(কবি-সম্পাদক আবুল হাসনাতকে নিবেদিত)

যাই,

চলো যাই,

যাবার বিকল্প নাই,

চলো, রূপে ও অরূপে যাই;

চলো, যেতে যেতে নিত্য বিবর্তনে যাই;

স্থিরচিত্র থেকে স্বরূপ-অরূপ চিত্তে নিত্য সমর্পণে যাই।

বদলপ্রবণ পায়ে এতদূর আমরা এসেছি।

বিবর্তিত শুদ্ধচিত্তে বারবার আমাকে পেয়েছি।

ফলনপ্রবণ দেহ, নিত্যবৃত্তে নবায়িত মন

যুগলে ভ্রমণরত, সর্ব অঙ্গে ডানাসন্তরণ,

বাঁক পার হয়ে বারবার অন্য এক বাঁকে;

অনন্তবদলরূপ জীবেদের ডাকে শুধু ডাকে।

আকৃতিবদল যদি বোধের ধরন

সিদ্ধকাম মুনিঋষি বা বৈয়াকরণ

মুহূর্তের রথযাত্রী, অনিত্য গড়ন,

মূর্ত আর বিমূর্তের বিবিধ বাস্তবে;

নীড় ভেঙে নীড়ে যাই সৃষ্টি কলরবে।

ভ্রমণ মরণ নয়, মরণ ভ্রমণ :

জন্মমৃত্যু নির্ধারিত দুই ইস্টিশন;

সুরতবদল করে নিত্য পরিযায়ী

সটান দণ্ডায়মান কিংবা শয্যাশায়ী

পঞ্চভূতে যাত্রা অহর্নিশ:

প্রাণীরা আহার-ঘ্রাণ ভেষজ-আমিষ।

তারপর একদিন

শীতলপাটিতে যদি মাটিতে বিলীন, মানুষ বদলযাত্রী রূপে রূপে দিগন্তে আসীন।