মঞ্জু সরকার

  • ধ্বংসপ্রাপ্ত পত্রসাহিত্য ও টিকে থাকা তিন লেখকের চিঠি

    ধ্বংসপ্রাপ্ত পত্রসাহিত্য ও টিকে থাকা তিন লেখকের চিঠি

    গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটকের মতো চিঠিপত্রও যে সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা বা ধরন হতে পারে, সেটাও বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। ব্যক্তিবিশেষকে উদ্দেশ করে লেখা তাঁর ছিন্নপত্রাবলী ও রাশিয়ার চিঠি নিছক খবর কিংবা তথ্যের বাহন নয়, সাহিত্যগুণে গুণান্বিত হয়ে তা আজো পাঠকহৃদয় ও মননে সাড়া জাগায়। পত্রে পত্রলেখকের ব্যক্তিজীবনের খুঁটিনাটি নানারকম…

  • সৃজনশীল প্রকাশনা, একুশের বইমেলা ও বইজগতের উন্নতি-অবনতি প্রসঙ্গে

    সৃজনশীল প্রকাশনা, একুশের বইমেলা ও বইজগতের উন্নতি-অবনতি প্রসঙ্গে

    শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যবইয়ের বাইরে নানা বিষয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্যমূলক বইয়ের প্রকাশকরা নিজেদের দাবি করেন সৃজনশীল প্রকাশক হিসেবে। তাঁদের একটা সমিতিও আছে। নিছক মুনাফালোভী পাঠ্য কি নোট-গাইড বইয়ের ব্যবসায়ের চেয়ে তাঁদের পেশাটা মহত্তর সন্দেহ নেই। কারণ এসব বইয়ের রচয়িতারা দেশের জ্ঞানী-গুণী-বুদ্ধিজীবী হিসেবে সম্মানিত, আর কবি-সাহিত্যিকরা নিজেদের সৃজনশীল মানুষ ভাবতে ভালোবাসেন। সাহিত্যমূলক এসব বইয়ের পাঠকরাও নিজেদের…

  • সংক্রমণ

    সংক্রমণ

    আমিও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছি সন্দেহে নমুনা সংগ্রহের জন্য সরকারি লোক বাসায় আসার পর পুরো অ্যাপার্টমেন্ট-ভবনটা লকডাউন করা হলো। ভবনের কোনো ফ্ল্যাটের জনপ্রাণী আর বাইরে যেতে পারবে না। বহিরাগত কেউ, এমনকি নিয়মিত কাজের বুয়া ও গাড়িচালকরাও ভেতরে ঢুকতে পারবে না, উঠতে পারবে না লিফটেও। কঠোর লকডাউন দশা বোঝাতে পুলিশের গাড়ি ভবনের সামনেও এসেছিল। পুলিশের নির্দেশেই দারোয়ান…

  • বেকার   দিনের দায়

    বেকার দিনের দায়

    কেদারুর এক হাতে গরুর দড়ি, অন্য হাতে গরু খেদানোর চিকন লাঠি, ঠোঁটে জ্বলন্ত বিড়ি এবং ঘাড়ে বছরচারেকের নাতি, যার হাত দুটি পেঁচিয়ে রেখেছে কেদারুর কাঁচা-পাকা চুলের মাথাটা। পাকা রাসত্মায় তিন প্রাণীর অভিন্ন লক্ষ্য ছুটে চলা দেখে পড়শি এক গেরস্ত জানতে চায়, ‘দুইটাকে নিয়া যাইস কই কেদারু?’ ঠোঁটের বিড়ি প্যান্টিধরা হাতে নিয়ে কেদারু জবাব দেয়, ‘ঢাকা…

  • অগস্ত্যযাত্রা

    অগস্ত্যযাত্রা

    যার যে স্থানে জন্ম, সেই জন্মস্থানের মাটিতে মিশে যাওয়ার অন্তিম বাসনা অনেকেরই হয়। হার্টে প্রথমবার মৃদু ধাক্কা খেয়ে, আবারো বড় অ্যাটাকের আশংকায় আমিও স্বজনদের কাছে শেষ ইচ্ছেটি জানিয়ে রেখেছি। মরে গেলে পৈতৃক ভিটাতেই আমাকে কবর দিও। কার মরণ কোথায়, কখন এবং কীভাবে ঘটবে, কেউ ঠিক জানে না। কিন্তু এটুকু জানি, মরার পর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘ…