আমার কি কোথাও যাবার কথা ছিল? আতঙ্ক জাপটে ধরেছে
দু-পা! শীতের ওভারকোট অগ্নিসন্ত্রাসের ভয়ে থিতু
হয়ে আছে! চারদিকে বিজয়ের উল্লাসধ্বনি, গুচ্ছ গুচ্ছ
জলের লিরিক, নৃত্যরত সবুজ বৃক্ষ, হৃদয়ে উড়িয়ে দিয়েছে
নৌকার পাল! মৌনতার ওপারে আলোহীন ম্লানরেখা মনে
করিয়ে দেয় জীবন এক মহাবিস্ময় ধূসর জগৎ! যতদূর চোখ
যায় পৌষের শীতার্ত সন্ধ্যায় রক্তবর্ণ ক্ষত হিম হিম
অন্ধকারে উঁচিয়ে ধরে ফণা! সৎ মানুষেরা নিঃস্ব হতে হতে
নিঃসঙ্গ হয়ে ওঠে। দেখেছি, বাঁচামরার পৃথিবীতে স্বার্থলোভী
আয়ুর দিগন্তে মৃত বর্ণমালারা আলোর গোলক হয়ে রহস্য
ছড়িয়ে দেয় চারদিকে। আগুন উড়ছে, আগুনে পুড়ছে দেহ!
শিশির কণার মতো হু হু করে জল গড়িয়ে পড়ে পায়ের
ওপর। অগণন বিস্ময়ে অক্ষরবৃত্তের ঘোর তমসার মধ্যে
উড়ে আসে মার্বেল ঘুড়ি! কে যেন এই আছে এই নেই
স্বরবৃত্ত তালে এই দৌড়-ঝাঁপ কতটা প্রাসঙ্গিক কে জানে?
মাঝপথে পথ আগলে যে দাঁড়িয়ে থাকে সারাক্ষণ তাকে
আমরা কতটুকু চিনি? ক্রন্দনের জলে ভেসে যায় দূরত্বের
অতিরঞ্জন,অস্থিরতা আর মুহূর্তের অবিরাম কররেখা
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.