মোহাম্মদ শামছুজ্জামান
তরল আঁধারের বলয় ছেড়ে সিঁড়ি ভেঙে উঠে যাই
লুকিয়ে থাকা আলোর রেণুগুলো খেলা করে
প্রজাপতির মতো চারপাশে,
নিঃসঙ্গ বাতাস দেয়ালের কার্নিশে
হিমধরা ভয়ে জেগে থাকে,
এগিয়ে আসে কোলাহলহীন অস্তিত্বের সংকট
মোমের মতো গলে যায় একটু একটু করে নিয়নের বাতি।
জমাট অন্ধকারে ভেজা কার্পেটের আলতো ছোঁয়ায়
রক্তকণিকা চঞ্চলমতি হয়ে ঝর্ণার স্রোতে বাইতে চায়
কী এক উচাটানে মনের আকুতি বিচ্যুত গ্রহের মতো
মহাভারসাম্যের জাল ছিঁড়ে প্রলয় নাচে।
একটা হলুদ বিড়াল বোবা চাহনিতে সব গিলে ফেলে
মহাশূন্যের পারাপার,
গ্যালাক্সির স্তরে স্তরে পৌঁছে যায় কামার্ত বেদনার
হিস হিস শব্দ
থরথর করে কাঁপে;
লুকিয়ে থাকা আলোগুলো
কার্নিশের হিমধরা নিঃসঙ্গ বাতাস
ফ্যাকাশে নিয়নের বাতি
অন্ধকারে ভেজা কার্পেট।
মহাশূন্যে প্রলয়ঝড় শুরু হলে কাচের ওপাশে
নিঃসঙ্গতার প্রহর খসে খসে পড়ে,
হলুদ বিড়ালটা আয়েশি আড়ামোড়া দিয়ে
জেগে ওঠে বিমূর্ত ক্যানভাসে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.