সাহিনা মিতা

  • বিহঙ্গ বয়ান

    দু-একটা দিন হোক না রঙিন, মন বাসরী ধরুক পূর্ণিমা চাঁদ রুপার পরাগ আদর হয়ে ঝরুক, ভোর বিহানে ছাঁদ কাননে ঘড়ছাড়া তুই যুবা, তোর চরণে জবার পরাগ ছড়িয়ে দিলো কেবা? কে বা রে তোর স্বপ্নে আসে স্বর্ণচাঁপা হয়ে, ঘুম গেলেও ঘোর কাটে না ফেলে যাওয়া ঘ্রাণে, কে বা এমন মেঘের মতন ছড়িয়ে দেওয়া কেশে , পেছন…

  • মধুরাগ

    বেতার বলয়, পাতার বাঁশি, সুরটি বাজুক – বাজতে থাকুক দুই হৃদয়ে জড়াক জাদুর আলো এই হাতের ’পরে হাত ঠেকাতে চাও, চোখের ’পরে চোখ? ঠোঁটের মাঝে ঠোঁট ছোঁয়াতে চাও, বুকের মধ্যে বুক? এই মোমশরীরে তাপ হতে কী চাও, গলিয়ে দিতে পূর্ণ মোমের দেহ? জানো তো সই? মনের বাড়ির আল পেরিয়ে, ঘাট পেরিয়ে, পিচঢালা পথ, আগুন দুপুর,…

  • গতিগীত

    বস্তুগুলো বদলায়, প্রাণের মতোই! অজ্ঞতার সাতপ্রস্ত আভরণে আচ্ছাদিত থাকতে থাকতেই ডুবে যায় আলো, যখন ধীরে ধীরে খসে যায় অন্ধ আভরণ, সেসময় ছুটে আসে ছুটির ঘণ্টাধ্বনি! তখন ফিরে চলার ব্যাকুলতা লেপটে থাকে চোখের কোনায়, মুখের ভাঁজে! অবশিষ্ট আলোয় তার আর খোলা যায় না একটিও আভরণ!

  • কথা হবে আশি-আটাত্তরে

    জেগে থেকো, শুধুমাত্র পলক ফেলার অনুমতি দিলাম, হেসে নাও, শেষ কথা পরে হবে, একেবারে শেষে – হতে পারে সংলাপের শেষে অথবা কবিতার, হতে পারে দিনের শেষে নয়তোবা জীবনের, বিগত চল্লিশ প্রহরে আত্মার যারা আত্মীয়, রাজসাক্ষী তারা, এছাড়া গোটা পরিচিত আয়তনে জানিয়ে দেবো – মাটির পথ, চৌচালা ঘর, যত্নহীন বেড়ে-ওঠা তালচাড়া, পুকুরের পাড়, হিন্দুবাড়ি, মসজিদের মাঠ,…