কাজী রোজী
জলের দাগের ভিতরটা জুড়ে ক্রিমিন্যাল লুকিয়ে থাকে।
দাগি আসামির মতো
চলনে-বলনে রাখে নিজস্ব গতিধারা।
নিদারুণ শঠতার বেড়াজালে
উদ্বিগ্নতার আশ্রয় বিছিয়ে রাখে।
জলের দাগ মোছা যায়,
অপস্রিত করা যায় না – রয়ে যায়
সুনিবিড় প্রার্থনার মতো…
একনিষ্ঠ সাধকের অবয়ব নিয়ে।
জলের দাগ যখন থোকা থোকা হয়ে
ডুমুরের ফুলের মতো ভাসমান থাকে
বোঝা যায়, নিত্যপথিক তার
অপেক্ষায় থাকে দিনভর।
রাতভর যায় না দেখা –
সময় হলেই তবে ধরা দেয়, ক্রিমিন্যাল যেমন।
একজন ক্রিমিন্যাল সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকে।
হৃদয়ের উৎস থেকে জলের দাগের যতো
অাঁকিবুকি রেখা দিয়ে যেরকম
ক্রিমিন্যাল ঢেকে দেয় তার মুখাবয়ব।
সেভাবেই জলের দাগের সাথে ক্রিমিন্যাল সখ্য গড়ে।
জলের দাগ অবিশ্বাস্য যত্ন দিয়ে
লুকোচুরি ধারাপাত মুখস্থ করে রাখে।
সহজে যায় না চেনা প্রকৃত অপরাধীকে
তাই জলের দাগের ক্রিমিন্যালকে
শাস্তি দেয়া যায় না।
আমি জলের দাগে দুটি বিবর্ণ চোখ দেখি
দুটি শাস্তিযোগ্য হাত দেখি
দেখি দুটি কম্পমান পদযুগল
দেখি থরথর অস্থির বিরান মস্তিষ্ক এক।
আমি যা দেখি তা মানুষের প্রতিচ্ছবি নয়,
দেখি জলের দাগের ক্রিমিন্যাল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.