সালাহউদ্দীন আইয়ুব
বিশ্বজিৎ ঘোষের বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার রূপায়ণ (ঢাকা ১৯৯৭) পড়েছিলাম গবেষণাগ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই। বিলম্ব না করে একটা আলোচনা লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু হয়নি। অনেকদিন পর আবারো এটি পড়ি। বুদ্ধদেব বসু সম্পর্কে বই পড়ে নিঃশব্দ থাকা সাহিত্যের ছাত্রের পক্ষে অপরাধতুল্য বলে আমার বিশ্বাস। অকারণ বিলম্বের এই হলো আমার কৈফিয়ত।
বাংলা সাহিত্যের যে-কজন লেখক দ্বারা আমি অবিরলভাবে আক্রান্ত, সেই সংক্ষিপ্ত ও অপরিবর্তিত তালিকার শীর্ষে রয়েছেন বুদ্ধদেব বসু। বুদ্ধদেব বসুর প্রবন্ধসংগ্রহ প্রথমে বন্ধু মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ধার নিয়ে পাঠ করার পর আমার সাহিত্যবোধে যেরকম ঝাঁকুনি ও তোলপাড় ওঠে, তার সঙ্গে তুলনীয় অভিজ্ঞতার দৃষ্টান্ত আমি মনে করতে পারি না। তাঁর শার্ল বোদলেয়ারের ভূমিকা পড়লে এখনো আমার চিত্তে অভিন্ন আন্দোলন হয়।
অনুজ্জ্বল ও অযত্নে সম্পাদিত বুদ্ধদেব বসুর রচনাসংগ্রহ ঢাকা ও আন্দরকিলস্না থেকে কেনার পর তাঁর উপন্যাসগুলোও আমি সমান অনুরাগ নিয়ে, যদিও একেবারেই ভিন্ন কারণে, পড়ে শেষ করি। কথাসাহিত্য-বিচার বা বাংলা আখ্যানের ঐতিহ্যে বুদ্ধদেবের স্থান নির্ণয়ের অভিপ্রায়ে নয়, পস্নট বা কাহিনির টানেও নয়, আমার প্রিয়তম গদ্যশিল্পীর বাক্যরচনার শিল্পকলা ও গদ্যের কারুকর্ম উপভোগের বাসনা থেকে তাঁর উপন্যাস-গল্প পড়ি। পস্নটে যত দুর্বলতাই থাক, বুদ্ধদেবের ফরমায়েশ আখ্যানেও যে শিথিল বাক্যগ্রন্থনের দৃষ্টান্ত দুর্লভ, আমার এই মতের সঙ্গে গবেষক বিশ্বজিৎ ঘোষও নিশ্চিত একমত হবেন।
আনন্দ সংগ্রহ কিংবা রসলিপ্সা কিংবা নেহাত সাহিত্য উপভোগের জন্য বুদ্ধদেব বসু পড়া এক বস্তু; তাঁর রচনাকর্ম সম্পর্কে গবেষণা, তদন্ত, বিচার ও অনুসন্ধান অন্য জিনিস। গবেষণায় অনুসন্ধানের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট, তার প্রতিপাদ্য নিয়ন্ত্রিত; এ-ধরনের কাজের সম্ভবপর পরিধি প্রস্তাবিত তত্ত্বের অনুগামী হওয়া বাঞ্ছিত। স্বভাবতই বিশ্বজিৎ ঘোষের গবেষণার নিয়ন্ত্রিত প্রতিপাদ্য বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়পর্বে নিঃসঙ্গ আধুনিক বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের রূপায়ণ ও বিভিন্ন পর্বে তার রূপান্তরের জরিপ।
প্রথম অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদ ও অভিসন্দর্ভের দীর্ঘতম তাত্ত্বিক রচনা : ‘নৈঃসঙ্গ্যচেতনা! প্রাসঙ্গিক পরিপ্রেক্ষিত।’ দর্শন, মনস্তত্ত্ব ও আধুনিক সাহিত্যতত্ত্বের আলোকে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার বিশেস্নষণ এ-পরিচ্ছেদের লক্ষ্য। প্রথম অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আলোচিত বুদ্ধদেব বসুর মানসগঠন ও জীবনবোধ। শুধু সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার বিবরণ দিলে প্রথম অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদ হয়তো সংক্ষিপ্ত হতো, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হতো না। এ-পরিচ্ছেদে লেখকের কৃতিত্ব হলো সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণকে প্রাধান্য দিয়ে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার সম্পর্ক উদ্ঘাটন, অর্থাৎ নৈঃসঙ্গ্য ও বিচ্ছিন্নতা নামক দুটি ভেরিয়েবলকে কার্যকারণ সম্পর্কে যুক্ত করে দেখা। এর মধ্যে একটি অপরটিকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, করলে তার প্রকৃতি কী, প্যাটার্ন কী, অভিমুখিতা কী, তার বিশেস্নষণ।
এখানে এ-কথাটি বুঝতে হবে যে, যদিও নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতা সমার্থক শব্দ হিসেবে প্রচলিত, নৈঃসঙ্গ্যচেতনা ও বিচ্ছিন্নতা এক নয়। নৈঃসঙ্গ্যচেতনাকে কার্য (ইফেক্ট) ও বিচ্ছিন্নতাকে তার কারণ (কজ) ধরা গেলেও নৈঃসঙ্গ্যচেতনাকে বিচ্ছিন্নতার একক বা একমাত্র বা অনিবার্য পরিণতি মনে করা অনাবশ্যক। সমাজের অনেক মানুষই হয়তো বিচ্ছিন্ন, কিন্তু তাদের মধ্যে যে বিশেষ প্রপঞ্চকে বিশ্বজিৎ ঘোষ নৈঃসঙ্গ্যচেতনা বলে শনাক্ত করছেন তা অনুপস্থিত।
অর্থাৎ একজন বিচ্ছিন্ন কিংবা নিঃসঙ্গ হলেই নৈঃসঙ্গ্যচেতনার অধিকারী হয় না। স্বাভাবিক নয়, অনিবার্যও নয় – নৈঃসঙ্গ্যচেতনা বহুলাংশে অর্জনসাপেক্ষ ও অনুশীলনের মুখাপেক্ষী। নৈঃসঙ্গ্যচেতনায় অধিকারের জন্য, অন্তত সাহিত্যশিল্পে, শুধু দীক্ষা গ্রহণ কেন, প্রায় কনভার্সনের প্রয়োজন। নৈঃসঙ্গ্যচেতনার তত্ত্ব নিয়ে লেখকের অনুপুঙ্খ আলোচনা বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে সেই চেতনার রূপায়ণ ও প্রতিফলনের বিচার গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত না। ব্যাপারটা আরেকটু খুলে বলতে হয়। বিচ্ছিন্নতার সঙ্গে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার তফাৎ বুদ্ধদেব বসুর জীবনের উদাহরণ দিয়েও বুঝে নেওয়া যায়। ব্যক্তি ও লেখক হিসেবে বুদ্ধদেব বসু খুব বিচ্ছিন্ন ছিলেন এমন বলা যাবে না। যিনি সেই পুরানা পল্টন থেকেই সাহিত্যের কাগজ বের করেছেন, যার ২০২ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে প্রতিসন্ধ্যায় সাহিত্যের আড্ডা বসত, পঁচিশ বছর ধরে যিনি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন, মতাদর্শ ও রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে অনবরত সাহিত্যের পক্ষ অবলম্বন করেছেন, ঘুরেছেন ইউরোপ-আমেরিকা-জাপানে, অধ্যাপনা করেছেন এবং ব্যস্ততার জন্য নিজের মেয়েকে ইংরেজি পড়ানোর জন্য সময় দিতে পারেননি, নতুন লেখকের অভ্যুদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বীকৃতি দিয়েছেন, জবাব দিয়েছেন অসংখ্য চিঠির, বাড়িতে নাটক করেছেন, সহযাত্রী লেখকদের সাহায্য ও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও তাঁদের সাফল্যে যিনি ছিলেন ব্যতিক্রমহীনভাবে উত্তেজিত, সেই বুদ্ধদেব বসুকে বিচ্ছিন্ন বলা যায় না। তাঁর তুলনায় অনেক বেশি বিচ্ছিন্ন ছিলেন জীবনানন্দ দাশ ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। সেজন্যই বলছিলাম যে, নৈঃসঙ্গ্যচেতনা এক ধরনের অনুশীলিত, অর্জনসাপেক্ষ, চৈতন্য : এই তাত্ত্বিকবোধ বিশ্বজিৎ ঘোষের গবেষণার প্রস্থানভূমি।
নিঃসঙ্গতার সঙ্গে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার তফাৎ নির্ণয়ের পর তার ভিত্তিতে বুদ্ধদেবের উপন্যাসের পর্যালোচনা বিশ্বজিৎ ঘোষের গবেষণার প্রধান কৃতিত্ব। বিশ্বজিৎ ঘোষ বুদ্ধদেবের উপন্যাসে নিঃসঙ্গতার বিবরণের জরিপ করেননি, বরং ‘নৈঃসঙ্গ্যচেতনা’ নামক যুদ্ধোত্তর আধুনিক সাহিত্যের একটা সুনির্দিষ্ট, অনুশীলিত, ইউরোপীয় সাহিত্যে ব্যাপকভাবে আদৃত, প্রবণতার নিরিখে বুদ্ধদেবের উপন্যাসে তার উন্মেষ, বিকাশ ও পরিণতির বিচার করেছেন। বিশ্বজিৎ ঘোষ বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসকে বিষয়, জীবনবোধ ও পরিচর্যাকৌশলের বিবেচনায় ‘তিনটি প্রধান পর্বে বিন্যাস’ করেন :
সাড়া থেকে বাসরঘর পর্যন্ত প্রথম পর্ব (১৯৩০-১৯৩৫), কালো হাওয়া থেকে তিথিডোর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪২-১৯৪৯), আর নির্জন স্বাক্ষর থেকে বিপন্ন বিস্ময় পর্ব পর্যন্ত অমত্ম্য-পর্ব (১৯৫১-১৯৬৯)।
১৯৬৯ সালের পরে বুদ্ধদেব বসুর যে-তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয় – যেমন রুকমি (১৯৭২), মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রভাত ও সন্ধ্যা (১৯৭৫) এবং অনেক পরে এক বৃদ্ধের ডায়েরি (১৯৮০) – তার মধ্যে ‘ব্যক্তিমানুষের জীবনে নৈঃসঙ্গ্যচেতনা’র প্রতিফলন লক্ষযোগ্য নয় বলে এ-অভিসন্দর্ভে আলোচিত হয়নি।
বিশ্বজিৎ ঘোষ চমৎকারভাবে দেখান কীভাবে প্রথম পর্বের রোমান্টিক প্রেম ও উচ্ছ্বাস দ্বিতীয় পর্বে এসে মুখোমুখি হয় যুদ্ধোত্তর কঠিন বাস্তবের এবং সেই ধাক্কায় দ্বিতীয় পর্বের মধ্যবিত্ত চরিত্রগুলো ‘সমান থেকে, সংসার থেকে, পরিবার থেকে, সনাতন মূল্যবোধ থেকে এবং আমত্মঃমানবিক সম্পর্কবন্ধন থেকে’ উন্মূলিত হয়। তৃতীয় বা অন্ত-পর্বের উপন্যাসে রোমান্টিকতাও নেই, বাস্তববাদিতাও নেই – এ দুয়ের বদলে পাওয়া যায় এক ধরনের অ্যানালিটিক্যাল আখ্যান, যার প্রতিপাদ্য প্রেম নয়, অপ্রেম; গল্প পরিবেশনের বদলে বিশেস্নষিত হয় ‘চরিত্রের অভ্যন্তর মনস্তত্ত্ব’; বিশেস্নষণাত্মক উপন্যাসের প্রয়োজনে বদলে যায় পরিণত ঔপন্যাসিকের পরিচর্যারীতি। শেষ পর্বের উপন্যাসের নামগুলোও এই পরিণতির স্বাক্ষরবাহী যেমন, পাতাল থেকে আলাপ (১৯৬৬), গোলাপ কেন কালো (১৯৬৭), আয়নার মধ্যে একা (১৯৬৮)। আয়নার মধ্যে একা উপন্যাসের কথাই ধরুন। দেশ বিভাগের সময় আরো অনেক শরণার্থীর মতো এ-উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কমলা কলকাতায় প্রথমে তার এক দূর-সম্পর্কিত মামি ও পরে চিত্রশিল্পী অবনী মুখোপাধ্যায়ের গৃহে আশ্রয় লাভ করে। অবনীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় বটে কিন্তু নিজের অতীত ও বর্তমানকে সে তার সম্মুখে উন্মুক্ত করতে অসমর্থ। অবনীর অজ্ঞাতে সে যে এক স্টুডিওতে গিয়ে ন্যুড ছবির মডেল হয়েছিল, সে-কথা তাকে সে বলতে পারে না। মডেলিংয়ের মুহূর্তে স্টুডিওতে অকস্মাৎ আয়নায় নিজের নগ্ন নিরাবরণ দেহের সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে কমলার নিজেকে যুগপৎ চেনা ও অচেনা মনে হয়। স্টুডিওর নগ্নিকার সঙ্গে বাসররাতের লম্বা আয়নায় দেখা ‘মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঝলমলে লাল বেনারসিতে’ আবৃত নববধূকে কমলা মেলাতে পারে না। মাতৃহীন, প্রায়-পিতৃহীন, শরণার্থী কমলার গস্নানিতে আকীর্ণ জীবনে ঘুরেফিরে দেখা দেয় আত্মপরিচয়ের প্রশ্ন – অবনীর সঙ্গে বিবাহ ও সামাজিক স্বীকৃতি সত্ত্বেও সে-প্রশ্নের কোনো মীমাংসা হয় না। যেমন বিশ্বজিৎ ঘোষ দেখিয়েছেন, আয়নার মধ্যে একার (১৯৬৮) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কমলার মগ্ন আত্মকথন, গস্নানি, অপরাধবোধ ও স্বীকারোক্তি। সারা উপন্যাসে কমলা নিজের সঙ্গে অনবরত তর্ক করে যায় কিন্তু নিজের সত্যিকার পরিচয় নির্ণয় করতে পারে না।
বুদ্ধদেবের সমস্ত উপন্যাস গবেষকের চোখের সামনে ছবির মতো না থাকলে এরকম সুশৃঙ্খল বিশেস্নষণ ও অভিসন্দর্ভ রচনা সম্ভব নয়। তিন পর্বের উপন্যাসে বিষয়বস্তুর পরিবর্তন ও কালগত প্রাসঙ্গিকতার সঙ্গে সংগতি রেখে বুদ্ধদেবীয় উপন্যাসের নৈঃসঙ্গ্যচেতনার পরিচর্যায় যে রূপান্তর ও অভিপ্রেত বৈষম্য সম্পাদিত, তা বিশ্বজিৎ ঘোষের পূর্বে অন্য কোনো গবেষক বিশেস্নষণ করে দেখাননি। থিমকেন্দ্রিক পরিচর্যা-বৈষম্যের যে বিশদ তদন্ত এ-গ্রন্থে পাই, তা বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস-ব্যাখ্যায় এক বিরল আয়তন যোগ করেছে।
আগেই বলেছি যে, গবেষণাসন্দর্ভ হিসেবে বিশ্বজিৎ ঘোষের এই কাজ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। যাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক অর্থে গবেষণা করেননি, তাঁদের কাছে এই শৃঙ্খলার অর্থ একটু বুঝিয়ে বলার দরকার আছে। অনেক জটিল কনটিনজেন্সির মধ্যে গবেষককে কাজ করতে হয়, কেননা গবেষণার বিষয়, স্কোপ নির্ধারিত এবং এ-দুটোই পূর্বঘোষিত পদ্ধতি দ্বারা পূর্বাপর নিয়ন্ত্রিত। গবেষণা-প্রতিপাদ্যের আলোচনা ও বিশেস্নষণ গবেষকের অনুসৃত ও পূর্বঘোষিত পদ্ধতির অনুগামী হওয়া বাঞ্ছিত। এতসব দিক আগাগোড়া সামলে প্রায় চারশো পৃষ্ঠার সন্দর্ভ রচনা কত কঠিন, এ-কাজে যাঁর অভিজ্ঞতা নেই, তাঁর পক্ষে আন্দাজ করাও শক্ত। গবেষণার সাধারণ নিয়ম ও শর্ত অনুসরণ ছাড়াও সাহিত্যের গবেষককে অন্য একটি সমস্যারও মোকাবেলা করতে হয়। এ-সমস্যাকে বলতে পারি প্রলোভন। সাহিত্যের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের পূর্বমীমাংসিত এলাকায় আলো ফেলতে গিয়ে গবেষক মাঝেমধ্যেই এমনসব বিষয় ও উপাত্তের মুখোমুখি হন, যা নিয়ে নিরুৎসুক থাকা অসম্ভব অথচ সেই প্রলোভনে সাড়া দিলে সীমা লঙ্ঘন অনিবার্য। বিচ্যুতির প্রলোভন পদে পদে অথচ তার নিষ্ঠুর অবদমন ছাড়া গবেষণাকার্য সম্পাদিত হয় না। বিশ্বজিৎ ঘোষের অভিসন্দর্ভ এদিক থেকেও তারিফযোগ্য ডিসিপিস্নন্ড ইনকোয়েরির নজির। r
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.