাবে সংগঠিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। তাঁর সেই সংযোগ যে কতটা অর্থবহ ছিল তার প্রমাণ মেলে ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন দেশে তাঁর সাংস্কৃতিক উদ্যোগে ছাত্র ইউনিয়নের জাতীয় সম্মেলনে প্রখ্যাত বাঙালি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস এবং সুচিত্রা মিত্রকে ঢাকায় এনে যেসব নান্দনিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তার মধ্য দিয়ে। তার কিছুদিন পর তিনি কলকাতাতেও দুই বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিকদের নিয়ে আরেকটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। 

কিছুদিন আগে ছায়ানট, নালন্দা ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ মিলে হাসনাতভাই স্মরণে যে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি হয়ে গেল সেখানে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ইকবাল আহমেদ হাসনাতভাইয়ের সাংস্কৃতিক সাংগঠনিক সামর্থ্যের এক হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা দিলেন। অনেক অজানা কথা আমরা জানলাম। একইভাবে আমরা মফিদুল হকের ‘আবুল হাসনাতের জীবন সাধনা’ (দৈনিক সংবাদ, ৫ নভেম্বর ২০২০) নামের স্মরণলেখায় জানতে পারি, পুরান ঢাকার এই সন্তানের সামগ্রিক ঢাকা তথা বাঙালির বৃহত্তর সাংস্কৃতিক পরিচয়কে তুলে ধরার বিশাল সব আয়োজনের কথা। যে-উত্তাল সময়ে তিনি পুরান ঢাকার কষ্ট (৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা) এবং রাজনৈতিক প্রতিবাদের বিস্ফোরণ দেখেছেন সেসবের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন মূলত তাঁর কবিতায়। তিনি যে উঁচুমাপের একজন কবি ছিলেন সে-কথা আমাদের প্রয়াত প্রধান কবি শামসুর রাহমান তাঁর আত্মজীবনী কালো ধুলোয় লেখাতে লিখেছেন, ‘তবে আমি তাঁর যে কটি কবিতা পড়েছি, সেগুলো বলে দেয় মাহমুদ আল জামান প্রকৃত কবি-মনের অধিকারী।’ তাঁর কবিতাগুলো খুবই আধুনিক এবং জীবনঘন। স্বভাবে নিভৃতচারী কবি ‘মাহমুদ আল জামান’ (হাসনাতভাইয়ের কবি-পরিচয়) অনেকটাই খোলামেলা। পুরান ঢাকার জীবন, গণঅভ্যুত্থানের উত্তাপ, মুক্তিযুদ্ধে উদ্বাস্তু জীবন নানা মাত্রিক শিল্পরসে টইটম্বুর তাঁর কবিতার ভাণ্ডার। ভুবনডাঙা নামটি তাঁর খুবই প্রিয়। তাই তাঁর কবিতার বইয়ের নাম কোনো একদিন ভুবনডাঙায়, ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল। তাছাড়াও তাঁর আরেকটি পাঠকপ্রিয় কবিতার বইয়ের নাম জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক। পশতু কবিতার অনুবাদও তিনি করেছেন। তাঁর নির্বাচিত কবিতার বইটিও সুধীজনের দৃষ্টি কেড়েছে।

শিশু ও কিশোর সাহিত্যেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়, যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুর, টুকু সমুদ্রের গল্প ছাড়াও তিনি ছোটদের জন্য জীবনীগ্রন্থও লিখেছেন। জসিমউদ্দীন, সূর্য সেন এবং চার্লি চ্যাপলিন জীবনীগ্রন্থগুলোর মাধ্যমে শিশু-কিশোর পাঠকদের মনে তিনি যথেষ্ট দোলা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তাঁর লেখক সত্তার পরিধি ব্যাপক। চিত্র-সমালোচনাতেও তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন অন্যান্য তাঁর গভীর চিত্র- সমালোচনার এক আকর্ষণীয় গ্রন্থ। জীবনের শেষদিকে (২০১৯-২০) এসে তিনি স্মৃতিকথা এবং আত্মজীবনীমূলক রচনার দিকে ঝুঁকেছিলেন। প্রত্যয়ী স্মৃতি ও অন্যান্যহারানো সিঁড়ির চাবির খোঁজে বইদুটোতে হাসনাতভাইয়ের সময়কে ধরার এক অনবদ্য দৃষ্টির সন্ধান মেলে। সেকাল ও একাল ধরতে গিয়ে তাঁর স্মৃতিবর্ণনায় সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় বুদ্ধিবৃত্তিক ও শিল্পচর্চার সঙ্গে যুক্ত একঝাঁক উজ্জ্বল মুখ। খালেদ চৌধুরী, কামরুল হাসান, মাহমুদুল হক, হাসান আজিজুল হক, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বুলবুল চৌধুরী, দ্বিজেন শর্মা, ভূমেন্দ্র গুহ, হামদি বে, অশোক মিত্র, রেহমান সোবহান, আহমদ রফিক ছাড়াও আরো কত নাম। বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং সাহিত্যের নানা দিক তিনি এই আত্মজৈবনিক বইয়ে তুলে ধরেছেন। বৃহৎ মানুষের জয়যাত্রার ওপর তিনি বরাবরই আলো ফেলেছেন। ফুটে উঠেছে সামষ্টিক চেতনার কথা। রাজনৈতিক ঘটনাসমূহের বিবর্তনের পথ ধরে সংগ্রামী মানুষের মন ও মননের কথা বলেছেন। পাশাপাশি এসেছে সংস্কৃতির কথা। রক্তকরবী প্রযোজনা ও হাসান ইমামের কথা। এর বাইরেও তিনি পঞ্চাশটির মতো বইয়ের যৌথ সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এভাবেই নিজেকে অন্তরালে রেখে আমাদের সামষ্টিক যাপিত জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়কে তুলে এনেছেন পাঠকের দৃষ্টিসীমানায়। ব্যক্তি নয়, সমষ্টিই প্রাধান্য পেয়েছে তাঁর কলমের ডগায়। সাহিত্য সমালোচনাতেও তাঁর হাতের জাদুস্পর্শ লেগেছে। সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর অন্যান্য বইয়ে তিনি তাঁর সাহিত্য- সমালোচনায় গভীর অন্তর্দৃষ্টির ছাপ রেখেছেন। তাঁর লেখালেখি ছাপিয়ে যে-পরিচয়টি বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে বেশি করে ফুটে উঠেছে তা হলো সাহিত্য সম্পাদনা। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে ৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকীর (যা তিনি দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন) বিশেষ সংখ্যায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী যথার্থই লিখেছেন, ‘আবুল হাসনাত একজন অসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। …  নবীন-প্রবীণ সকল লেখকের কাছ থেকেই তিনি লেখা আদায় করে নিতে পারতেন।’ উল্লেখ্য, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ‘গাছপাথর’ ছদ্মনামে ‘সময় বহিয়া যায়’ শিরোনামে চোদ্দো বছর ধরে দৈনিক সংবাদের ‘সাহিত্যপাতায়’ নিয়মিত কলাম লিখেছেন। তাঁর সম্পাদনার গুণে অধ্যাপক চৌধুরী এতই মুগ্ধ যে বলেছেন, কবি আহসান হাবীবের সাহিত্য সম্পাদকের শূন্যস্থানটি যোগ্যতার সঙ্গেই পূরণ করতে পেরেছিলেন আবুল হাসনাত। আর যখন তিনি লেখেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে হাসনাতের মতো এত বিনয়ী, রুচিস্নিগ্ধ ভদ্রমানুষ আমি খুব কম দেখেছি’, তখন আমাদের সকলের মনের কথাই যেন বলেছেন। ওই সাহিত্য পাতায় আমাদের জীবনের নানা দিক অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, আন্তর্জাতিকতা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, পরিবেশ এবং আরো কত প্রসঙ্গ যে ছাপা হতো যার জন্যে আমরা পুরো সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতাম। দেশের সেরা সব কবি, সাহিত্যিক এবং পণ্ডিতজনেরা লিখতেন এই পাতায়। পরবর্তী সময়ে কালি ও কলমের পাতাতেও একই সাহিত্যরসের সঞ্চার করেছেন। আমাদের জীবনের নরম-গরম উভয় রূপই তুলে ধরেছেন তাঁর সম্পাদিত সাহিত্য সাময়িকীতে। এমন ব্যক্তিত্বপূর্ণ, স্বল্পভাষী, নীতিবান, দেশপ্রেমিক ও সজ্জন মানুষ আমি অন্তত খুব কমই দেখেছি। আমরা রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদে অনেকদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি। খেয়াল করেছি কোনো সভাতেই আগ বাড়িয়ে কোনো কথা বলতেন না। সভাপতি অনুরোধ করলেই তিনি দু-চারটি কথা বলতেন। তাও সোজাসাপ্টা। মেদহীন। এমন একজন বহুগুণে গুণান্বিত সংস্কৃতিজন এবং সম্পাদক হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর এই শূন্যস্থান সহজে পূরণ হবার নয়। তরুণদের কাছে প্রত্যাশা যে, হাসনাতভাইয়ের এই স্নিগ্ধ রুচির সন্ধান যেন তারা করে তাঁর লেখায়, সংগঠনে এবং জীবনচলার বৈশিষ্ট্যে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক জমিনে তিনি তাঁর চলার পথে যেসব অবিনশ্বর ছাপ রেখে গেছেন সেসবই থেকে যাবে সংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ হিসেবে। আমরা সর্বদাই এ-সম্পদ সযত্নে রক্ষা করব। সেইভাবে যেন সচেষ্ট থাকি।

সহায়ক পাঠ

১. পিয়াস মজিদ, ‘সম্পাদক আবুল হাসনাত কিংবা কবি মাহমুদ আল জামান’, প্রথম আলো, ৬ নভেম্বর ২০২০।

২. মঞ্জুরুল হক, ‘আমাদের হাসনাতভাই’, প্রথম আলো, ১২ নভেম্বর ২০২০।

৩. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ‘সম্পাদনার অসাধারণত্ব এবং আবুল হাসনাত’, দৈনিক সংবাদ, ৫ নভেম্বর ২০২০।

৪. মফিদুল হক, ‘আবুল হাসনাতের জীবন সাধনা’, দৈনিক সংবাদ, ৫ নভেম্বর ২০২০।

৫. কালি ও কলম বিভিন্ন সংখ্যা r (লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর)