দু-একটা দিন হোক না রঙিন, মন বাসরী ধরুক
পূর্ণিমা চাঁদ রুপার পরাগ আদর হয়ে ঝরুক,
ভোর বিহানে ছাঁদ কাননে ঘড়ছাড়া তুই যুবা,
তোর চরণে জবার পরাগ ছড়িয়ে দিলো কেবা?
কে বা রে তোর স্বপ্নে আসে স্বর্ণচাঁপা হয়ে,
ঘুম গেলেও ঘোর কাটে না ফেলে যাওয়া ঘ্রাণে,
কে বা এমন মেঘের মতন ছড়িয়ে দেওয়া কেশে ,
পেছন থেকে ডাকছে তোরে আয়রে নেশার দেশে!
আয়রে আমার থই-না-পাওয়া অথই বুকের চরে,
আয়রে আমার নাভীর ঘ্রাণে মাতাল বাতাস মরে,
আয়রে পথে বিছিয়ে দিলাম আলতা দুধের রং,
পায়ের ছোঁয়ায় ছাপ ফেলে যাস মনের গভীর তল।
তোর চোখ ছাপিয়ে উথলে উঠুক মরণ বিষের আলো,
সেই আলোতে প্রাণ ডুবিয়ে আমি এমন কালো,
পুবের হাওয়ায় মন মিশে যায় উত্তরেতে দেহ,
অসার হয়ে থাকলো পরে দেখলো না তো কেহ!
দু-একটা দিন হোক না রঙিন মন বাসরী ধরুক,
তোর দুটি ঠোঁট জিয়নকাঠি আমার অধর মরুক,
সোনার কাঠি, রুপার কাঠি হারিয়ে গেছে কবে,
পরে আছি মরার মতো একেই বাঁচা বলে সবে!
তুই যদি চাস, আসুক প্রলয় উঠুক ভীষণ ঝড়,
মৃত শরীর ঠেকুক গিয়ে তোর হৃদয়ের চর,
ইচ্ছে হলেই বাঁচিয়ে তুলিস ইচ্ছে হলেই মারিস,
ইচ্ছে হলেই এই অধরে জিয়নকাঠি রাখিস।
দু-একটা দিন হোক না রঙিন মন বাসরী ধরুক
পূর্ণিমা চাঁদ রুপার পরাগ আদর হয়ে ঝরুক!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.